কলকাতা, 9 মে : লকডাউনের পর ক্যাম্পাস খোলার এক মাসের মধ্যে সিমেস্টারের কথা বলছেন শিক্ষা মন্ত্রী । সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক কথা বলছেন তিনি । মন্তব্য SFI - এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের । তিনি বলেন, " পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছোলে বিশেষত ফাইনাল সিমেস্টারের ছাত্রদের অসুবিধা হয় । তা মাথায় রাখা দরকার শিক্ষামন্ত্রীর । একইসাথে ভাবা প্রয়োজন, লকডাউন ওঠার মাত্র 1 মাসের মধ্যেই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আদৌ কি বাস্তবোচিত হবে ৷ "
সৃজন ভট্টাচার্যের দাবি, বিশেষত সেইসব দরিদ্র প্রান্তিক ছাত্ররা লকডাউনে একেবারেই অনলাইনে শিক্ষার সুযোগ বা সুফল পেলেন না ৷ লকডাউনের ফলে ইতিমধ্যেই ব্যাপক আর্থিক সংকটে জর্জরিত তাঁরা ৷ তাঁদের জন্য এই সময়টুকু মোটেই যথেষ্ট নয় । শিক্ষকরাও এক মাসের মধ্যে বকেয়া সিলেবাস শেষ করতে পারবেন না । এ বিষয় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কোনও মন্তব্য শোনা যাচ্ছে না ৷
তিনি বলেন, " আমরা ইতিমধ্যেই সবার জন্য লকডাউনের পর এক্সট্রা ক্লাসের দাবি জানিয়েছি । প্রয়োজনে সিলেবাসের পুনর্বিন্যাস নিয়ে ভাবা প্রয়োজন । সরকারের তরফে ডেডলাইন না চাপিয়ে, এই জাতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষগুলির উপরেই ছেড়ে দেওয়া শ্রেয় ৷ যাতে তারা সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে ৷ তারপর প্রয়োজনীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক সিদ্ধান্তে আসতে পারে । "
SFI-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের জন্য এতকিছু ৷ অথচ কেন্দ্র বা রাজ্য কোনও সরকার পড়ুয়াদের মতামত শোনার প্রয়োজনটুকুও বোধ করছেন না । এরপর ছাত্ররাও যে সরকারের সব কথা শুনবেই তা নিশ্চিত করা কঠিন ।