কলকাতা, ৭ ডিসেম্বর : জীবিত প্যাঙ্গোলিন ও তার স্কিনের পাচার চলছিলই । কিছুদিন আগে কাস্টমসের হাতে ধরা পড়ে পাচার চক্রটি । এবার জানা গেল,প্যাঙ্গোলিনের আঁশেও নজর রয়েছে পাচারকারীদের । সেটিরও পাচার চলছে দিব্য । প্যাঙ্গোলিনের আঁশ পাচারের অভিযোগে 4 জনকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশ । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খোঁজ করার চেষ্টা করছে পুলিশ ।
সূত্র মারফত খবর পাওয়া যায় বন্যপ্রাণীর দেহাবশেষ পাচার হবে । কিন্তু কী সেই বস্তু তা নিয়ে কোনও ধারণা ছিল না । কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সেই সূত্রের খবরের ভিত্তিতে জোড়াসাঁকো থানা এলাকায় চালাচ্ছিল নজরদারি । গতকাল রাজেন্দ্র লেন থেকে ধরা হল 4 জনকে । তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় প্যাঙ্গোলিনের 6 টি আঁশ । তারপরই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ । ধৃতদের নাম যামিনী মাহাত, কাশীনাথ পারুই, শংকর মাহাত, তপন পাল ।
পুলিশ জেনেছে, ওই 6 টি আঁশ আনা হয়েছিল পুরুলিয়া থেকে । অর্থাৎ সেখানেই প্যাঙ্গোলিন মেরে ওই আঁশ আনা হয়েছে কলকাতায় । যামিনী আর শঙ্কর পুরুলিয়ার বাসিন্দা । পুলিশের সন্দেহ তারাই এনেছে ওই আঁশ । এদিকে, কাশীনাথ হুগলির বাসিন্দা । লালবাজারের ধারণা সে এই চক্রের মিডল ম্যান । চক্রে জড়িত কলকাতার তপন পাল । এরা চারজন মিলে ওই আঁশ পাচারের চেষ্টা করছিল । কিন্তু কাদের? সবমিলিয়ে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
এর আগে একাধিকবার জলপাইগুড়ি, কলকাতার হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট, ঠাকুরপুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে প্যাঙ্গোলিন । বিশ্বের এই একমাত্র আঁশযুক্ত স্তন্যপায়ী এশিয়া ও আফ্রিকায় দেখায় যায়। প্রাণীটি বিশ্বের সব থেকে বেশি শিকার ও পাচার হওয়া স্তন্যপায়ীও । বিভিন্ন গবেষণার রিপোর্টে প্যাঙ্গোলিন পাচারের বিভিন্ন দিকের বিশ্লেষণ পাওয়া যায় । মূলত এর মাংস বিক্রির জন্য এটিকে বেআইনিভাবে পাচার করা হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে । এছাড়াও এদেরে আঁশ, রক্ত ও শরীরের অন্যান্য অংশ চিনের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় । আঁশ থেকে বিভিন্ন সাজগোজের জিনিসও তৈরি করা হয় ।