কালনা, 19 ফেব্রুয়ারি: দিনের বেলায় রাস্তায় এক ব্যক্তিকে কাটারি দিয়ে কুপিয়ে খুন করলেন এক মহিলা । গুরুতর আঘাতের জেরে রাস্তার উপরেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি । বুধবার এমনই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার রানিবন্দ গ্রামে । কালনা থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সামিম মণ্ডল (34)। দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অভিযুক্ত মহিলা নয়ন ক্ষেত্রপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বেলার দিকে পথচারীরা দেখতে পায় এক মহিলা চিৎকার করতে করতে প্রকাশ্য রাস্তায় এক ব্যক্তিকে কাটারি দিয়ে কোপ মারছেন । রক্তে ভেসে যাচ্ছে যুবকের দেহ । নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও পারেননি যুবক । আশেপাশের মানুষজন সেই দৃশ্য দেখলেও ভয়ে তাকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে যায়নি । ঘটনাস্থলেই ওই যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে । সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় ।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সামিম ছিলেন বিবাহিত । অভিযুক্ত মহিলা নয়ন ক্ষেত্রপাল তাঁর পাতানো দিদি ছিলেন ৷ বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোন নিয়ে কোনও সমস্যা চলছিল, যা নিয়ে সম্পর্কের অবনতি ঘটে । মঙ্গলবার ওই মহিলা সামিমের বাড়িতে গিয়ে খুনের হুমকি দিয়ে আসেন । এরপর আজ এই ঘটনা ।
যদিও স্থানীয়দের দাবি, সামিম ও নয়ন ক্ষেত্রপাল দু'জনেই বিবাহিত । তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল । তবে সম্পর্কের অবনতি হলেও শামিম তার পিছু ছাড়ছিল না বলে অভিযোগ । নয়নকে বিরক্ত করত, যা নিয়ে দু'জনের বিবাদ চরমে ওঠে । এদিন খুনের ঘটনার পরে কালনা থানার পুলিশ অভিযুক্ত মহিলা নয়ন ক্ষেত্রপালকে গ্রেফতার করে ।
রাজু মণ্ডল নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, "দেখলাম এক মহিলা প্রকাশ্য রাস্তার উপরে এক যুবককে অস্ত্র দিয়ে কোপ মারছে । রাস্তার অন্যান্য লোকেরা সেই দৃশ্য দেখলেও ভয়ে কেউ এগিয়ে যায়নি ।"
মৃতের দিদি পাপিয়া বিবি বলেন, "যাকে আমার ভাই দিদি পাতিয়েছিল সেই মহিলা গতকাল আমার বাড়িতে এসেছিল । সেখানে আমার ভাইকে খুনের হুমকি দিয়ে আসে । ওই মহিলাই আজ ভাইকে খুন করেছে । ওদের দু'জনের মধ্যে ফোন নিয়ে কোন ঝামেলা হয়েছিল মনে হয় । তারপর বাড়ি গিয়ে শাসিয়ে আসে । এদিন ওকে খুন করে ।"