কলকাতা, 20 অক্টোবর: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সিঙ্গুর-মন্তব্যে মুখর রাজনৈতিক মহল । সেই মন্তব্যেই এবার দোষারোপ, পালটা দোষারোপের রাজনীতিতে রাস্তায় নেমেছে শাসক ও বিরোধী শিবির । বাদ পড়েনি তৎকালীন শাসকদলও । সামাজিক মাধ্যম থেকে সংবাদ মাধ্যম, এক অপরকে দোষারোপ করতেই ব্যস্ত সকলে । একদিকে যেমন সিঙ্গুরের মন্ত্রী তথা বিধায়ক বেচারাম মান্না সামাজিক মাধ্যমে তৎকালীন রাজ্যপালের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ছবি পোস্ট করে সিপিআইএমকে আক্রমন করছেন । অন্যদিকে প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী ও বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জমি অধিগ্রহণ বিরোধিতাকে সমর্থন করলেও টাটা'দের চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না । আবার ন্যানো বাঁচাও কমিটির আহ্বায়ক ও বাম নেতা উদয়ন দাস বলছেন, অনেকে চাকরির জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন । সেই দিক থেকে ঘোরানোর জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য (Politics of outrage started in Bengal ) ।
সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক ও মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, "সিঙ্গুরে সিপিআইএম কারখানার নামে রাজনীতি করতে এসেছিল । সিঙ্গুরে তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধি যে চুক্তি করেছিল, তা মানতে চায়নি । তখন যদি মেনে নিত তাহলে সমস্যা হত না । সিপিআইএম ইচ্ছাকৃতভাবে এসব করিয়েছিল । যাতে তৃণমূল সরে যায় । কিন্তু মানুষ তৃণমূলকে সমর্থন করে । সিঙ্গুরে যা করেছে তার প্রায়শ্চিত্ত করতে অনেক সময় লাগবে । সিঙ্গুর থেকে মানুষ শিক্ষা নিয়েছে । জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না ।"
আরও পড়ুন: টাটাকে আমি তাড়াইনি, সিপিএম তাড়িয়েছে, দাবি মমতার
প্রাক্তন বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী নিজের চিন্তাভাবনা থেকে বলেছেন । আমি আমার চিন্তা থেকে বলছি, টাটা থাকলে ভালো হত । অনেক ক্ষতি হয়েছে । যে চুক্তিতে কার্যকরী চিন্তাভাবনা আমরা নিতে চেষ্টা করেছিলাম । সেই সময় সেই চুক্তি মানেনি পলিটব্যুরো । আমরাও ভুল করেছি 25 একর জমি রিলিজ দিয়ে, টাটাকে কারখানা করতে না-দিয়ে আন্দোলন করেছি । ধর্নায় বসেছি, সেটাও ভুল ছিল । আমরাও তার জন্য দায়ী । তবে সে সময় 25 একর জমি নিয়ে কোনও লাভ হত না । কারণ সেই জমি কয়েকশো কৃষকদের মধ্যে কীভাবে বন্টন করা হবে । সেটা বুমেরাং হয়ে যাবে । আন্দোলন করার জন্যই টাটা চলে গিয়েছে, এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই ।"