কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর : জেলা স্তরের কোরোনা হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা এবং রোগী পরিষেবার মান উন্নত করতে এবার নির্দেশ জারি করল স্বাস্থ্য দপ্তর । প্রতিটি জেলায় যে সব কোরোনা হাসপাতাল রয়েছে সে সব জায়গায় কীভাবে কোরোনা রোগীদের চিকিৎসার মান উন্নত করা যায়, তার জন্য এই নির্দেশে বিভিন্ন বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে । এই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকরের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর ।
এই অতিমারী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর নির্দেশিকা জারি করেছে যে, কোনও জেলার কোরোনা হাসপাতালগুলিতে ওই জেলার মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানোর বিষয়টি সেখানকার অধ্যক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মনিটর করবেন । কোরোনা হাসপাতালগুলিতে যাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক-চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার, সিনিয়র রেসিডেন্ট, CCU-এর মেডিকেল অফিসারকে মোতায়েন করা হয় সেই বিষয়টি দেখতে হবে । এই লোকবল পূর্ণ সময়ের জন্য ওই হাসপাতালগুলিতে পাঠাতে হবে । এবং ওদেরকে রোটেশন অনুযায়ী অন্তত এক মাসের জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলিতে রাখতে হবে ।
সেখানে আরও জানানো হয়েছে, যেসব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং মেডিকেল অফিসারকে কোরোনা হাসপাতালগুলিতে পরিষেবা দেওয়ার জন্য পাঠানো হবে, তাঁদেরকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের কাছেই থাকার ব্যবস্থা করতে হবে । থাকা এবং খাবারের ব্যবস্থা জেলা কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে । এছাড়া যে সব কোরোনা রোগীকে সিরিয়াস হিসেবে চিহ্নিত করা হবে, তাঁদের এবং জরুরি ভিত্তিতে অন্য কোরোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য র্যাপিড রেসপন্স টিম (RRT) গঠন করতে হবে । এই টিমে একজন অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট এবং একজন মেডিসিন স্পেশালিস্টকেও রাখতে হবে । চিকিৎসা সহ কোরোনা রোগীদেরও ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত গাইডলাইন অনুযায়ী করতে হবে ।
চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীর মতো ফ্রন্টলাইন হেলথকেয়ার ওয়ার্কারদের জন্য পেশেন্ট কেয়ার ম্যানেজমেন্টের উপর পর্যাপ্ত মানের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে । প্রতিটি বিভাগের শিক্ষক-চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেন্টরিং টিম গঠন করবেন জেলার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ । রোগীদের চিকিৎসা এবং ম্যানেজমেন্টের বিষয়ে এই মেন্টরিং টিমের সদস্যরা ওই জেলার কোরোনা হাসপাতালগুলিকে পরামর্শ এবং সহায়তা করবেন । শুধুমাত্র এগুলিই নয় । স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ, জেলা স্তরের হাসপাতালগুলির SARI (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশনস) ওয়ার্ডে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে কোনও রোগীর ক্ষেত্রে সংক্রমণ ধরা পড়লে সময় নষ্ট না করে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে ভরতি করানো যায় ।
প্রতিটি জেলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল এবং মহকুমা হাসপাতালে যথাযথ আইসোলেশন ওয়ার্ড থাকতে হবে । কোনও রোগীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের আগে ওই রোগীর শারীরিক অবস্থা অবশ্যই স্থিতিশীল করতে হবে । শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত ওই রোগীকে স্থানান্তর করা যাবে না ৷