কলকাতা, 1 জানুয়ারি: ভুয়ো আধার কার্ড-কাণ্ডে হাবরা থেকে ধৃত ছ'জনের সঙ্গে বাংলাদেশি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের যোগ থাকলেও থাকতে পারে । এমনটাই অনুমান করছেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা ৷
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক ইটিভি ভারতকে বলেন, "এদের সঙ্গে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগাযোগ রয়েছে কি না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে । এছাড়াও এর আগে যারা নকল পাসপোর্ট-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিল, তাদের সঙ্গে ধৃতদের যোগাযোগ রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।"
এই ঘটনায় বারাসত জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, "ধৃতদের আমরা জেরা করছি । এই ঘটনায় সিআইডি ও এসটিএফের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে । ধৃত ছ'জনকে এসটিএফও চাইলে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারে ।"
মঙ্গলবার উত্তর 24 পরগনার হাবরা থেকে তিনজন ভারতীয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ । ভুয়ো নথির সাহায্যে আধার কার্ড বানিয়ে দেওয়া এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম - মিন্টু দাস, অমিত মণ্ডল ও সায়েম হোসেন । তাঁরা উত্তর 24 পরগনার হাবড়া থানার মানিকতলা ও পৃথীবা এলাকার বাসিন্দা ।
এছাড়াও এই ঘটনায় তিন বাংলাদেশিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে । তাঁদের মধ্যে আবার দু'জন মহিলা রয়েছেন । ধৃতদের নাম মহম্মদ মতিউর রহমান, সন্ধ্যা রায় ও তাঁর মেয়ে সুপর্ণা রায় । তাঁরা বাংলাদেশের নাটোর ও বরিশালের বাসিন্দা বলে পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে ।
সোমবার বিকেলে স্থানীয় আনোয়ার বেরিয়া এলাকায় হানা দেয় হাবরা থানার পুলিশ । সেখান থেকে তিন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয় । তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ভারতীয় আধার কার্ড । জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ মিন্টু, অমিত ও সায়েমের সন্ধান পায় ৷ এরপর মঙ্গলবার বাকি তিন ভারতীয়কে গ্রেফতার করা হয় ৷
সূত্রের খবর, গোয়েন্দারা এখন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন যে, এই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কেন আচমকাই এপার বাংলায় এসে ওই ভারতীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন ? কতদিন ধরে তাঁরা এখানে ছিলেন ? ভারতে এসে তাঁরা কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন ? তদন্তকারীরা ধৃত বাংলাদেশিদের কাছ থেকে একাধিক ইলেকট্রনিক গেজেট বাজেয়াপ্ত করেছেন । সেগুলি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা ।