ETV Bharat / state

ছুটির দিনে চাপ কম, কড়া নিরাপত্তাতেই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ

কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পালিত হতে চলেছে তৃণমূলের শহিদ দিবস । গতকাল এই নিয়ে পুলিশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় । হাজির ছিলেন সব DC ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jul 19, 2019, 10:48 AM IST

কলকাতা, 19 জুলাই : কাজের দিন নয় । এবার রাজ্যের শাসকদলের শহিদ দিবস পড়েছে রবিবার । তাই সাধারণ মানুষের নাকাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম । পথে যানজটের আশঙ্কাও কম । তবু, ভিড় সামলাতে এবারও কড়া নিরাপত্তাতেই পালিত হবে শাসকদলের শহিদ সমাবেশ । কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে প্ল্যানিংয়ের কাজ শেষ ।


গতকাল কলকাতা পুলিশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় 21 জুলাই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ নিয়ে । যেখানে হাজির ছিলেন সব DC । প্ল্যানিং আগে থেকেই তৈরি ছিল । অভিজ্ঞ অফিসাররা জানেন, এইদিন কী ভাবে সামলাতে হয় ভিড় । কিন্তু, ঝুঁকি নিতে নারাজ লালবাজার । কারণ, শাসকদলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রায় 10 লাখ মানুষের সমাবেশ হতে পারে সেদিন । কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে এই সমাবেশ স্বাভাবিকভাবেই সমস্যা তৈরি করবে কিছুটা হলেও । যদিও হাওড়া স্টেশন থেকে উত্তর কলকাতা এবং দক্ষিণ কলকাতা যাওয়ার জন্য আলাদা রুট তৈরি করে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ । ফলে কিছুটা হলেও যানজট এড়িয়ে শহরবাসী যাতায়াত করতে পারবে উত্তর কিংবা দক্ষিণে ।

গতকাল লালবাজারের উচ্চপর্যায়ের ঠিক হয়েছে, এবার 5000 অতিরিক্ত পুলিশ সেদিন মোতায়েন হবে কলকাতায় । সূত্র জানাচ্ছে, সমাবেশের দায়িত্বে ওইদিন রাস্তায় থাকবেন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার 23 জন আধিকারিক ৷ সঙ্গে রাস্তায় থাকবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার 60 জন অফিসারও ৷ দায়িত্বে থাকছেন 160 জন পুলিশ ইন্সপেক্টর ৷ সার্জেন্ট এবং SI মিলিয়ে ওই দিন থাকতে চলেছে প্রায় 500 অফিসার । এছাড়াও সাদা পোশাকে থাকতে চলেছেন বহু পুলিশকর্মী । সঙ্গে থাকতে চলেছে কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স । থাকবে তিনটি কুইক রেসপন্স টিম । থাকবে ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ । এছাড়াও থাকবে ট্রমা কেয়ার ইউনিট । DC সেন্ট্রাল সহ চারজন DC থাকতে চলেছেন মঞ্চের মূল দায়িত্বে । মূলত যে মিছিলগুলি আসবে, তা মৌলালি ক্রসিং দিয়ে । সেখানকার দায়িত্বে থাকতে চলেছেন DC, DSD । আগের দিন রাতে দায়িত্ব পালন করবেন একজন ডেপুটি কমিশনার ।

কলকাতা পুলিশের কাছে যে খবর এসেছে তাতে শহরে বড় মিছিল আসবে শ্যামবাজার, শিয়ালদা, হাজরা গিরিশ পার্ক এবং হেদুয়া অঞ্চল থেকে । এই প্রস্তাবটি অঞ্চলে থাকবেন একজন করে ডেপুটি কমিশনার । কলকাতা পুলিশের বক্তব্য, কোন সমাবেশ শহরে কতটা সচল থাকবে তা নির্ভর করে পার্কিং এবং ম্যান ম্যানেজমেন্টের উপরে । লালবাজার সূত্রের খবর, সমাবেশের জন্য জেলা থেকে আসা বাস-ম্যাটাডর রাখার নির্দিষ্ট বন্দোবস্ত করা হয়েছে ।

উত্তর ২৪ পরগনার একটি অংশ থেকে আসা গাড়ি পার্ক করা হবে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে ৷ পশ্চিম মেদিনীপুর , বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া থেকে আসা গাড়ি থাকবে হেস্টিংস থানা এলাকায় ৷ উত্তর শহরতলি এবং মালদা , মুর্শিদাবাদ আসা গাড়িগুলি পার্ক করতে হবে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় রোডে ৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনা , উত্তর ২৪ পরগনার অবশিষ্ট এলাকা থেকে আসা গাড়ি বাইপাস সংলগ্ন বঙ্গবাসী মাঠ এবং রেঞ্জার্স মাঠে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ হয়ে যেসব গাড়ি শহরে ঢুকবে সেগুলি লাভার্স লেনে রাখা বাধ্যতামূলক ৷ শিয়ালদহ -বৌজাবার , বড়বাজারের ছোটো হোটেল এবং লজগুলিতে বহু তৃণমূল কর্মী আগের দিন থেকেই এসে যাবে ৷ পুলিশের পক্ষ থেকে সেই সব অতিথিনিবাসে দু'দিন আগে থেকেই কড়া নজর রাখা হচ্ছে ৷

