ETV Bharat / state

সন্দেশখালিতে বিজেপি কর্মী খুনে অভিযুক্ত শাহজাহান, নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

Sandeshkhali BJP workers murder case: সন্দেশখালিতে 2019 সালে ভারতীয় জনতা পার্টির 3 কর্মীকে খুন করে দেহ লোপাট করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ৷ দুটি এফআইআর দায়ের হয় ৷ দুটি মামলাতেই মূল আসামী ছিলেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। সেই মামলায় নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 17, 2024, 10:55 PM IST

Updated : Jan 18, 2024, 8:40 AM IST

কলকাতা, 17 জানুয়ারি: সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, তিনটি খুনের ঘটনায় নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত থাকবে। আপাতত পুলিশ তদন্ত করতে পারলেও এই মামলা শেষ না-হওয়া পর্যন্ত বিচারকার্য স্থগিত থাকবে।

আগামী 21 ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন সব মামলার কেস ডাইরি পেশ করতে হবে আদালতে। সব পক্ষকে হলফনামাও জমা দিতে হবে ওই দিনই। এমনই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। গত 8 জানুয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সন্দেশখালিতে 2019 সালের 6 জুন তিন বিজেপি কর্মীকে খুন করে তাঁদের দেহ লোপাট করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। প্রদীপ, দেবদাস এবং সুকান্ত মণ্ডলের মৃত্যু হয় সেদিন। এরপর দুটি পৃথক এফআইয়ারও দায়ের হয়। সুপ্রিয়া মণ্ডল ও পদ্মা মণ্ডল এই অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত এই মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়। দুটি মামলাতেই মূল অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। একটিতে 28 জন এবং অন্য আরও একটি মামলায় 24 জন মোট অভিযুক্ত ছিলেন।

দুটি মামলার চার্জশিট থেকে শেখ শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পদ্মা মণ্ডলের অভিযোগ, ঘটনার দিন শ'দুয়েক লোক হামলা চালায়। বেশ কিছু বাড়িতে হামলা চলানো হয়। প্রদীপ মণ্ডলকে গুলি করে চপার দিয়ে আক্রমণ করা হয়। পরে সুকান্ত মণ্ডলকে একটি দোকান ঘর থেকে বের করে এনে গুলি করা হয়। আরও একজনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নদীর চর থেকে তার দেহাংশ পাওয়া যায়। তাঁকেও একইভাবে খুন করা হয় বলেও অভিযোগ ৷

এরপর ন্যাজাট থানা দু'মাস ধরে তদন্ত করেও কিছু ফল না আসায় পরিবার মামলা দায়ের করে হাইকোর্টে। দুটি ঘটনাতেই মূল অভিযুক্ত শেখ শাহ জাহানের নাম বাদ দেওয়া হয় চার্জশিট থেকে এমনটাও অভিযোগ উঠেছে। এফআইআর-এ নাম না থাকা অন্য চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।

মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, "খুব গুরুতর অভিযোগ। এখনই নিম্ন আদালতের বিচার স্থগিত করে দিচ্ছি। তদন্ত ঠিক না হলে প্রয়োজনে নতুন করে তদন্ত হবে। এই মামলা এখনও পর্যন্ত যা শুনলাম অন্য যে কোনও এজেন্সির হাতে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ভয়ংকর অভিযোগ এসেছে। আগে পুলিশ কেস ডাইরি দিক তারপর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।"

আরও পড়ুন

কালীঘাটেই হবে রাম পুজো, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের তদন্তে সিট গঠন করল হাইকোর্ট

ইয়েমেনের ভিসার আবেদন মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত নার্স নিমিশা প্রিয়ার মায়ের

কলকাতা, 17 জানুয়ারি: সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, তিনটি খুনের ঘটনায় নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত থাকবে। আপাতত পুলিশ তদন্ত করতে পারলেও এই মামলা শেষ না-হওয়া পর্যন্ত বিচারকার্য স্থগিত থাকবে।

আগামী 21 ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন সব মামলার কেস ডাইরি পেশ করতে হবে আদালতে। সব পক্ষকে হলফনামাও জমা দিতে হবে ওই দিনই। এমনই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। গত 8 জানুয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সন্দেশখালিতে 2019 সালের 6 জুন তিন বিজেপি কর্মীকে খুন করে তাঁদের দেহ লোপাট করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। প্রদীপ, দেবদাস এবং সুকান্ত মণ্ডলের মৃত্যু হয় সেদিন। এরপর দুটি পৃথক এফআইয়ারও দায়ের হয়। সুপ্রিয়া মণ্ডল ও পদ্মা মণ্ডল এই অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত এই মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়। দুটি মামলাতেই মূল অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। একটিতে 28 জন এবং অন্য আরও একটি মামলায় 24 জন মোট অভিযুক্ত ছিলেন।

দুটি মামলার চার্জশিট থেকে শেখ শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পদ্মা মণ্ডলের অভিযোগ, ঘটনার দিন শ'দুয়েক লোক হামলা চালায়। বেশ কিছু বাড়িতে হামলা চলানো হয়। প্রদীপ মণ্ডলকে গুলি করে চপার দিয়ে আক্রমণ করা হয়। পরে সুকান্ত মণ্ডলকে একটি দোকান ঘর থেকে বের করে এনে গুলি করা হয়। আরও একজনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নদীর চর থেকে তার দেহাংশ পাওয়া যায়। তাঁকেও একইভাবে খুন করা হয় বলেও অভিযোগ ৷

এরপর ন্যাজাট থানা দু'মাস ধরে তদন্ত করেও কিছু ফল না আসায় পরিবার মামলা দায়ের করে হাইকোর্টে। দুটি ঘটনাতেই মূল অভিযুক্ত শেখ শাহ জাহানের নাম বাদ দেওয়া হয় চার্জশিট থেকে এমনটাও অভিযোগ উঠেছে। এফআইআর-এ নাম না থাকা অন্য চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।

মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, "খুব গুরুতর অভিযোগ। এখনই নিম্ন আদালতের বিচার স্থগিত করে দিচ্ছি। তদন্ত ঠিক না হলে প্রয়োজনে নতুন করে তদন্ত হবে। এই মামলা এখনও পর্যন্ত যা শুনলাম অন্য যে কোনও এজেন্সির হাতে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ভয়ংকর অভিযোগ এসেছে। আগে পুলিশ কেস ডাইরি দিক তারপর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।"

আরও পড়ুন

কালীঘাটেই হবে রাম পুজো, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের তদন্তে সিট গঠন করল হাইকোর্ট

ইয়েমেনের ভিসার আবেদন মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত নার্স নিমিশা প্রিয়ার মায়ের

Last Updated : Jan 18, 2024, 8:40 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.