কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর: "আশা করছি শনিবার থেকে অধ্যক্ষ নিজের ঘরে বসে কাজ করতে পারবেন ৷" আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ বদলের বিতর্ক প্রসঙ্গে শুক্রবার মুখ খুললেন শান্তনু সেন। আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বদলের পর থেকেই দেখা গিয়েছে একাধিক অশান্তির ছবি। নতুন অধ্যক্ষ ডা. মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শান্তনু সেন। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পুরোনো অধ্যক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষের অনুগামীরা। দু'পক্ষের মাঝে দেখা যায় চরম উত্তেজনা।
এদিন শান্তনু সেন বলেন, "আমি সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। যে কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসক, হাউসস্টাফেরা প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন চিকিৎসক আশিষ পাণ্ডে এবং চিকিৎসক অভিষেক সেন। তাঁরা কথা দিয়েছেন শনিবার থেকে অধ্যক্ষের ঘর খুলে দেবেন ৷ তিনি যাতে শান্তিতে কাজ করতে পারেন সেদিকেও নজর থাকবে ৷ আমি তাঁদের কথার উপর আস্থা রাখছি। আশা করি কাল থেকে অধ্যক্ষ নিজের ঘরে বসে কাজ করতে পারবেন।"
সম্প্রতি আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষের পরিবর্তে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ করা হয় চিকিৎসক মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে তাঁকে মানতে নারাজ বহু ছাত্র-ছাত্রী, প্রাক্তনী এবং হাউসস্টাফেরা। বুধবার 13 জনের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগও তুলেছেন আরজিকরের মানিকতলা হস্টেলের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের একাংশ। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। কেন সন্দীপ ঘোষকে অধ্যক্ষ পদে ফেরানোর দাবিকে সমর্থন করা হচ্ছে না, সেই নিয়েই শারীরিক এবং মানসিকভাবে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। পুলিশের কাছে এই মর্মে লিখিত অভিযোগ করেছেন বর্তমান অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন পড়ুয়াই।
আরও পড়ুন: অধ্যক্ষ্য-বদলির প্রতিবাদে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ আরজিকরে
এরপর শুক্রবার নতুন অধ্যক্ষ কলেজে আসেন এবং একদল পড়ুয়া তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে যান। সেই সময় বাধা দিতে আসেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষের অনুগামীরা। তারপরেই পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। প্রাক্তন অধ্যক্ষর অনুগামীদের তরফে দাবি ওঠে, মুখ্যমন্ত্রীর না ফেরা পর্যন্ত যেন ডা. মানস বন্দ্যোপাধ্যায় কাজে যোগ না দেন।