কলকাতা, 19 জুলাই : কাজের দিন নয় । এবার রাজ্যের শাসকদলের শহিদ দিবস পড়েছে রবিবার । তাই সাধারণ মানুষের নাকাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম । পথে যানজটের আশঙ্কাও কম । তবু, ভিড় সামলাতে এবারও কড়া নিরাপত্তাতেই পালিত হবে শাসকদলের শহিদ সমাবেশ । কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে প্ল্যানিংয়ের কাজ শেষ ।


গতকাল কলকাতা পুলিশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় 21 জুলাই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ নিয়ে । যেখানে হাজির ছিলেন সব DC । প্ল্যানিং আগে থেকেই তৈরি ছিল । অভিজ্ঞ অফিসাররা জানেন, এইদিন কী ভাবে সামলাতে হয় ভিড় । কিন্তু, ঝুঁকি নিতে নারাজ লালবাজার । কারণ, শাসকদলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রায় 10 লাখ মানুষের সমাবেশ হতে পারে সেদিন । কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে এই সমাবেশ স্বাভাবিকভাবেই সমস্যা তৈরি করবে কিছুটা হলেও । যদিও হাওড়া স্টেশন থেকে উত্তর কলকাতা এবং দক্ষিণ কলকাতা যাওয়ার জন্য আলাদা রুট তৈরি করে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ । ফলে কিছুটা হলেও যানজট এড়িয়ে শহরবাসী যাতায়াত করতে পারবে উত্তর কিংবা দক্ষিণে ।

গতকাল লালবাজারের উচ্চপর্যায়ের ঠিক হয়েছে, এবার 5000 অতিরিক্ত পুলিশ সেদিন মোতায়েন হবে কলকাতায় । সূত্র জানাচ্ছে, সমাবেশের দায়িত্বে ওইদিন রাস্তায় থাকবেন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার 23 জন আধিকারিক ৷ সঙ্গে রাস্তায় থাকবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার 60 জন অফিসারও ৷ দায়িত্বে থাকছেন 160 জন পুলিশ ইন্সপেক্টর ৷ সার্জেন্ট এবং SI মিলিয়ে ওই দিন থাকতে চলেছে প্রায় 500 অফিসার । এছাড়াও সাদা পোশাকে থাকতে চলেছেন বহু পুলিশকর্মী । সঙ্গে থাকতে চলেছে কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স । থাকবে তিনটি কুইক রেসপন্স টিম । থাকবে ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ । এছাড়াও থাকবে ট্রমা কেয়ার ইউনিট । DC সেন্ট্রাল সহ চারজন DC থাকতে চলেছেন মঞ্চের মূল দায়িত্বে । মূলত যে মিছিলগুলি আসবে, তা মৌলালি ক্রসিং দিয়ে । সেখানকার দায়িত্বে থাকতে চলেছেন DC, DSD । আগের দিন রাতে দায়িত্ব পালন করবেন একজন ডেপুটি কমিশনার ।

কলকাতা পুলিশের কাছে যে খবর এসেছে তাতে শহরে বড় মিছিল আসবে শ্যামবাজার, শিয়ালদা, হাজরা গিরিশ পার্ক এবং হেদুয়া অঞ্চল থেকে । এই প্রস্তাবটি অঞ্চলে থাকবেন একজন করে ডেপুটি কমিশনার । কলকাতা পুলিশের বক্তব্য, কোন সমাবেশ শহরে কতটা সচল থাকবে তা নির্ভর করে পার্কিং এবং ম্যান ম্যানেজমেন্টের উপরে । লালবাজার সূত্রের খবর, সমাবেশের জন্য জেলা থেকে আসা বাস-ম্যাটাডর রাখার নির্দিষ্ট বন্দোবস্ত করা হয়েছে ।

উত্তর ২৪ পরগনার একটি অংশ থেকে আসা গাড়ি পার্ক করা হবে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে ৷ পশ্চিম মেদিনীপুর , বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া থেকে আসা গাড়ি থাকবে হেস্টিংস থানা এলাকায় ৷ উত্তর শহরতলি এবং মালদা , মুর্শিদাবাদ আসা গাড়িগুলি পার্ক করতে হবে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় রোডে ৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনা , উত্তর ২৪ পরগনার অবশিষ্ট এলাকা থেকে আসা গাড়ি বাইপাস সংলগ্ন বঙ্গবাসী মাঠ এবং রেঞ্জার্স মাঠে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ হয়ে যেসব গাড়ি শহরে ঢুকবে সেগুলি লাভার্স লেনে রাখা বাধ্যতামূলক ৷ শিয়ালদহ -বৌজাবার , বড়বাজারের ছোটো হোটেল এবং লজগুলিতে বহু তৃণমূল কর্মী আগের দিন থেকেই এসে যাবে ৷ পুলিশের পক্ষ থেকে সেই সব অতিথিনিবাসে দু'দিন আগে থেকেই কড়া নজর রাখা হচ্ছে ৷

