ETV Bharat / state

রুক্ষ পথের লড়াকু অনন্যাদের কুর্নিশ রাজ্য সরকারের

বিধাননগরের রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে সমাজের বিভিন্ন প্রান্তের ১৪ জন কৃতি মহিলাকে পুরস্কৃত করলেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা।

কুর্নিশ রাজ্য সরকারের
author img

By

Published : Mar 10, 2019, 12:31 PM IST

বিধাননগর, ১০ মার্চ : ওরা নিজের জগতে অনন্যা। কেউ হারিয়ে যাওয়া লোকসংস্কৃতি বাঁচিয়ে রেখেছেন। কেউ বা ছবি এঁকে সংসার চালান। রয়েছেন চাষবাস বা টোটো চালিয়ে ভাই-বোনেদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়া অনন্যারাও। গতকাল তাঁদের সম্মানিত করল রাজ্য সরকার। বিধাননগরের রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে সমাজের বিভিন্ন প্রান্তের ১৪ জন এমন মহিলাকে পুরস্কৃত করলেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা।

পুরুলিয়ার নাচনী পোস্ত বালা। আসল নাম পোস্ত বালা কর্মকার। পুরুলিয়ার লোকশিল্প নাচনীকে ধরে রেখেছে তিনি। তাঁর নাচের দলের নাম মানভূম লোকসংস্কৃতি নাচনি উন্নয়ন সমিতি। গতকাল তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়।

পূর্ব মেদিনীপুরের পটশিল্পী কল্পনা চিত্রকর। প্রথমে ঘুরে ঘুরে মেলায় পটচিত্র বিক্রি করতেন। এখন আর মেলায় ঘুরতে হয় না। রাজ্য ও জাতীয়স্তর মিলিয়ে ১০টির বেশি পুরস্কার জিতেছেন। তাঁর পট বিক্রি হয় বিদেশেও।

তবে এখনও লড়ে চলেছেন বোসপুকুরের সোনালী ঘোষ। তিনি রিকশা টেনে সংসার চালান। নদিয়ার সাহাপুরের আরা খাতুন পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চাষ করে ফসল ফলান।

নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী বলেন, "সমাজে নারী এবং পুরুষ দু'জনেই সমানাধিকারের অধিকারী। কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রেই মহিলারা এখনও পিছিয়ে রয়েছেন। সব ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীর সমান অধিকার ও দায়িত্ব নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে কন্যাশ্রী প্রকল্প অনেকটা সাহায্য করেছে। সমাজের পিছিয়ে পড়া মহিলারা যাতে সমাজকে নেতৃত্ব দেন, তার জন্য তাঁদের তৈরি করা হচ্ছে। এদের স্বীকৃতি দিতে পেরে আমরা গর্বিত। এদের সংগ্রামকে স্বীকৃতি দিলে সমাজ সচেতন হয়।"

বিধাননগর, ১০ মার্চ : ওরা নিজের জগতে অনন্যা। কেউ হারিয়ে যাওয়া লোকসংস্কৃতি বাঁচিয়ে রেখেছেন। কেউ বা ছবি এঁকে সংসার চালান। রয়েছেন চাষবাস বা টোটো চালিয়ে ভাই-বোনেদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়া অনন্যারাও। গতকাল তাঁদের সম্মানিত করল রাজ্য সরকার। বিধাননগরের রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে সমাজের বিভিন্ন প্রান্তের ১৪ জন এমন মহিলাকে পুরস্কৃত করলেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা।

পুরুলিয়ার নাচনী পোস্ত বালা। আসল নাম পোস্ত বালা কর্মকার। পুরুলিয়ার লোকশিল্প নাচনীকে ধরে রেখেছে তিনি। তাঁর নাচের দলের নাম মানভূম লোকসংস্কৃতি নাচনি উন্নয়ন সমিতি। গতকাল তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়।

পূর্ব মেদিনীপুরের পটশিল্পী কল্পনা চিত্রকর। প্রথমে ঘুরে ঘুরে মেলায় পটচিত্র বিক্রি করতেন। এখন আর মেলায় ঘুরতে হয় না। রাজ্য ও জাতীয়স্তর মিলিয়ে ১০টির বেশি পুরস্কার জিতেছেন। তাঁর পট বিক্রি হয় বিদেশেও।

তবে এখনও লড়ে চলেছেন বোসপুকুরের সোনালী ঘোষ। তিনি রিকশা টেনে সংসার চালান। নদিয়ার সাহাপুরের আরা খাতুন পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চাষ করে ফসল ফলান।

নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী বলেন, "সমাজে নারী এবং পুরুষ দু'জনেই সমানাধিকারের অধিকারী। কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রেই মহিলারা এখনও পিছিয়ে রয়েছেন। সব ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীর সমান অধিকার ও দায়িত্ব নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে কন্যাশ্রী প্রকল্প অনেকটা সাহায্য করেছে। সমাজের পিছিয়ে পড়া মহিলারা যাতে সমাজকে নেতৃত্ব দেন, তার জন্য তাঁদের তৈরি করা হচ্ছে। এদের স্বীকৃতি দিতে পেরে আমরা গর্বিত। এদের সংগ্রামকে স্বীকৃতি দিলে সমাজ সচেতন হয়।"

sample description

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.