কলকাতা, 8 সেপ্টেম্বর: মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে বাংলায় নিরক্ষরতা কমিয়ে আনার জন্য রোডম্যাপ তৈরির আবেদন জানালেন তৃণমূল সাংসদ (TMC MLA) সৌগত রায় । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে আলোচনা করে চার বছরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা বলেছেন তিনি ৷
সৌগত রায় বলেন, "আমি মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর (Siddiqullah Chowdhury) কাছে আবেদন করছি রাজ্যের বর্তমান সাক্ষরতার হারের নির্দিষ্ট অবস্থান ঠিক করে সেই সংখ্যাটা কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় তার জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান, আপনাকে সাহায্য করতে।"
প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, "দেশে নিরক্ষরতা নির্মূল করার ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) 2025 সালের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। আমি মনে করি কেন্দ্র এনইপি-র অধীনে রাজ্যগুলির জন্য তহবিল বরাদ্দ করবে। আমি আপনাকে (সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী) মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার এবং দিল্লিতে গিয়ে তহবিলের জন্য চাপ দেওয়ার। যাতে আমরা সমস্ত মানুষকে শিক্ষিত করার জন্য আমাদের যে প্রচেষ্টা তা জোরদার করতে পারি।" একই সঙ্গে সৌগত রায় জানান, বাংলার সাক্ষরতার হার কেরালার চেয়ে ভালো বা আরও ভাল হবে। সেই কাজে এনজিওগুলিকে কাজে লাগাতে হবে নির্দিষ্ট অঞ্চলে কাজ করার জন্য।
আরও পড়ুন: অনুব্রত প্রশ্নে মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিককে ধমক দিলেন সৌগত
রাষ্ট্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুইয়াঁ বলেন, "বাংলার নিরক্ষরতার হার 22 শতাংশ। যা জাতীয় গড় 27 শতাংশের চেয়ে অনেক ভালো। যে বাংলায় ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসগর, রাজা রামমোহন রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেখানে সাক্ষরতার স্তরটি আরও উপরে নিয়ে যেতে হবে। তিনি রাজ্যের প্রতিটি ব্লক এবং পঞ্চায়েত স্তরে একজন ডেডিকেটেড অফিসারকে দ্বায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান। যাতে 22 শতাংশ নিরক্ষরতার ট্যাগটি ছড়িয়ে দেওয়া যায়। মানসবাবু আরও বলেন, "আমি আপনাকে (সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী) পরামর্শ দিতে পারি যে আপনি বিধায়কদের তাঁদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় 100 জনকে শিক্ষিত করার এবং মহিলাদের সাক্ষরতার উপর বিশেষ জোর দেওয়ার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে পারেন।" দফতরের সচিব অনুপ আগরওয়াল বলেন, "রাজ্যে ডিজিটাল সাক্ষরতা, আর্থিক সাক্ষরতা এবং আইনি সাক্ষরতার জন্য বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে।"