Intro:কলকাতা, ১৮ জুলাই: কাজের দিন নয়। এবার রবিবার রাজ্যের শাসকদলের শহীদ সমাবেশ। তাই সাধারণ মানুষের নাকাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। পথে যানজটের আশঙ্কাও কম। তবু ভিড় সামলাতে এবারও কড়া নিরাপত্তাতেই পালিত হবে শাসকদলের শহীদ সমাবেশ। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে প্ল্যানিংয়ের কাজ শেষ। Body:আজ কলকাতা পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় 21 জুলাই তৃণমূলের শহীদ সমাবেশ নিয়ে। যেখানে হাজির ছিলেন সব DC। প্ল্যানিং আগে থেকেই তৈরী ছিল। অভিজ্ঞ অফিসাররা জানেন, এই দিন কীভাবে সামলাতে হয় ভিড়। কিন্তু ঝুঁকি নিতে নারাজ লালবাজার। কারণ শাসক দলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রায় 10 লাখ মানুষের সমাবেশ হতে পারে সেদিন। কোলকাতার প্রাণকেন্দ্রে এই সমাবেশ স্বাভাবিকভাবেই সমস্যা তৈরি করবে কিছুটা হলেও। যদিও হাওড়া স্টেশন থেকে উত্তর কলকাতা এবং দক্ষিণ কলকাতা যাওয়ার জন্য আলাদা রুট তৈরি করে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ। ফলে কিছুটা হলেও যানজট এড়িয়ে শহরবাসী যাতায়াত করতে পারবেন উত্তর কিংবা দক্ষিণে। Conclusion:আজ লালবাজারের উচ্চ পর্যায়ের ঠিক হয়েছে, এবার 5000 অতিরিক্ত পুলিশ সেদিন মোতায়েন হবে কলকাতায়। সূত্র জানাচ্ছে, সমাবেশের দায়িত্বে ওই দিন রাস্তায় থাকবেন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার ২৩ জন আধিকারিক৷ সঙ্গে রাস্তায় থাকবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার ৬০ জন অফিসারও৷ দায়িত্বে থাকছেন ১৬০ জন পুলিশ ইন্সপেক্টর৷ সার্জেন্ট এবং এসআই মিলিয়ে ওই দিন থাকতে চলেছে প্রায় 500 অফিসার। এছাড়াও সাদা পোশাকে থাকতে চলেছেন বহু পুলিশকর্মী। সঙ্গে থাকতে চলেছে কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স। খাচ্ছিস তিনটি কুইক রেসপন্স টিম। থাকবে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ। এছাড়াও থাকবে ট্রমা কেয়ার ইউনিট। ডিসি সেন্ট্রাল সহ চারজন ডিসি থাকতে চলেছেন মঞ্চের মূল দায়িত্বে। মূলত যে মিছিল গুলি আসবে, তা মৌলালি ক্রসিং দিয়ে। সেখানকার দায়িত্বে থাকতে চলেছেন DC DSD। আগের দিন রাতে দায়িত্ব পালন করবেন একজন ডেপুটি কমিশনার।

কলাকাতা পুলিশের কাছে যে খবর এসেছে তাতে শহরে বড় মিছিল আসবে শ্যামবাজার, শিয়ালদা, হাজরা গিরিশ পার্ক এবং হেদুয়া অঞ্চল থেকে। এই প্রস্তাবটি অঞ্চলে থাকবেন একজন করে ডেপুটি কমিশনার। কলকাতা পুলিশের বক্তব্য, কোন সমাবেশ শহরে কতটা সচল থাকবে তা নির্ভর করে পার্কিং এবং ম্যান ম্যানেজমেন্টের উপরে। লালবাজার সূত্রের খবর, সমাবেশের জন্য জেলা থেকে আসা বাস -ম্যাটাডর রাখার নির্দিষ্ট বন্দোবস্ত করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার একটি অংশ থেকে আসা গাড়ি পার্ক করা হবে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে৷ পশ্চিম মেদিনীপুর , বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া থেকে আসা গাড়ি থাকবে হেস্টিংস থানা এলাকায়৷ উত্তর শহরতলি এবং মালদা , মুর্শিদাবাদ আসা গাড়িগুলি পার্ক করতে হবে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় রোডে৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনা , উত্তর ২৪ পরগনার অবশিষ্ট এলাকা থেকে আসা গাড়ি বাইপাস সংলগ্ন বঙ্গবাসী মাঠ এবং রেঞ্জার্স মাঠে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ হয়ে যেসব গাড়ি শহরে ঢুকবে সেগুলি লাভার্স লেনে রাখা বাধ্যতামূলক৷ শিয়ালদহ -বৌজাবার , বড়বাজারের ছোটো হোটেল এবং লজগুলিতে বহু তৃণমূল কর্মী আগের দিন থেকেই এসে যাবেন৷ পুলিশের পক্ষ থেকে সেই সব অতিথিনিবাসে দুদিন আগে থেকেই কড়া নজর রাখা হচ্ছে৷ 
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.