কলকাতা, 31 জানুয়ারি: এ বার ক্ষোভের মুখে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁকে কংগ্রেসের আসল 'বিভীষণ' বলে মন্তব্য করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের ১৯ জন বিধায়ক ভাঙিয়ে নেওয়ার পরেও আবদুল মান্নান কী করে বিরোধী দলনেতা থাকেন, তা নিয়ে সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেসেরই একাংশ।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার গোপন যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেসের অধীর গোষ্ঠীর নেতারা। অধীর চৌধুরীর সঙ্গে আবদুল মান্নানের ঠাণ্ডা লড়াই চলছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কতটা প্রভাব ফেলবে বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়ায়, তা নিয়ে চিন্তিত কংগ্রেস এবং বামেদের জোট পন্থীরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে বিরোধী দলনেতার মতানৈক্য গোড়া থেকেই প্রবল। বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, অধীর চৌধুরী কংগ্রেসকে শেষ করে দিচ্ছেন। বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোট ভাঙলে তার দায় অধীর চৌধুরীর।
মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতার মধুর সম্পর্কের জন্যই বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারেন আবদুল মান্নান। কেন তৃণমূলের সম্পূর্ণ শক্তি থাকা সত্বেও দলবদল করা বিধায়কদের পদত্যাগ করিয়ে জিতিয়ে আনতে চাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? প্রশ্ন প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতৃত্বের।
আরও পড়ুন: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালয়ে মমতার প্রতিবাদ নিয়ে চূড়ান্ত রাজনৈতিক তরজা
বিরোধী দলনেতার পদে আবদুল মান্নানকে টিকিয়ে রাখতে চান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই দাবি কংগ্রেসের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বের। মান্নান আসলে কার লোক, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী কংগ্রেস বিধায়করা। রাজ্যের বিরোধী দলীয় নেতার নেতৃত্বেই আর্থিক কেলেঙ্কারি সারদা মামলা নিয়ে আইন-আদালত হয়েছিল। হঠাৎ করে কেন স্তিমিত হয়ে গেল বিরোধী দলনেতার তৎপরতা? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে বিধান ভবনের আশপাশে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করার সঙ্গে সঙ্গে কেন আবদুল মান্নান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন? প্রশ্ন শহর কংগ্রেসের এক নেতৃত্বের।
এমনকি সিপিএমের সঙ্গে জোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসের অধীরপন্থী অনেকেই। কেন নিজের ভাইকে তৃণমূলে পাঠিয়েছেন আবদুল মান্নান, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতা।