ETV Bharat / state

রেস্তরাঁ, অতিথিশালার আড়ালে হারাতে বসেছে কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচির বাড়ি

"বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই, মাগো আমার শোলোক-বলা কাজলা দিদি কই" ৷ সেই কাজলাদিদিও আজ নেই । হারিয়ে যাচ্ছে যতীন্দ্রমোহনের সব ইতিহাসও । স্বর্ণোজ্জ্বল সেই কবির স্মৃতিবিজড়িত সম্পদ আজ ধূলিসাৎ হতে বসেছে । কলকাতার বাড়ির সঙ্গে সঙ্গে কবির নদিয়ার বাড়িটিও আজ ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে । রেস্তরাঁ আর অতিথিশালার আড়ালে হারাতে বসেছে কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচির স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি ।

কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর বাড়ি
author img

By

Published : Oct 21, 2019, 3:16 PM IST

Updated : Oct 21, 2019, 10:34 PM IST

কলকাতা, 21 অক্টোবর : যে বারান্দায়, যে ঘরে বসে 'কাজলা দিদি' বা 'হাট'-এর মতো কবিতা রচনা করেছেন, সেই বারান্দায় আজ অপরিচিতের আনাগোনা । যাঁদের অনেকেই জানেন না যে মেঝেতে হেঁটে বেড়াচ্ছেন সে মেঝেতেই এককালে পায়চারি করতেন স্বনামধন্য সাহিত্যিক যতীন্দ্রমোহন বাগচি ।

কলকাতার প্রায় অনেক পুরোনো বাড়িতেই শরিকি লড়াই বা লোকবলের অভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের ছাপ স্পষ্ট । অনেক বাড়ি আবার পরিবারের আর্থিক কারণে মেরামত হয় না । কিছু বাড়ি হেরিটেজ তালিকাভুক্ত হওয়ায় মাথা তুলে দাঁড়ালেও বাকিগুলো রয়ে যায় আড়ালেই । দক্ষিণ কলকাতার হিন্দুস্থান পার্ক সংলগ্ন যতীন্দ্রমোহন বাগচি রোডে কবি-সাহিত্যিক যতীন্দ্রমোহন বাগচির বাড়িটি এভাবেই আজ হারিয়ে যাওয়ার পথে । বাড়ির সিংহভাগ জুড়ে তৈরি হয়েছে রেস্তরাঁ । দোতালায় হয়েছে অতিথিনিবাস । আরও একটি সাহিত্যের ইতিহাস হারিয়ে যেতে বসেছে । আর কয়েক বছর পরে হয়ত সমগ্র বাড়িটির কোনও অস্তিত্বই থাকবে না‌ । বিলাসবহুল বার, রেস্তরাঁ এবং গেস্ট হাউজ়ে পরিণত হবে কবি যতীন্দ্রমোহনের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি ।

দেখুন ভিডিয়ো

বাড়ির প্রবেশপথে এখনও খোদাই করা রয়েছে তাঁর নাম । "বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই, মাগো আমার শোলোক-বলা কাজলা দিদি কই" ৷ সেই কাজলাদিদিও আজ নেই । হারিয়ে যাচ্ছে যতীন্দ্রমোহনের সব ইতিহাস । রবীন্দ্রোত্তর যুগের কবিদের অন্যতম যতীন্দ্রমোহন । স্বর্ণোজ্জ্বল সেই কবির স্মৃতিবিজড়িত সম্পদ আজ ধূলিসাৎ হতে বসেছে । কবির নাতবউ চিন্ময়ী বাগচি জানাচ্ছেন, এই বাড়িটি হারিয়ে যেতে চলেছে । আগে বিশাল বাড়ি ছিল । সাড়ে ছ'কাঠা জমির উপর । সঙ্গে আরও সাড়ে তেরো কাঠা জমি বাড়ির চারিদিকে ছড়িয়ে । সেই সব জমি বিক্রি হয়ে গেছে । বাড়ি হয়ে গেছে সেই জমিতে । বাড়ির অর্ধেক অংশ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে । কবির নিকটাত্মীয়রা সে কাজ করেছেন বলে দাবি করেন চিন্ময়ী বাগচি ।

নদিয়া জেলার জামশেরপুর গ্রামে 1878 সালের 27 নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন কবি । কলকাতার ডাফ কলেজ থেকে স্নাতক হন । দীর্ঘদিন "মানসী" পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন । পল্লি প্রকৃতির সৌন্দর্য, পল্লি জীবনের সুখ-দুঃখের কথা তিনি দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর কবিতায় । যে বাড়িতে বসে এত ভাবনা, এত সৃষ্টি বা যেই বাড়িতে বেড়ে ওঠা সেখানে কবির অস্তিত্ব আজ সংকটে । চলে লাউড মিউজ়িক । দেওয়ালে বট-অশ্বত্থের রাজত্ব । কলকাতার বাড়ির সঙ্গে সঙ্গে কবির নদিয়ার বাড়িটিও আজ ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে । জানালেন চিন্ময়ী বাগচি । তাঁর আক্ষেপ, নদিয়ার বাড়িতেও একসময় দুর্গাপুজো, কালীপুজো হত । সেই বাড়ি আজ ভেঙে পড়েছে । চিন্ময়ী বাগচির আশঙ্কা, কলকাতার এই বাড়িটিও পুরো বিক্রি করে দিতে হবে ।

কলকাতা, 21 অক্টোবর : যে বারান্দায়, যে ঘরে বসে 'কাজলা দিদি' বা 'হাট'-এর মতো কবিতা রচনা করেছেন, সেই বারান্দায় আজ অপরিচিতের আনাগোনা । যাঁদের অনেকেই জানেন না যে মেঝেতে হেঁটে বেড়াচ্ছেন সে মেঝেতেই এককালে পায়চারি করতেন স্বনামধন্য সাহিত্যিক যতীন্দ্রমোহন বাগচি ।

কলকাতার প্রায় অনেক পুরোনো বাড়িতেই শরিকি লড়াই বা লোকবলের অভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের ছাপ স্পষ্ট । অনেক বাড়ি আবার পরিবারের আর্থিক কারণে মেরামত হয় না । কিছু বাড়ি হেরিটেজ তালিকাভুক্ত হওয়ায় মাথা তুলে দাঁড়ালেও বাকিগুলো রয়ে যায় আড়ালেই । দক্ষিণ কলকাতার হিন্দুস্থান পার্ক সংলগ্ন যতীন্দ্রমোহন বাগচি রোডে কবি-সাহিত্যিক যতীন্দ্রমোহন বাগচির বাড়িটি এভাবেই আজ হারিয়ে যাওয়ার পথে । বাড়ির সিংহভাগ জুড়ে তৈরি হয়েছে রেস্তরাঁ । দোতালায় হয়েছে অতিথিনিবাস । আরও একটি সাহিত্যের ইতিহাস হারিয়ে যেতে বসেছে । আর কয়েক বছর পরে হয়ত সমগ্র বাড়িটির কোনও অস্তিত্বই থাকবে না‌ । বিলাসবহুল বার, রেস্তরাঁ এবং গেস্ট হাউজ়ে পরিণত হবে কবি যতীন্দ্রমোহনের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি ।

দেখুন ভিডিয়ো

বাড়ির প্রবেশপথে এখনও খোদাই করা রয়েছে তাঁর নাম । "বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই, মাগো আমার শোলোক-বলা কাজলা দিদি কই" ৷ সেই কাজলাদিদিও আজ নেই । হারিয়ে যাচ্ছে যতীন্দ্রমোহনের সব ইতিহাস । রবীন্দ্রোত্তর যুগের কবিদের অন্যতম যতীন্দ্রমোহন । স্বর্ণোজ্জ্বল সেই কবির স্মৃতিবিজড়িত সম্পদ আজ ধূলিসাৎ হতে বসেছে । কবির নাতবউ চিন্ময়ী বাগচি জানাচ্ছেন, এই বাড়িটি হারিয়ে যেতে চলেছে । আগে বিশাল বাড়ি ছিল । সাড়ে ছ'কাঠা জমির উপর । সঙ্গে আরও সাড়ে তেরো কাঠা জমি বাড়ির চারিদিকে ছড়িয়ে । সেই সব জমি বিক্রি হয়ে গেছে । বাড়ি হয়ে গেছে সেই জমিতে । বাড়ির অর্ধেক অংশ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে । কবির নিকটাত্মীয়রা সে কাজ করেছেন বলে দাবি করেন চিন্ময়ী বাগচি ।

নদিয়া জেলার জামশেরপুর গ্রামে 1878 সালের 27 নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন কবি । কলকাতার ডাফ কলেজ থেকে স্নাতক হন । দীর্ঘদিন "মানসী" পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন । পল্লি প্রকৃতির সৌন্দর্য, পল্লি জীবনের সুখ-দুঃখের কথা তিনি দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর কবিতায় । যে বাড়িতে বসে এত ভাবনা, এত সৃষ্টি বা যেই বাড়িতে বেড়ে ওঠা সেখানে কবির অস্তিত্ব আজ সংকটে । চলে লাউড মিউজ়িক । দেওয়ালে বট-অশ্বত্থের রাজত্ব । কলকাতার বাড়ির সঙ্গে সঙ্গে কবির নদিয়ার বাড়িটিও আজ ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে । জানালেন চিন্ময়ী বাগচি । তাঁর আক্ষেপ, নদিয়ার বাড়িতেও একসময় দুর্গাপুজো, কালীপুজো হত । সেই বাড়ি আজ ভেঙে পড়েছে । চিন্ময়ী বাগচির আশঙ্কা, কলকাতার এই বাড়িটিও পুরো বিক্রি করে দিতে হবে ।

Intro:


Body:video


Conclusion:
Last Updated : Oct 21, 2019, 10:34 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.