কলকাতা, 4 এপ্রিল : ভোটের দিন যাঁরা বুথে যাবেন, তাঁদের থার্মাল চেক আপ এবং স্যানিটাইজ়ার দেবেন নার্সিংয়ের পোস্ট বেসিক বিএসসি এবং এমএসসির ছাত্রীরা । নার্সিংয়ের উচ্চ প্রশিক্ষণরত ছাত্রীদের ভোটের এই ধরনের ডিউটি দেওয়ার প্রতিবাদ জানাল নার্সদের একটি সংগঠন । তবে, শুধুমাত্র প্রতিবাদই নয় । ভোটের এই ধরনের ডিউটি দেওয়ার নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে এই সংগঠন ।
নার্সদের ওই সংগঠনের সম্পাদিকা ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় এবং সভানেত্রী পার্বতী পাল যৌথ বিবৃতিতে স্বাস্থ্য দফতরের সাম্প্রতিক নির্দেশের কথা উল্লেখ করেন ৷ স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে বলা হয়েছে, পোস্ট বেসিক বিএসসি এবং পোস্ট বেসিক এমএসসি-র ছাত্রীদের এবার ভোটের ডিউটিতে যেতে হবে । ভোটের ডিউটির জন্য ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে । হায়ার স্টাডি করতে যাওয়া ছাত্রীদের নির্বাচনী বুথে আসা সকলের থার্মাল চেক আপ এবং স্যানিটাইজ়ার দিতে হবে ।
এই নির্দেশ নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয় নার্সদের ওই সংগঠনের তরফ থেকে ৷ তাদের মতে, থার্মাল চেক আপ এবং স্যানিটাইজ়ার দেওয়ার কাজ যে কেউ করতে পারেন ৷ এর জন্য কোনও মেডিকেল প্রফেশনাল হওয়ার দরকার পড়ে না ৷ তাহলে এই কাজের জন্য কেন নার্সিংয়ের উচ্চ প্রশিক্ষণরত এই ছাত্রীদের ব্যবহার করা হবে ৷ সেই বিষয়েই প্রশ্ন করেছে তারা ৷ যোগ্যতার মাপকাঠিতে উপযুক্ত দায়িত্ব বণ্টন একদিকে যেমন যোগ্য নেতৃত্বের পরিচয় বহন করে, তেমনই অন্যদিকে শ্রমশক্তির অপচয় হয় না । এর সঙ্গে সামাজিক পদমর্যাদার দিকটিও যুক্ত রয়েছে । এসবের কোনওটাই বাস্তবায়িত করছে না স্বাস্থ্য দফতরের এই নির্দেশ । এমনটাই মত সংগঠনের ৷ তাদের মতে, এর ফলে অপমান করা হচ্ছে নার্সিং পেশাকে ৷
আরও পড়ুন : ভোট মিটতেই রান্না ঘরে খুন্তি হাতে কংগ্রেস প্রার্থী রাধারাণী
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে নার্সদের সংগঠন । নার্সিংয়ের ছাত্রীদের এই ধরনের ভোটের ডিউটি দেওয়ার নির্দেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে তারা । সংগঠনের তরফ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, প্রশাসন ইতিপূর্বে কারণে, অকারণে মহান এবং জরুরি নার্সিংয়ের পেশাকে বারবার আঘাত করেছে । যথার্থ স্বাস্থ্য পরিষেবা বজায় রাখতে প্রশাসনিক স্তরে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আবশ্যক ।