কলকাতা, 7 এপ্রিল : ব্যাঙ্ক মার্জারের কারণে মাস পয়লায় বেতন হয়নি রাজ্যের বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর। অবশেষে সেই জট কাটিয়ে ধীরে ধীরে বেতন ঢুকছে সংযুক্ত হওয়া ব্যাঙ্কগুলিতে অ্যাকাউন্ট থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের।
10টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ হয়ে 4টি ব্যাঙ্ক হয়েছে। যার জেরে কোনও কোনও ব্যাঙ্কের আইএফএসসি কোডে বদল হয়েছে। তারপরেই যে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের স্যালারি অ্যাকাউন্ট ওই মিশে যাওয়া ব্যাঙ্কগুলিতে রয়েছে তাঁরা আশঙ্কায় ছিলেন যে, বেতন হওয়ায় সমস্যা হতে পারে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়। মাস পয়লায় তো দূরস্থান, অন্যান্য ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের মার্চ মাসের বেতন 2 এপ্রিল এসে গেলেও মিশে যাওয়া ব্যাঙ্কগুলিতে অ্যাকাউন্ট থাকা শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা বেতন পাননি।
আরও পড়ুন -অস্বস্তিকর গরম থেকে মিলবে স্বস্তি, রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস
তারপরেই প্রতিবাদে সরব হন বেতন না পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে স্কুল শিক্ষা দপ্তর ও জেলা পরিদর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। গত শনিবার স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে ওই সমিতিকে জানানো হয়, সমস্ত মিশে যাওয়া ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চের আইএফএসসি ও এমআইসিআর কোডগুলি জেলা পরিদর্শক অফিসগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে । সেখান থেকে এই তথ্য আপডেট করে রিক্যুইজিশন আগামী সোমবারের মধ্যেই পুনরায় জমা করা হবে। ফলে, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে সকলে নিশ্চিতভাবে বেতন পেয়ে যাবেন। কোনও শিক্ষককে ব্যক্তিগতভাবে তথ্য আপডেট করার জন্য জেলা পরিদর্শক অফিস বা বিডিও অফিসে যেতে হবে না বলেও জানানো হয়েছিল স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ 24 পরগনার জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার জানাচ্ছেন, সোমবার থেকেই বেশকিছু মিশে যাওয়া ব্যাঙ্কে বেতন জমা পড়া শুরু হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে সকলের বেতন জমা পড়ে যাবে বলে আশাবাদী তিনি। অনিমেষবাবু বলেন, "মোটামুটি বেতন ঢুকছে। আইএফআইসি এডিট করে বেতনটা জমা করছে। সোমবার থেকেই বেতন পাওয়া শুরু হয়েছে। তবে, এখনও সবাই পাননি। আরামবাগে এখনও পাইনি। আমি জেলা পরিদর্শকদের সঙ্গে কথা বলছি। তবে, আইএফআইসি কোড বদল করলেও ব্যাঙ্কের নাম বা এমআইসিআর কোডের পরিবর্তন করেনি। পরবর্তীকালে এটা নিয়ে আবার কোনও সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেই আশঙ্কা এখনও রয়েছে।"