কলকাতা, 25 অক্টোবর: বিএসসি এবং এমএসসি নার্সিংয়ে ভরতির ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ । আগের দিকে র্যাংক থাকা প্রার্থীদের দূরের কলেজে এবং পিছনে র্যাংকের প্রার্থীদের কাছাকাছি কলেজে ভরতির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে ৷ এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন একাধিক প্রার্থী । বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন ।
জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে থেকে জুন মাসে কাউন্সেলিং করা হয় । সেখানে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একধিক জেলার বহু প্রার্থীকে উত্তরবঙ্গ, বাঁকুড়া, বীরভুমের দিকের কলেজ দেওয়া হয়েছে ৷ কারণ কাছাকাছি কোনও মেডিক্যাল কলেজে শূন্যপদ ছিল না । কিন্তু পরে 5 অক্টোবর ফের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন করে 57টি শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর । কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগেই যারা ভরতি হয়ে গিয়েছে তারা নতুন করে এই কাউন্সেলিংয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবে না । বাধ্য হয়ে যাদের আগের দিকে র্যাংক ছিল তারা দূরের কলেজে ভরতি হতে হয়েছে ৷
প্রার্থীদের বক্তব্য, তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরে আবেদন জানিয়েছিলেন যাতে তাঁদের পুনরায় কাউন্সেলিংয়ে (আপগ্রেডেশনের) বসার সুযোগ দেওয়া হয় । কিন্তু তাতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর । প্রার্থীদের কথায়, তাঁদের থেকে পরে র্যাংক থাকা প্রার্থীরা কাছাকাছি কলেজে পড়ার সুযোগ পাবে কিন্তু তারা কেন বঞ্চিত হবেন? তাঁরা যখন কাউন্সেলিংয়ে আপগ্রেডেশনের জন্য আবেদন করেছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয় শূন্যপদ নেই । কিন্তু পরে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হচ্ছে প্রচুর শূন্যপদ রয়েছে !
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আইনজীবী জানান, তিনি মামলার কপি পেয়েছেন । কিন্তু পুজোর ছুটির জন্য সরকারি অফিস বন্ধ থাকায় তাঁর কাছে কোনও নির্দেশ নেই । 30 অক্টোবর সরকারি অফিস খুলবে ।" ডেপুটি ডিরেক্টর হেলথ'র অফিস না খোলা পর্যন্ত তাঁর পক্ষে এই বিষয়ে কিছু বলা বা করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান ।
অন্যদিকে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য বলেন, "ইচ্ছাকৃতভাবে শূন্যপদ কমিয়ে দেখানো হয়েছে। ফলে প্রার্থীরা কাউন্সেলিংয়ে অংশগ্রহণ করে বাধ্য হয়েছে দূরের কলেজে ভরতি হতে । আমরা 18 অক্টোবর মামলাটা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে এসেছি । তখনও সরকারের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য নেই । 31 অক্টোবর কাউন্সেলিংয়ের তারিখ । যদি 30 অক্টোবর সরকারি অফিস খোলে তাহলে আপাতত প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক ।"
আরও পড়ুন: উচ্চ-প্রাথমিকে কাউন্সেলিং শুরুর নির্দেশ বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের
এ বিষয়ে ডেপুটি ডিরেক্টর অফ হেলথ-এর কী বক্তব্য, তা আগামিকালের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে । উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এমনটাই স্বাস্থ্য দফতরের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন ৷ বৃহস্পতিবার ফের শুনানি এই মামলার ।