কলকাতা, 3 এপ্রিল : কয়েকদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছিল । পরিকল্পনা করা হচ্ছিল ট্রেনের কোচগুলিকে উপযুক্ত সরঞ্জাম দিয়ে আইসোলেশন বা কোয়ারান্টাইন ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলা হবে । ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সেই কাজ । কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রকের নির্দেশে এবার পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের কোচগুলির মধ্যেই কোয়ারান্টাইন ওয়ার্ড তৈরির কাজ শুরু হল ।
আগেই কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছিলেন যে কোরোনা মোকাবিলায় দ্রুত রেলের কোচ থেকে শুরু করে গেস্টহাউজ় ও হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত আইসোলেশন ওয়ার্ড বানানো হবে। সেই মতো শুরু হয়েছে কাজ ।
দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গেছে, 329টি প্যাসেঞ্জার নন AC কোচকে আইসোলেশন বা কোয়ারান্টাইন ওয়ার্ডে পরিবর্তিত করার কাজ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পরামর্শে রোগীদের জন্য সমস্ত রকমের সুবিধা থাকবে কোচগুলিতে।
বর্তমানে খড়গপুর, সাঁতরাগাছি, টাটানগর ও হাতিয়ারায় এই কাজ চলছে। খড়গপুর ওয়ার্কশপে 160টি কোচের কাজ চলছে, সাঁতরাগাছি ডিপোতে 89টি কোচের কাজ চলছে এবং টাটানগর ও হাতিয়ার মিলিয়ে 80টি কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিণত করার কাজ চলছে।
কোচগুলিতে প্রয়োজনীয় যে সুবিধা থাকবে তা হল, ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিন, অক্সিজেন সিলিন্ডার, সুয়ারেজ সহ আরও অন্যান্য সরঞ্জাম। এছাড়াও সবকটি জানালায় মশার জাল লাগানো থাকবে।
পূর্ব রেলের তরফেও একাধিক কোচকে ইতিমধ্যে আইসোলেশন ও কোয়ারান্টাইন ওয়ার্ডে পরিবর্তিত করার কাজ শুরু হয়েছে।