কলকাতা, 8 মে : রাজ্যে 25 টি আসনে ভোট হয়ে গিয়েছে । বাকি আর দু'দফায় 17টি আসনে নির্বাচন । 23 মে রাজ্যে ঘাসফুল যে ফুটছেই, তা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম সেনাপতি পার্থ চট্টোপাধ্যায় । আঞ্চলিক দলগুলিকে একজোট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লির মসনদে পৌঁছে যাওয়ার বিষয়েও আশাবাদী তিনি । ETV ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের দল, বিরোধী দলগুলি ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে উঠে এল একাধিক প্রসঙ্গ । রইল সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্ব ।
ETV ভারত : বিরোধীরা একাধিকবার অভিযোগ করেছেন রাজ্যে ভোটে সন্ত্রাস চলছে ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অকেজো করে ভোট হচ্ছে । কী বলবেন ?
পার্থ চট্টোপাধ্যায় : আমরা রাজ্যের পুলিশ বাহিনীকে চুপ করিয়ে রেখেছি । কেন্দ্রীয় বাহিনীকে চুপ করিয়ে রেখেছি । রাজ্যের ভোটারদেরও আমাদের সঙ্গে রেখেছি । তাহলে কি BJP-র খাতা খুলতে গেলে রাষ্ট্রপুঞ্জের পিস কিপিং ফোর্সকে আনতে হবে ? যদিও কখনও তা হবে না । রাজ্যের মানুষের হয়ে যাদের লড়াইয়ের ইতিহাস নেই, তারা এসেছে ক্ষমতা দখল করতে ।
ETV ভারত : ভোটের 24 ঘণ্টা আগে পুলিশ অফিসারদের বদলি করছে কমিশন । এটা কি পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে হচ্ছে ?
পার্থ চট্টোপাধ্যায় : এতে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন আসবে । নির্বাচন কমিশন এই অফিসারদের পরিবর্তন করে যাদের নিয়ে আসছে, তারাও তো এরাজ্যের মানুষ । কাদের বুদ্ধিতে ওরা এসব করছে জানি না । জনভিত্তি নেই তাই কখনও হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট বা নির্বাচন কমিশনের দরকার BJP-র। এভাবে, বাংলার মানুষের আশীর্বাদ পাওয়া যায় না ।
ETV ভারত : নির্বাচনে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া সফল হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান কী হবে ?
পার্থ চট্টোপাধ্যায় : আমাদের প্রথম লক্ষ্য যতটা বেশি আসন পাওয়া, অর্থাৎ 42-এ 42টি আসনে জয়লাভ করা । তারপর আঞ্চলিক দলগুলিকে একজোট করে BJP-র বিরুদ্ধে ফ্রন্ট করে কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়া । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে আমাদের দল নিয়ন্ত্রক ভূমিকা হিসেবে কাজ করবে ।
সাক্ষাৎকারের পরবর্তী অংশ তৃতীয় পর্বে.........
এই সংক্রান্ত খবর : দলে নিজেদের মধ্যে অল্প-বিস্তর ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে : পার্থ