হুব্বালি, 6 নভেম্বর: মুডা কেলেঙ্কারিতে এবার লোকাযুক্ত পুলিশের মুখোমুখি হতে চলেছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ৷ মাইসোর আরবার ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (মুডা)-র জমি দুর্নীতিতে তদন্তের জন্য তাঁকে সমন পাঠিয়েছে মাইসুরুর লোকায়ুক্ত পুলিশ ৷ মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি এই হাজিরা দেবেন ৷ সিদ্দারামাইয়া বলেন, "আমি বুধবার সকাল 10টায় যাব ৷" মুডার অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া তাঁর স্ত্রী পার্বতীকে মাইসুরু আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-র 14টি জায়গা পাইয়ে দিয়েছেন, যা বেআইনি ৷
গত 25 অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী পার্বতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে লোকায়ুক্ত ৷ তিনি এই মামলায় দ্বিতীয় অভিযুক্ত ৷ সিদ্দারামাইয়া তাঁর স্ত্রী, শ্যালক মল্লিকার্জুন স্বামী, দেবারাজু-সহ আরও কয়েকজনের নাম রয়েছে এই দুনীতিতে ৷ দেবারাজুর থেকে মল্লিকার্জুন স্বামী এই জমি কিনে তা পার্বতীকে উপহার দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে ৷ গত 27 সেপ্টেম্বর লোকায়ুক্ত পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ৷
এর আগে এই দুর্নীতিতে কর্ণাটকের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল থাওয়ার চন্দ গেহলত ৷ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের এই ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রশাসনিক প্রধান সিদ্দারামাইয়া ৷ 24 সেপ্টেম্বর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় কর্ণাটক হাইকোর্ট ৷
গত 19 অগস্ট থেকে 12 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই মামলার ছ'টি শুনানি হয় ৷ তবে রায়দান স্থগিত রেখেছিল হাইকোর্ট ৷ এদিন বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্নর নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার আবেদন খারিজ করে জানায়, আবেদনে যে বিষয়গুলির উল্লেখ করা হয়েছে, তার তদন্ত অবশ্য প্রয়োজন ৷ বিচারপতি নাগাপ্রসন্ন বলেন, "আবেদনে যে বিষয়গুলি বলা হয়েছে, তার তদন্ত দরকার, এতে কোনও সন্দেহ নেই ৷ এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যাঁরা সুবিধে ভোগ করেছেন, তাঁরা আবেদনকারীর পরিবার ৷ বাইরের কেউ নন ৷ আবেদন বাতিল করা হল ৷"
এই জমি দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন অন্যতম প্রধান অভিযোগকারী স্নেহময়ী কৃষ্ণা ৷ এই মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন এদিনই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, লোকায়ুক্ত পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছে ৷ 26 নভেম্বর পরবর্তী শুনানি ৷