ETV Bharat / state

Panchayat Election 2023: নির্বাচনের দিন ঠিক করার আগে সর্বদলীয় বৈঠক নেই কেন ? তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের - পঞ্চায়েত নির্বাচন

বেজে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা ৷ নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই রাজ-রাজনীতি উত্তাল ৷ জল গড়িয়েছে হাইকোর্ট পর্যন্তও ৷ এই পরিস্থিতিতে নির্বাতন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবির ৷

Etv Bharat
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে অসন্তুষ্ট বিরোধী শিবির
author img

By

Published : Jun 9, 2023, 4:21 PM IST

কলকাতা, 9 জুন: রাজ্য নির্বাচনী কমিশনারের দায়িত্বভার গ্রহণ করার 24 ঘণ্টার মধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছেন নয়া কমিশনার রাজিবা সিনহা । সর্বদলীয় বৈঠক না করেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করায় বিষয়টি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ শুরু হয়েছে বিরোধী শিবিরে ।

আগামী 8 জুলাই রাজ্যে একদফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ তবে 2023-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হল সর্বদলীয় বৈঠক ছাড়াই । এবার সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে কমিশনার বৈঠক করবেন কি না, সেই বিষয়টি নিয়েও রয়েছে বিস্তর ধোঁয়াশা ।

তবে নিয়মানুসারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করার 3 থেকে 4 মাস আগেই একটি সর্বদলীয় বৈঠক হয় । কিংবা অত আগে করানো না গেলেও তারিখ ঘোষণার অন্তত এক মাস আগে সবকটি দলকে নিয়ে বৈঠকে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন । তবে এক্ষেত্রে নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে কোনও বৈঠক হয়নি । তাহলে কি এবার হবে সেই বৈঠক ? এই বিষয়েও রাজ্য নির্বাচন কমিশন সরাসরি কিছু বলতে চাইছে না এখনই । এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি বলেই জানিয়েছে কমিশন ।

এই বিষয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "বৃহস্পতিবার নির্লজ্জতার দখলদারির একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন । রাজিবা সিনহার মতো একজন তোতাপাখিকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করল । এটা একটা পরিকল্পিত চক্রান্ত । ভরা বর্ষায় নির্বাচন । কোনও সর্বদলীয় বৈঠক নেই । নির্বাচন কমিশনের কোনও হোমওয়ার্ক নেই । নিরাপত্তা নিয়ে কোনও চিন্তাভাবনা নেই । রাজ্যের মানুষকে পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে জয়ী ঘোষণা করে দেওয়া ছাড়া বাদবাকি যেটুকু পড়ে থাকে সেইটুকু রাজ্য নির্বাচন কমিশন করেছে ।"

বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান যে, বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ প্রকাশিত হওয়ার পর দেখাই যাচ্ছে যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কোনও প্রস্তুতি নেই । অনলাইনে মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া হবে কি না, তা জানেন না । সর্বদলীয় বৈঠক না করেই দিন ঘোষণা করে দেওয়া হল । 70 হাজার নমিনেশন এই ক'দিনে কীভাবে নেওয়া হবে ? দেখা গিয়েছে যে বিভিন্ন জায়গায় নমিনেশন জমা নেওয়া ও পেপার দেওয়ার পর্যন্ত লোক নেই । বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের বাহিনী ঘুরে বেড়াচ্ছে । নির্বাচন কমিশনের কোনও প্রস্তুতি নেই । ভোটের নামে ছেলেখেলা হচ্ছে এটা ।

কংগ্রেসের সৌম্য আইচ জানিয়েছেন যে, এই রাজ্য নির্বাচন কমিশন হচ্ছে কার্যত একটা কাঠ পুতুল । সেই পুতুলের সুতো এবং দড়ি উপর থেকে নাচানো হয় ক্যামাক স্ট্রিট বা কালীঘাট থেকে । পশ্চিমবঙ্গে এখানে নির্বাচন কমিশনের থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না । সর্বদলীয় বৈঠকের বিষয়ে কমিশন জানিয়েছে যে, আইনে এমন কোথাও লেখা নেই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে হবে । আইনে কি তাহলে চুরি, ধর্ষণ, বোমাবাজি করার কথা লেখা রয়েছে ?

আসলে কমিশন এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করল যাতে একদলীয় শাসনতন্ত্র থাকে । গ্রামে যাতে মানুষ অংশগ্রহণ করতে না পারে । এটা পরিষ্কার যে তৃণমূল বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত নির্বাচন চাইছে । মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য কম সময় দেওয়া হচ্ছে আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য অনেক বেশি সময় দেওয়া হচ্ছে ৷ এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে যে ওই সময় জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য বাধ্য করা হতে পারে প্রার্থীদের । রাজ্য পুলিশ দিয়েও যদি ভোট করানো হয় তাহলে সেখানে পর্যাপ্ত পুলিশি প্রহরা থাকবে না । ভয়ঙ্কর একটা রক্তাক্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে ।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য দেওয়া সময় পর্যাপ্ত নয়, সাফ জানাল হাইকোর্ট

