ETV Bharat / state

শিক্ষকহীন স্কুলে বাণী বন্দনা, সরস্বতীর সামনে হাতে খড়ি দিয়ে ভবিষ্যত রক্ষার প্রার্থনা - SARASWATI PUJA 2025

বন্ধ হওয়ার মুখে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ৷ পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার প্রার্থনায় বিদ্যাদেবীর আরাধনায় সামিল গ্রামবাসী ৷ আনন্দের মধ্যেও ভারাক্রান্ত মন ৷

Saraswati Puja in Chandrakona SSK
বন্ধ হওয়ার আগে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে সরস্বতী আরাধনা (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 3, 2025, 10:42 PM IST

Updated : Feb 3, 2025, 10:54 PM IST

চন্দ্রকোনা, 3 ফেব্রুয়ারি: বন্ধ হতে বসেছে গ্রামের শিশু শিক্ষা কেন্দ্র তথা বাচ্চাদের স্কুল ৷ দু'দিন আগে একমাত্র শিক্ষকের অবসরের পরই গ্রামের খুদে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা পড়েছেন চিন্তায় ৷ পুনরায় স্কুল চালুর প্রার্থনায় সরস্বতী বন্দনায় সামিল হয়েছেন গ্রামবাসীরা ৷

যে স্কুল দু'দিন পর বন্ধ হয়ে যাবে সেখানেই বিদ্যাদেবীর আরাধনা ও হাতে খড়ি হচ্ছে গ্রামের কচিকাচাদের । পুজোর পর স্কুল ও পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে যাবে ভাবলেই মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ছে সকলের ৷

বাণী বন্দনা করে স্কুল রক্ষার প্রার্থনা গ্রামবাসী ও খুদে পড়ুয়াদের (ইটিভি ভারত)

ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা 1 নম্বর ব্লকের নিশ্চিন্তপুর শিশু শিক্ষাকেন্দ্র ৷ বর্তমানে ছাত্র সংখ্যা প্রায় 25 জন । সঙ্গে গড়ে 10-12 জন প্রসূতি মহিলার মিড-ডে মিল হয় । গ্রামের মানুষের দাবিকে মান্যতা দিয়ে সমস্ত গুরুত্ব বুঝে 2000 সালে একজন শিক্ষক ও একজন সহায়িকা দিয়ে এই স্কুলটি শুরু হয় । দু'বছর আগে একজন সহায়িকা অবসর নেন ৷ স্কুলের একমাত্র শিক্ষক তরুণ পালও দু'দিন আগেই অবসর নিয়েছেন । শুরু থেকেই এই স্কুলে শিক্ষকতা করে আসছিলেন তরুণবাবু । তাঁর অবসরে বর্তমানে শিক্ষকহীন স্কুল ৷ বন্ধ পঠনপাঠন থেকে মিড-ডে মিল ৷ স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাঁধুনিদের ।

সেই স্কুলেই বসন্ত পঞ্চমীতে বাণী বন্দনায় মেতেছে গ্রামের মানুষজন ও খুদে পড়ুয়ারা ৷ তবে সকলেরই মুখভার । এদিন স্কুলে উপস্থিত হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তরুণ পালও । সকলেরই অভিযোগ, স্কুলের সমস্ত পরিকাঠামো থাকলেও নেই শিক্ষক ৷ তাই সরস্বতী পুজোর পরেই স্কুলের ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কী হবে, এই ছাত্ররা কোথায় যাবে তার উত্তর নেই কারও কাছে ।

একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামে অবস্থিত এই স্কুল ৷ এই গ্রাম থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে অন্যান্য স্কুল ৷ এতদূর গিয়ে পড়াশোনা করা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দুষ্কর হয়ে যাবে ৷ তাই সকলেই চাইছেন এই স্কুলে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করা হোক । নাহলে স্কুল বন্ধে সমস্যায় পড়বে গ্রামের খুদে পড়ুয়ারা । মিড-ডে মিল রাঁধুনি তরুলতা মল্লিকের কথায়,"বাচ্চাদের শিক্ষার কথা মাথায় রেখে এই স্কুলে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করা হোক নাহলে পুরনো শিক্ষককেই বহাল রাখা হোক ৷ বাচ্চাদের পক্ষে 5 কিমি দূরে স্কুল যাওয়া মুশকিল ৷ বন্যাপ্রবণ নিচু এলাকায় বাচ্চাদের ভবিষ্য়তের কথা ভেবে এই ব্যবস্থা করা হোক ৷"

