কলকাতা, 24 নভেম্বর: পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদালত অবমাননার মামলায় আজ আদালতে উপস্থিত হলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহা ৷ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল ৷ তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের রুল জারি করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, এ দিন তারই জবাব দিতে আদালতে আসেন তিনি ৷ কিন্তু, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের কাছে তিনি সময় চান, জারি করা রুলের জবাব দেওয়া জন্য ৷ তার পরেই আদালত তাঁকে আগামী 15 ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে ৷ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী 8 জানুয়ারি ৷
শুক্রবার আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‘বিএসএফ যে রিপোর্ট দিয়েছে, তার উত্তর দিতে প্রস্তুত আমি ৷ শোকজের উত্তর দিতে সময় দেওয়া হোক ৷ নিয়ম অনুযায়ী 15-20 দিন সময় দেওয়া হোক শোকজের ৷ আর রুল জারির বিষয়টিকে 'প্রাথমিক ধারণা' হিসেবেই দেখা হোক ৷’’ তাঁর আবেদন অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ রাজীবা সিনহাকে সময় দিয়েছে ৷ 15 ডিসেম্বরের মধ্যে রিপোর্টের জবাব দিতে হবে রাজীবা সিনহাকে ৷ আর কমিশনের সেই রিপোর্টে নিয়ে 8 জানুয়ারির মধ্যে উত্তর দেবে মামলাকারীরা ৷ ওইদিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ৷ সেই দিন সব পক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে, মূল শুনানির দিন ঠিক হবে ৷
পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার আদালতের নির্দেশ ঠিক মতো পালন না করে, অবমাননা করেছেন ৷ এই অভিযোগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্যরা আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন ৷ শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কমিশনারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করে ৷ সেই মতো নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহার বিরুদ্ধে রুল জারি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ সেই সঙ্গে কমিশনারকে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি ৷
পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার দাবিতে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে ৷ সেই মামলাগুলিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দফায় দফায় একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা থেকে শুরু করে, নির্বাচনের ফল ঘোষণার 10 দিন পরেও বাহিনীকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগাতে বলা হয় ৷ পাশাপাশি ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা, চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের ভোটের কাজে না লাগানো এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের কাজে না লাগাতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট ৷ কিন্তু, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেসব নির্দেশ পালন করেননি বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দলগুলির ৷
আরও পড়ুন: