ETV Bharat / state

Speaker Warns Suvendu: বিধানসভায় অসংসদীয় ব্যবহারের জন্য শুভেন্দুকে সতর্ক করলেন অধ্যক্ষ

author img

By

Published : Nov 23, 2022, 6:43 PM IST

বিধানসভায় অসংসদীয় ব্যবহারের (Speaker Warns Suvendu) জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সতর্ক করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Speaker of Bengal Assembly)৷

Speaker of Bengal Assembly warns Suvendu Adhikari for unparliamentary behaviour
অসংসদীয় ব্যবহারের জন্য শুভেন্দুকে সতর্ক করলেন অধ্যক্ষ

কলকাতা, 23 নভেম্বর: বিধানসভায় আচরণ নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সতর্ক করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Speaker of Bengal Assembly)। মূলত অসংসদীয় বাক্য ব্যবহারের জন্যই এই সতর্কতা । বিধানসভার প্রথমার্ধেই মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের পর রাজ্য বিধানসভায় আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সে সময় সার নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অসংসদীয় বাক্য ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে (Unparliamentary Behaviour)। এ দিন এই নিয়েই বিরোধী দলনেতার ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে সরকারপক্ষ । পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নিজে দ্বিতীয়ার্ধে বিষয়টি বিধানসভার নজরে আনেন এবং এই বিষয়টি উত্থাপন করে বিরোধী দলনেতার সমালোচনা করেন ।

বিধানসভায় তিনি বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে আমরা রাজ্য বিধানসভায় রয়েছি । কিন্তু আজ বিরোধী দলনেতার আচরণ সমস্ত সংসদীয় সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে । কোনও আলোচনায় তিনি অংশগ্রহণ করেন না । এখানে এসে চিৎকার করা ছাড়া বিরোধী দলনেতার কোনও কাজ নেই । শুধুমাত্র প্রেসে মুখ দেখানোর জন্য তিনি এ সব করছেন । আর এ সব করে তিনি শুধু রাজ্যের শাসক দলকে অসম্মান করছেন না, নিজের দলকেও অসম্মান করছেন । নিজের দৈন্যতা প্রকাশ করছেন । আর তাই আমরা তাঁর এই আচরণের তীব্র ভাষায় নিন্দা করছি ।"

একইসঙ্গে এ দিন এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আমরা সবাই এই বিধানসভার সদস্য । প্রত্যেকেই আমরা নিজেদের এলাকা থেকে জিতে এসেছি । আমাদের প্রত্যেকের আত্মসম্মান আছে । আমি একটা দল করি, তার নাম সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস । সেই দলের সততায় বিশ্বাস করি বলে এই দলটা করি । এখানে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা যখন বলেন, তৃণমূলের সবাই চোর, তখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদেরও চোর বলা হয় । এ কথা বলার অধিকার কি আদতে তাঁর আছে ? যাঁরা নিজেরা চোর হয় তাঁদের সবাইকে চোর মনে হয় ৷ এক্ষেত্রেও তাই । আমার কি এই অধিকার আছে বলার, যে মোদি খুনি, শাহ খুনি ! বিজেপির সবাই খুনি ! না সেই অধিকার আমার নেই । এটা বলার মনোবৃত্তিও আমার নেই । যেহেতু এই ঘটনায় বিধানসভার গরিমা নষ্ট হয়েছে, তাই এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানাচ্ছি ।"

আরও পড়ুন: বিধায়ক ভাঙিয়ে নয়, ভোটে জিতে বাংলায় বিজেপির সরকার হবে, দাবি শুভেন্দুর

পরে পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তাঁর পাশের চেয়ারের দিকে আঙুল দেখিয়ে বলেন, "আমি মানছি এখানে যিনি বসতেন তিনি অন্যায় করেছিলেন । সে সবের জন্য আমরা লজ্জিত । কিন্তু তা বলে তৃণমূলের সবাই চোর নয় । বিরোধী দলনেতা সবাইকে অসম্মান করছেন । 2020 সাল পর্যন্ত তিনিও তৃণমূলে ছিলেন । তাহলে কি তিনিও চোর ?"