এই বিষয়ে চন্দ্রকোনা 1 নম্বর ব্লকের বিডিও কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শিক্ষক নিয়োগ করা সম্ভব নয় ৷ সম্ভবত ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যত্র পাঠাতে হবে ।

চন্দ্রকোনা, 3 ফেব্রুয়ারি: বন্ধ হতে বসেছে গ্রামের শিশু শিক্ষা কেন্দ্র তথা বাচ্চাদের স্কুল ৷ দু'দিন আগে একমাত্র শিক্ষকের অবসরের পরই গ্রামের খুদে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা পড়েছেন চিন্তায় ৷ পুনরায় স্কুল চালুর প্রার্থনায় সরস্বতী বন্দনায় সামিল হয়েছেন গ্রামবাসীরা ৷

যে স্কুল দু'দিন পর বন্ধ হয়ে যাবে সেখানেই বিদ্যাদেবীর আরাধনা ও হাতে খড়ি হচ্ছে গ্রামের কচিকাচাদের । পুজোর পর স্কুল ও পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে যাবে ভাবলেই মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ছে সকলের ৷

বাণী বন্দনা করে স্কুল রক্ষার প্রার্থনা গ্রামবাসী ও খুদে পড়ুয়াদের (ইটিভি ভারত)

ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা 1 নম্বর ব্লকের নিশ্চিন্তপুর শিশু শিক্ষাকেন্দ্র ৷ বর্তমানে ছাত্র সংখ্যা প্রায় 25 জন । সঙ্গে গড়ে 10-12 জন প্রসূতি মহিলার মিড-ডে মিল হয় । গ্রামের মানুষের দাবিকে মান্যতা দিয়ে সমস্ত গুরুত্ব বুঝে 2000 সালে একজন শিক্ষক ও একজন সহায়িকা দিয়ে এই স্কুলটি শুরু হয় । দু'বছর আগে একজন সহায়িকা অবসর নেন ৷ স্কুলের একমাত্র শিক্ষক তরুণ পালও দু'দিন আগেই অবসর নিয়েছেন । শুরু থেকেই এই স্কুলে শিক্ষকতা করে আসছিলেন তরুণবাবু । তাঁর অবসরে বর্তমানে শিক্ষকহীন স্কুল ৷ বন্ধ পঠনপাঠন থেকে মিড-ডে মিল ৷ স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাঁধুনিদের ।

সেই স্কুলেই বসন্ত পঞ্চমীতে বাণী বন্দনায় মেতেছে গ্রামের মানুষজন ও খুদে পড়ুয়ারা ৷ তবে সকলেরই মুখভার । এদিন স্কুলে উপস্থিত হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তরুণ পালও । সকলেরই অভিযোগ, স্কুলের সমস্ত পরিকাঠামো থাকলেও নেই শিক্ষক ৷ তাই সরস্বতী পুজোর পরেই স্কুলের ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কী হবে, এই ছাত্ররা কোথায় যাবে তার উত্তর নেই কারও কাছে ।

একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামে অবস্থিত এই স্কুল ৷ এই গ্রাম থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে অন্যান্য স্কুল ৷ এতদূর গিয়ে পড়াশোনা করা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দুষ্কর হয়ে যাবে ৷ তাই সকলেই চাইছেন এই স্কুলে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করা হোক । নাহলে স্কুল বন্ধে সমস্যায় পড়বে গ্রামের খুদে পড়ুয়ারা । মিড-ডে মিল রাঁধুনি তরুলতা মল্লিকের কথায়,"বাচ্চাদের শিক্ষার কথা মাথায় রেখে এই স্কুলে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করা হোক নাহলে পুরনো শিক্ষককেই বহাল রাখা হোক ৷ বাচ্চাদের পক্ষে 5 কিমি দূরে স্কুল যাওয়া মুশকিল ৷ বন্যাপ্রবণ নিচু এলাকায় বাচ্চাদের ভবিষ্য়তের কথা ভেবে এই ব্যবস্থা করা হোক ৷"

এই বিষয়ে চন্দ্রকোনা 1 নম্বর ব্লকের বিডিও কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শিক্ষক নিয়োগ করা সম্ভব নয় ৷ সম্ভবত ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যত্র পাঠাতে হবে ।

Last Updated : Feb 3, 2025, 10:54 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.