কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর: দুবাই বিমানবন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বুধবার সকালে সাক্ষাৎ হয় শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংঘের । প্রথমে সৌজন্য বিনিময় এবং পরবর্তীতে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দু'জনের মধ্যে। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোয় তুমুল রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে । শ্রীলঙ্কার আর্থিক দুরবস্থার সঙ্গে বাংলার আর্থিক ঋণের তুলনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা । ইন্ডিয়া জোটের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি না ? প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংঘের এই প্রশ্ন নিয়েও বিরোধীরা কটাক্ষ করেছে।
এই বিষয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার বলেন, "যে এই সাক্ষাতের বিষয়টি আদৌ সত্যিই কি না আমার জানা নেই । শ্রীলঙ্কার যিনি রাষ্ট্রপ্রধান আছেন তাঁর হয়তো মনে হয়েছে যে তাঁদের ছয় হাজার কোটি টাকার ঋণের জন্য দেশ দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল ৷ আর এই ভদ্রমহিলা প্রায় 6 হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফেলেছেন তাঁর রাজ্য এখনও দেউলিয়া হয়নি তাই তাঁকে দেখে হয়তো ইন্সপায়ার হয়ে গিয়েছেন যে এই রকম ঋণ নেওয়া ভদ্রমহিলার সঙ্গে কথা বলতে হবে ।"
শ্রীলঙ্কার আর্থিক দুরবস্থার কথা স্মরণ করিয়ে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ মুখ্যমন্ত্রীর । ওখানেও (শ্রীলঙ্কা) তো সিট খালি হয়েছে । ওখানেও যেতে পারতেন । যখন মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ।"
বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "শ্রীলঙ্কার আর্থিক অবস্থার কথা সকলের জানা । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সাড়ে ছয় লক্ষ কোটি টাকা ঋণে জর্জরিত । গত কয়েকবছর ধরে বছরে পঞ্চাশ কোটি টাকা খরচ করে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করছে । যেখানে মউ স্বাক্ষর ছাড়া কিছুই হয় না । শ্রীলঙ্কার আর্থিক অবস্থার কথা জেনেও প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংঘকে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ডাকছেন । তারপরও ডাকে মউ স্বাক্ষর করে হেডলাইন হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন ।"
আরও পড়ুন : এখন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মুখেও প্রশ্ন, মমতাই কি বিরোধী জোটের মুখ