কলকাতা, ২৬ জুলাই : প্রতিবেশীর সঙ্গে বচসা ৷ পরে মারপিটের সময় বছর তিরিশের প্রসান বাউরির বুকে গেঁথে যায় মাছ ধরার ফলা । পালমোনারি আর্টারিতে গেঁথেছিল ফলাটি ৷ এর জেরে বিকল হতে বসেছিল হৃদযন্ত্র ও ফুসফুস । অবশেষে ঘণ্টা পাঁচেকের প্রচেষ্টায় এই ফলা বের করতে সমর্থ হলেন RG কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে । তবে 48 ঘণ্টা না গেলে কিছু বোঝা যাচ্ছে না ।
তারকেশ্বরের প্রতিহারপুরের বাসিন্দা প্রসান বাউরি । সরকারি গৃহনির্মাণ প্রকল্প নিয়ে গতকাল রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ প্রতিবেশীদের সঙ্গে বচসা বাধে প্রসানের ৷ বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে ৷ সেইসময়, প্রতিবেশীরা চড়াও হয় তাঁর উপর ৷ বুকে বসিয়ে দেয় মাছ ধরার ফলা ৷ গুরুতর অবস্থায় প্রথমে বৈদ্যবাটি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রসানকে ৷ সেখানে থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে ৷ ক্রমে অবস্থা আরও গুরুতর হয় ৷ শেষমেশ রাত আড়াইটে নাগাদ RG কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয় প্রসানকে ৷ চিকিৎসার জন্য 6 জন চিকিৎসককে নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় ৷ আজ সকাল থেকে শুরু হয় অস্ত্রোপচার । ঘণ্টা পাঁচেকের অস্ত্রোপচারে বের করা হয় ফলা ৷ ঘটনায় জখম হন আরও কয়েকজন ৷ তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷
এবিষয়ে, RG কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ শুদ্ধধন বটব্যাল বলেন, "রোগীর পালমোনারি আর্টারিতে ওই ফলা গেঁথে গেছিল । ফলে হৃদযন্ত্র, ফুসফুস কোল্যাপসড হয়ে যায় । 4-5 ঘন্টা ধরে অস্ত্রোপচার করে ফলাটি বের করা হয়েছে ।" রোগীর শারীরিক অবস্থা এখন কেমন রয়েছে? অধ্যক্ষ বলেন, "অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে । রোগীকে এখন ICU- তে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে । 48 ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা সম্ভব নয় ।"
প্রসানের এক আত্মীয় পিন্টু বলেন, "মাছ ধরার ফলা বিদ্ধ অবস্থায় অস্ত্রোপচারের আগেও কথা বলছিল প্রসান । আজ সকাল ন'টা নাগাদ অস্ত্রোপচার হয় । চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, 48 ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা যাবে না ।"