এ দিন এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও । তিনি বলেন, "আজ যে কথাগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত অপমানজনক । তাতে আমিও খুব বিস্মিত হয়েছি । বিধানসভার অন্দরে স্লোগান শাউটিং হতেই পারে । তারও একটা পরিশীলিত মাত্রা থাকা দরকার । এমন কিছু যেন না বলা হয়, যাতে উত্তেজনা বাড়ে । আমার চেয়ার থেকে আমি তাঁকে একটু সতর্কই করে দিচ্ছি ৷ আগামী দিনে বিরোধী দলনেতা যেন এ বিষয়ে একটু সংযত থাকেন ।"

কলকাতা, 23 নভেম্বর: বিধানসভায় আচরণ নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সতর্ক করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Speaker of Bengal Assembly)। মূলত অসংসদীয় বাক্য ব্যবহারের জন্যই এই সতর্কতা । বিধানসভার প্রথমার্ধেই মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের পর রাজ্য বিধানসভায় আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সে সময় সার নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অসংসদীয় বাক্য ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে (Unparliamentary Behaviour)। এ দিন এই নিয়েই বিরোধী দলনেতার ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে সরকারপক্ষ । পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নিজে দ্বিতীয়ার্ধে বিষয়টি বিধানসভার নজরে আনেন এবং এই বিষয়টি উত্থাপন করে বিরোধী দলনেতার সমালোচনা করেন ।

বিধানসভায় তিনি বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে আমরা রাজ্য বিধানসভায় রয়েছি । কিন্তু আজ বিরোধী দলনেতার আচরণ সমস্ত সংসদীয় সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে । কোনও আলোচনায় তিনি অংশগ্রহণ করেন না । এখানে এসে চিৎকার করা ছাড়া বিরোধী দলনেতার কোনও কাজ নেই । শুধুমাত্র প্রেসে মুখ দেখানোর জন্য তিনি এ সব করছেন । আর এ সব করে তিনি শুধু রাজ্যের শাসক দলকে অসম্মান করছেন না, নিজের দলকেও অসম্মান করছেন । নিজের দৈন্যতা প্রকাশ করছেন । আর তাই আমরা তাঁর এই আচরণের তীব্র ভাষায় নিন্দা করছি ।"

একইসঙ্গে এ দিন এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আমরা সবাই এই বিধানসভার সদস্য । প্রত্যেকেই আমরা নিজেদের এলাকা থেকে জিতে এসেছি । আমাদের প্রত্যেকের আত্মসম্মান আছে । আমি একটা দল করি, তার নাম সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস । সেই দলের সততায় বিশ্বাস করি বলে এই দলটা করি । এখানে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা যখন বলেন, তৃণমূলের সবাই চোর, তখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদেরও চোর বলা হয় । এ কথা বলার অধিকার কি আদতে তাঁর আছে ? যাঁরা নিজেরা চোর হয় তাঁদের সবাইকে চোর মনে হয় ৷ এক্ষেত্রেও তাই । আমার কি এই অধিকার আছে বলার, যে মোদি খুনি, শাহ খুনি ! বিজেপির সবাই খুনি ! না সেই অধিকার আমার নেই । এটা বলার মনোবৃত্তিও আমার নেই । যেহেতু এই ঘটনায় বিধানসভার গরিমা নষ্ট হয়েছে, তাই এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানাচ্ছি ।"

আরও পড়ুন: বিধায়ক ভাঙিয়ে নয়, ভোটে জিতে বাংলায় বিজেপির সরকার হবে, দাবি শুভেন্দুর

পরে পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তাঁর পাশের চেয়ারের দিকে আঙুল দেখিয়ে বলেন, "আমি মানছি এখানে যিনি বসতেন তিনি অন্যায় করেছিলেন । সে সবের জন্য আমরা লজ্জিত । কিন্তু তা বলে তৃণমূলের সবাই চোর নয় । বিরোধী দলনেতা সবাইকে অসম্মান করছেন । 2020 সাল পর্যন্ত তিনিও তৃণমূলে ছিলেন । তাহলে কি তিনিও চোর ?"

এ দিন এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও । তিনি বলেন, "আজ যে কথাগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত অপমানজনক । তাতে আমিও খুব বিস্মিত হয়েছি । বিধানসভার অন্দরে স্লোগান শাউটিং হতেই পারে । তারও একটা পরিশীলিত মাত্রা থাকা দরকার । এমন কিছু যেন না বলা হয়, যাতে উত্তেজনা বাড়ে । আমার চেয়ার থেকে আমি তাঁকে একটু সতর্কই করে দিচ্ছি ৷ আগামী দিনে বিরোধী দলনেতা যেন এ বিষয়ে একটু সংযত থাকেন ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.