তবে বিরোধীদের কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইট করে বলেন, "কবে, কোথায় সর্বদল বৈঠক করে ভোট ঠিক হয়েছে ? বিধানসভায় করোনাকালে আট দফা, কোনও বৈঠক হয়েছিল ? বিরোধীদের প্রার্থী নেই, সংগঠন নেই; আছে শুধু মিডিয়া আর সোশাল মিডিয়া, তাতেই শোকসভা । নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা ।"

কলকাতা, 9 জুন: রাজ্য নির্বাচনী কমিশনারের দায়িত্বভার গ্রহণ করার 24 ঘণ্টার মধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছেন নয়া কমিশনার রাজিবা সিনহা । সর্বদলীয় বৈঠক না করেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করায় বিষয়টি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ শুরু হয়েছে বিরোধী শিবিরে ।

আগামী 8 জুলাই রাজ্যে একদফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ তবে 2023-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হল সর্বদলীয় বৈঠক ছাড়াই । এবার সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে কমিশনার বৈঠক করবেন কি না, সেই বিষয়টি নিয়েও রয়েছে বিস্তর ধোঁয়াশা ।

তবে নিয়মানুসারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করার 3 থেকে 4 মাস আগেই একটি সর্বদলীয় বৈঠক হয় । কিংবা অত আগে করানো না গেলেও তারিখ ঘোষণার অন্তত এক মাস আগে সবকটি দলকে নিয়ে বৈঠকে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন । তবে এক্ষেত্রে নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে কোনও বৈঠক হয়নি । তাহলে কি এবার হবে সেই বৈঠক ? এই বিষয়েও রাজ্য নির্বাচন কমিশন সরাসরি কিছু বলতে চাইছে না এখনই । এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি বলেই জানিয়েছে কমিশন ।

এই বিষয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "বৃহস্পতিবার নির্লজ্জতার দখলদারির একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন । রাজিবা সিনহার মতো একজন তোতাপাখিকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করল । এটা একটা পরিকল্পিত চক্রান্ত । ভরা বর্ষায় নির্বাচন । কোনও সর্বদলীয় বৈঠক নেই । নির্বাচন কমিশনের কোনও হোমওয়ার্ক নেই । নিরাপত্তা নিয়ে কোনও চিন্তাভাবনা নেই । রাজ্যের মানুষকে পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে জয়ী ঘোষণা করে দেওয়া ছাড়া বাদবাকি যেটুকু পড়ে থাকে সেইটুকু রাজ্য নির্বাচন কমিশন করেছে ।"

বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান যে, বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ প্রকাশিত হওয়ার পর দেখাই যাচ্ছে যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কোনও প্রস্তুতি নেই । অনলাইনে মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া হবে কি না, তা জানেন না । সর্বদলীয় বৈঠক না করেই দিন ঘোষণা করে দেওয়া হল । 70 হাজার নমিনেশন এই ক'দিনে কীভাবে নেওয়া হবে ? দেখা গিয়েছে যে বিভিন্ন জায়গায় নমিনেশন জমা নেওয়া ও পেপার দেওয়ার পর্যন্ত লোক নেই । বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের বাহিনী ঘুরে বেড়াচ্ছে । নির্বাচন কমিশনের কোনও প্রস্তুতি নেই । ভোটের নামে ছেলেখেলা হচ্ছে এটা ।

কংগ্রেসের সৌম্য আইচ জানিয়েছেন যে, এই রাজ্য নির্বাচন কমিশন হচ্ছে কার্যত একটা কাঠ পুতুল । সেই পুতুলের সুতো এবং দড়ি উপর থেকে নাচানো হয় ক্যামাক স্ট্রিট বা কালীঘাট থেকে । পশ্চিমবঙ্গে এখানে নির্বাচন কমিশনের থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না । সর্বদলীয় বৈঠকের বিষয়ে কমিশন জানিয়েছে যে, আইনে এমন কোথাও লেখা নেই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে হবে । আইনে কি তাহলে চুরি, ধর্ষণ, বোমাবাজি করার কথা লেখা রয়েছে ?

আসলে কমিশন এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করল যাতে একদলীয় শাসনতন্ত্র থাকে । গ্রামে যাতে মানুষ অংশগ্রহণ করতে না পারে । এটা পরিষ্কার যে তৃণমূল বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত নির্বাচন চাইছে । মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য কম সময় দেওয়া হচ্ছে আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য অনেক বেশি সময় দেওয়া হচ্ছে ৷ এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে যে ওই সময় জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য বাধ্য করা হতে পারে প্রার্থীদের । রাজ্য পুলিশ দিয়েও যদি ভোট করানো হয় তাহলে সেখানে পর্যাপ্ত পুলিশি প্রহরা থাকবে না । ভয়ঙ্কর একটা রক্তাক্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে ।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য দেওয়া সময় পর্যাপ্ত নয়, সাফ জানাল হাইকোর্ট

তবে বিরোধীদের কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইট করে বলেন, "কবে, কোথায় সর্বদল বৈঠক করে ভোট ঠিক হয়েছে ? বিধানসভায় করোনাকালে আট দফা, কোনও বৈঠক হয়েছিল ? বিরোধীদের প্রার্থী নেই, সংগঠন নেই; আছে শুধু মিডিয়া আর সোশাল মিডিয়া, তাতেই শোকসভা । নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.