হিঙ্গলগঞ্জ, 19 ফেব্রুয়ারি: মঙ্গলবার থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে । বুধবার উত্তর 24 পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় আচমকা প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয় । তাতে দুলদুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের কেদারচক লঞ্চঘাট এলাকায় রায়মঙ্গল নদীর 400 ফুট বাঁধে ধসে নদী গর্ভে চলে গিয়েছে । আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা । যদিও ব্লক প্রশাসন দ্রুত বাঁধ মেরামতির আশ্বাস দিয়েছে ।
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে হিঙ্গলগঞ্জের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে । বুধবার সকালে সেই বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয়েছে ঝড়ও । তুমুল ঝড়-বৃষ্টিতে কয়েকটি জায়গায় গাছ ভেঙে গিয়েছে । জল জমে গিয়েছে বেশকিছু এলাকায় । বৃষ্টির জলে নদী বাঁধ নরম হয়ে গিয়েছিল । তার জেরে এদিন সকালে দুলদুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের কেদারচক লঞ্চ ঘাটের কাছে আচমকা নদী বাঁধে ফাটল দেখা দেয় । কিছুক্ষণ পর জানা যায়, বাঁধের দীর্ঘ অংশ ধীরে ধীরে নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে । ঘণ্টাখানেকের মধ্যে প্রায় 400 ফুট বাঁধ নদীর বুকে নেমে গিয়েছে । তাতে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ।
এই বিষয়ে মহাজী যোগেন মণ্ডল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "এরকম নদী ভাঙন এর আগে কখনও আমি দেখেনি । ঝড়-বৃষ্টিতে সকাল থেকেই উত্তাল রায়মঙ্গল নদী । তারই মধ্যে আচমকা নদীর ছ'ফুট এলাকা জুড়ে পাড় ভেঙে নদী গর্ভে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে । যার জেরে যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি । ভয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে, কখন কী হয় এই ভেবে ।"

একই সুর শোনা গিয়েছে নদী পাড়ের দুই বাসিন্দা বিশাখা বিশ্বাস ও শুভ বিশ্বাসের গলাতেও । তাঁদের কথায়, "সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে হিঙ্গলগঞ্জের কেদারচক এলাকায় । এরপরই দেখতে পাই, নদীর পাড়ের 400 ফুট এলাকা ধসে গিয়েছে । কিছু গাছপালাও নদী গর্ভে চলে গিয়েছে । নদীর পাড়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করতে হয় আমাদের । স্বভাবতই আতঙ্ক হওয়াটা স্বাভাবিক । এখনও প্রশাসনের তরফে নদী বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়নি । রাতের দিকে ফের ঝড়-বৃষ্টি হলে ভাঙন আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে । প্রশাসনের উচিত নদী ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগী হওয়া ।"

এদিকে, এ নিয়ে হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও দেবদাস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় সকাল থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে । সঙ্গে ঝড়ও ছিল । নদীবাঁধের ভাঙা অংশ দ্রুত মেরামত করার চেষ্টা চলছে ।"
