কলকাতা, 29 মে: আছে কমিশন । কিন্তু নেই কমিশনার । আপাতত রাজ্য নির্বাচন কমিশন এমনই দোলাচলে । কারণ বর্তমানে রাজ্য কমিশনে কমিশনারের আসন ফাঁকা । তবে কে হবেন পরবর্তী কমিশনার, তা নিয়ে জল্পনা ও তরজা তুঙ্গে । কে বসবেন কমিশনারের আসনে, তা নিয়ে এখন জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং নবান্নে ।
কারণ, এর আগের রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের মেয়াদ চলতি বছরের 31 মার্চ পূর্ণ হয় । তারপর আরও 2 মাস তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয় । অর্থাৎ সেই মতো তাঁর মেয়াদ ফুরিয়েছে গতকাল অর্থাৎ 28 মে । তাই আপাতত এখন সেই স্থান শূন্য । অন্যদিকে কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল যে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে এপ্রিল-মাসের প্রথম বা শেষের দিকে। সেইমতো কাজও এগিয়ে রেখেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন । কিন্তু গত এপ্রিল মাসে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নবজোয়ার যাত্রা ঘোষণা হওয়ার পরেই একরকম স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে তৃণমূল এই কর্মসূচি শেষ না-হওয়া পর্যন্ত হবে না পঞ্চায়েত নির্বাচন ।
কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচি । যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের আসনে যাতে বসানো যায় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে তার চেষ্টা করেছিল নবান্ন ৷ তাই তাঁর নাম প্রস্তাব করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে পাঠানো হয় ফাইল ৷ তবে কিছু প্রশাসনিক জটিলতার জেরে এখনও সেই ফাইলে সই করেননি রাজ্যপাল । এমনকী রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল নবান্নের কাছে জানতে চেয়েছেন কেন শুধুমাত্র রাজীব সিনহার নামই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে? কারণ নিয়ম অনুসারে অন্তত তিনজনের নাম রাজ্য কমিশনার হিসেবে প্রস্তাব করে পাঠাতে হয় ।
আরও পড়ুন: রাজভবনের প্রশ্নে জবাব নবান্নের, নতুন নির্বাচন কমিশনারের নামে এখনও মেলেনি রাজ্যপালের সম্মতি
জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের এই রিপোর্ট তলবের পরেই রাজ্যের প্রাক্তন সচিব তথা শিলিগুড়ির মহকুমা পরিষদের বর্তমান সচিব এবি বর্ধনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে নবান্নের তরফে । অন্যদিকে, রাজ্য নির্বাচনের কমিশনার হতে গেলে অন্তত 25 বছর আমলা হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতেই হবে । সেই দিক থেকে দেখতে গেলে রাজীব সিনহা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব ছিলেন । এবং অভিজ্ঞতার নিরিখে দেখতে গেলে 25 বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর । রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, যেহেতু আপাতত অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে কমিশন তাই হয়তো আজ সেই ফাইলে সই করে দিতে পারেন রাজ্যপাল । কিন্তু আজও এই বিষয় কোনও সিদ্ধান্ত সামনে আসেনি । কারণ শেষ মুহূর্তে জরুরি কাজের জন্য দিল্লি যেতে হয়েছে রাজ্যপালকে ৷