কলকাতা, 17 ফেব্রুয়ারি: আজব অভিযোগ উঠল বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে ৷ শুক্রবার বিধানসভায় ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে বিধানসভাকক্ষে নেশা করার অভিযোগ উঠল । অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি নেশার দ্রব্য ব্যবহার করছিলেন ৷ কিন্তু পরে ওই বিধায়ক পালটা দাবি করেন, সেই বস্তুটি নেশাজাতীয় নয়,অন্য কিছু ৷ এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল বিধানসভায় ৷
ঘটনার সূত্রপাত, অধিবেশনের প্রথমার্ধে ৷ বাজেট বক্তৃতা জবাবি আলোচনা ছিল ৷ অভিযোগ, ঠিক সেই সময় খৈনির নেশা করতে গিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনার মুখে পড়েন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী ৷ এদিন বাজেট আলোচনার সময় হঠাৎ চোখে পড়ে, নাটাবাড়ির বিধায়ক নিজের হাতে নিয়ে কিছু একটা ঘষছেন ৷ দৃশ্যটি নজরে পড়ে খোদ স্পিকারের। আর তখনই তিনি সমালোচনা করে বলেন, "বিধানসভা গণতন্ত্রের মন্দির ৷ এখানে বিধানসভা কক্ষের মধ্যে এভাবে কখনও খইনি খাওয়া যায় না ৷" প্রসঙ্গত বিধানসভার মধ্যে বিভিন্ন সময় অধ্যক্ষকে বিধায়কদের মোবাইল ব্যবহার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছে ৷ কিন্তু এভাবে কোনও নেশার বস্তু নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষুব্ধ হওয়ার ঘটনা এই প্রথম এবং যা অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ ৷
আরও পড়ুন: পরিষদীয় দলে ভাঙন ঠেকাতেই কি বিধানসভায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক বিজেপির সতীশ ধন্ডের
বিধানসভার প্রথমার্ধের বিরতিতে যাকে নিয়ে এই অভিযোগ, সেই বিধায়ক মিহির গোস্বামী তাঁর বিরুদ্ধে খৈনি খাওয়ার অভিযোগ নস্যাৎ করে বলেন, "এটা কোনও নেশার প্রশ্ন নয় ৷ কারণ অধ্যক্ষ যাকে খইনি বলে ভুল করেছিলেন, সেটা আসলে ছিল জোয়ান ৷ সাধারণত জোয়ানের মধ্যে ধুলো থাকে ৷ তাই খাওয়ার আগে অনেকে ঘষে নেন ৷ আমিও সেভাবেই ঘষে খাচ্ছিলাম ৷ খুব স্বাভাবিকভাবে এর থেকে এই ভুল ধারণা হয়েছে অধ্যক্ষের ৷ কিন্তু পরে আমি যখন অধ্যক্ষকে জানাই যে, আমি খইনি নয়, জোয়ান খাচ্ছিলাম, তখন তিনি হাসেন ।"
মিহির গোস্বামী আরও বলেন,"দীর্ঘদিন ধরে জোয়ান ব্যবহার করি আমি ৷ কিন্তু সেটাকে নিয়েও এভাবে বিতর্ক হতে পারে, তা আগে ভাবিনি ৷" যদিও বিজেপি বিধায়কের এই বক্তব্যের পর অধ্যক্ষের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ তবে বিধানসভায় আজ আর পাঁচটা অভিযোগের মধ্যে এই অভিযোগটি অবশ্যই নতুন এবং অভিনব ৷