কলকাতা, 24 ডিসেম্বর : কসবার কুখ্যাত দুষ্কৃতী সোনা পাপ্পুকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ । একাধিক খুন, খুনের চেষ্টা, তোলাবাজি, মারধর, এলাকা দখলের চেষ্টা সহ প্রচুর মামলায় অভিযুক্ত পাপ্পু । সম্প্রতি কসবা এলাকার একটি গন্ডগোলেও নাম জড়িয়েছিল তার । এরপর থেকেই কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি রাউডি সেকশন তাকে খুঁজছিল । শেষমেশ পুলিশের জালে পাপ্পু ।
বিশ্বজিৎ পোদ্দার ওরফে পাপ্পুর বাড়ি সুইনহো লেনের জাহাজবাড়ি এলাকায় । রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তার বেড়ে ওঠা । পিকনিক গার্ডেনে রয়েছে সোনার দোকান । 2010 সাল । ধীরে ধীরে গড়ে তোলে সিন্ডিকেট । তারপর থেকে তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে । কসবা থানাতেই তার বিরুদ্ধে প্রায় 100 টি মামলা দায়ের হয়েছে । রয়েছে অবৈধ নির্মাণ, মারধর, খুনের চেষ্টার অভিযোগ । 2017 সালের 7 ফেব্রুয়ারি সুইনহো লেনে পলাশ জানা নামে এক যুবক খুন হন । সেই ঘটনার মূল অভিযুক্ত ছিল পাপ্পু । তখন তদন্তে নেমে কয়েকদিনের মধ্যে জলপাইগুড়ির ভক্তিনগরের একটি হোটেল থেকে পাপ্পুকে গ্রেপ্তার করে কসবা থানা এবং গুন্ডা দমন শাখার অফিসাররা । কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই জামিন পেয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে সে ।
সম্প্রতি কসবার মিলন সংঘ ক্লাবের সুরজিৎ কামারুকে থ্রেট করে পাপ্পুর দলবল । সেদিন সন্ধ্যায় সন্তোষ শর্মা এবং নাটা নামে পাপ্পুর দুই সাগরেদ আসে ক্লাবে । সঙ্গে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র । সেদিন ক্লাবে উপস্থিত সদস্যদের ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । ঘটনায় গুরুতর জখম হয় গোলক গঞ্জ নামে এক যুবক । তাকে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হয় । গোলকের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয় সোনা পাপ্পু,নাটা,অনন্ত নস্কর দিলীপ হালদার এবং সন্তোষ শর্মার বিরুদ্ধে । তদন্তে নেমে সন্তোষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয় । কিন্তু পাপ্পুর কোনও খোঁজ ছিল না । এদিকে সন্তোষ শর্মাকে গ্রেপ্তার নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তার দলবল । সেই সূত্রে ব্যাপক বোমাবাজি চলে এলাকায় । কিন্তু তখনও হদিশ মেলেনি পাপ্পুর । তদন্তে নেমে সোনার দলবল ও এলাকাবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ । সেই সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার হয় পাপ্পু ।