কলকাতা, 26 জানুয়ারি: “আমাদের সময়ের দল বর্তমানের টপ ফর্মের মোহনবাগানকে হেলায় হারিয়ে দিত ।” যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বাইরে অনীত ঘোষের পাশে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন ডগলাস ভি সিলভা । ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের জার্সি পড়ে খেলেছেন । তবে লাল-হলুদ জার্সিতেই অধিক জনপ্রিয় । গত কয়েকমাস ধরেই কলকাতায় রয়েছেন । বেশ কিছু ফুটবল প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত । নিয়মিত যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলা দেখতে আসেন । ফলে দুই প্রধানের পারফর্ম্যান্সের ওঠা-পড়া সম্পর্কে অবহিত ।
ডগলাস বলছেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের অস্কার সেলিস ভালো ফুটবলার । তবে দলের প্রয়োজন অনুযায়ী খেলতে হবে । চটকদার ফুটবলের চেয়ে কার্যকরী ফুটবল কিভাবে হয়, সেটা দেখা উচিত ।’’ ক্লেইটন সিলভার পরিবর্তিত ভূমিকা নিয়ে দারুণ খুশি । তাঁর মতে, দলের অধিনায়ক দলের প্রয়োজনে যা দরকার সেটাই করছে । এটাই একজন নেতার গুণ । গোল পাচ্ছে না-দেখে অনেকে বলছেন । তবে ক্লেইটনের গোল পাওয়া নিয়ে আশ্বস্ত করছেন ডগলাস ডি সিলভা ।
কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে গোল করেছেন হিজাজি মাহের । ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন তারকার মতে, “রক্ষণ সামলানোর দক্ষতায় হিজাজি দলে থাকছে না । গোল করার দক্ষতার জন্য দলে থাকছে । গতবছরও গোল করেছিল, তা দেখে রেখে দেওয়া হয়েছিল । এবার আবার গোল করছে । তবে প্রচন্ড ধীর গতি । ট্যাকেল জোরদার নয় । আমাদের সময়ে দলেই আসতে পারত না ।”
ইস্টবেঙ্গলের আশিয়ান কাপজয়ী দলের সঙ্গে আইএসএলের কোন দলকে তুলনা করা যায় ? কথাটা উঠতেই প্রায় মাছি তাড়ানোর ভঙ্গীতে ডগলাস বলছেন, “এখন আইএসএলের এক নম্বর জায়গায় রয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট । ওদের এই দলকে আমাদের আশিয়ান কাপজয়ী দল সহজেই হারাত । উইং দিয়ে ওদের দৌড়নোর সুযোগ আমরা দিতামই না । আর বিদেশি স্ট্রাইকার, আমাদের ওই দলের ট্যাকলিংয়ের সামনে মাথা তুলতে পারত না । ওকোরো এখন খেললে প্রচুর গোল করত ।”