ETV Bharat / state

লকডাউনের জেরে রক্ত সংকট, আশঙ্কায় 2 থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের মা

দেশজুড়ে লকডাউন । মিলছে না রক্ত । 38 বছরের লডাইয়ের চরম পরিণতির কথা ভেবে আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন দক্ষিণ কলকাতা থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত জমজের মা ।

Symbolic Image
ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Apr 2, 2020, 8:05 AM IST

কলকাতা, 2 এপ্রিল : লড়াইটা চলছে অনেক বছর ধরেই । এই লড়াইয়ে আগেও অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে । কিন্তু, এখন কোরোনা ভাইরাসের ফলে এই লড়াই তাদের কাছে আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে । আসলে এই লড়াই জন্ম-মৃত্যুর । এক মায়ের তাঁর সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখার লড়াই । না, সন্তানরা কোরোনায় আক্রান্ত নন । থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত । আসলে এই কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে দেশবাসীর ঘোষিত লড়়াইয়ের ফলে নিজের সন্তানদের জন্য রক্ত জোগাড় করতে পারছেন না । আর তাই আশঙ্কায় প্রহর গুণছেন এক মা ।

দক্ষিণ কলকাতার একটি ছোটো বাড়িতে দুই যমজ সন্তানকে নিয়ে থাকেন 69 বছর বয়সি শুভ্রা সাহা । স্বামী মারা গেছেন । তাই সন্তানদের জীবন যুদ্ধে তিনিই একমাত্র সৈনিক । জন্ম থেকেই তাঁর দুই যমজ সন্তান অনুরিমা ও অনুরণ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত । তাই লড়াইটা তখন থেকেই শুরু হয়ে যায় । 15 দিন অন্তর অনুরিমা ও অনুরণের শরীরে রক্ত দিতে হত । 38 বছরের এই লড়াইয়ে একবারের জন্য ব্যাঘাত আসতে দেননি শুভ্রা । কিন্তু, দেশে কোরোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় এখন সেই আশঙ্কাতেই দিন কাটাচ্ছেন শুভ্রা ।

অনুরণের রক্তের গ্রুপ A নেগেটিভ । আর অনুরিমার রক্তের গ্রুপ O নেগেটিভ । দু'জনকেই শেষবারের জন্য রক্ত দেওয়া হয়েছিল 19 মার্চ । 15 দিনের হিসেব ধরে চললে দু'জনকে পুনরায় রক্ত দিতে হবে । ইতিমধ্যে কলকাতার সবকটি ব্লাড ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করা হয়ে গেছে । সেখান থেকে বলা হয়েছে, রক্তদাতা রোগীর পরিবারের সদস্যদেরই খুঁজে নিয়ে যেতে হবে । তার উপর যে কোনও রক্তদাতা হলে চলবে না । আর তাতেই সমস্যায় পড়েছেন শুভ্রা । কারণ দুই সন্তানের চিকিৎসার খরচ হিসেবে প্রতি মাসে তিনি 25-30 হাজার টাকা জোগাড় করতে পারেন । এখন সেই টাকাও শেষ । পাশাপাশি অন্য সময় আত্মীয়রাও সাহায্য করেন । কিন্তু এইবার লকডাউনের জন্য তাঁরা কেউই সাহায্য করতে পারছেন না । একইসঙ্গে লকডাউনের জন্য রক্ত সংকটও দেখা দিয়েছে । সবমিলিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন শুভ্রা । তাঁর মনে এখন একটাই আশঙ্কা, 38 বছরের লড়াইয়ের এটাই শেষ নয় তো ?

কলকাতা, 2 এপ্রিল : লড়াইটা চলছে অনেক বছর ধরেই । এই লড়াইয়ে আগেও অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে । কিন্তু, এখন কোরোনা ভাইরাসের ফলে এই লড়াই তাদের কাছে আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে । আসলে এই লড়াই জন্ম-মৃত্যুর । এক মায়ের তাঁর সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখার লড়াই । না, সন্তানরা কোরোনায় আক্রান্ত নন । থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত । আসলে এই কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে দেশবাসীর ঘোষিত লড়়াইয়ের ফলে নিজের সন্তানদের জন্য রক্ত জোগাড় করতে পারছেন না । আর তাই আশঙ্কায় প্রহর গুণছেন এক মা ।

দক্ষিণ কলকাতার একটি ছোটো বাড়িতে দুই যমজ সন্তানকে নিয়ে থাকেন 69 বছর বয়সি শুভ্রা সাহা । স্বামী মারা গেছেন । তাই সন্তানদের জীবন যুদ্ধে তিনিই একমাত্র সৈনিক । জন্ম থেকেই তাঁর দুই যমজ সন্তান অনুরিমা ও অনুরণ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত । তাই লড়াইটা তখন থেকেই শুরু হয়ে যায় । 15 দিন অন্তর অনুরিমা ও অনুরণের শরীরে রক্ত দিতে হত । 38 বছরের এই লড়াইয়ে একবারের জন্য ব্যাঘাত আসতে দেননি শুভ্রা । কিন্তু, দেশে কোরোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় এখন সেই আশঙ্কাতেই দিন কাটাচ্ছেন শুভ্রা ।

অনুরণের রক্তের গ্রুপ A নেগেটিভ । আর অনুরিমার রক্তের গ্রুপ O নেগেটিভ । দু'জনকেই শেষবারের জন্য রক্ত দেওয়া হয়েছিল 19 মার্চ । 15 দিনের হিসেব ধরে চললে দু'জনকে পুনরায় রক্ত দিতে হবে । ইতিমধ্যে কলকাতার সবকটি ব্লাড ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করা হয়ে গেছে । সেখান থেকে বলা হয়েছে, রক্তদাতা রোগীর পরিবারের সদস্যদেরই খুঁজে নিয়ে যেতে হবে । তার উপর যে কোনও রক্তদাতা হলে চলবে না । আর তাতেই সমস্যায় পড়েছেন শুভ্রা । কারণ দুই সন্তানের চিকিৎসার খরচ হিসেবে প্রতি মাসে তিনি 25-30 হাজার টাকা জোগাড় করতে পারেন । এখন সেই টাকাও শেষ । পাশাপাশি অন্য সময় আত্মীয়রাও সাহায্য করেন । কিন্তু এইবার লকডাউনের জন্য তাঁরা কেউই সাহায্য করতে পারছেন না । একইসঙ্গে লকডাউনের জন্য রক্ত সংকটও দেখা দিয়েছে । সবমিলিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন শুভ্রা । তাঁর মনে এখন একটাই আশঙ্কা, 38 বছরের লড়াইয়ের এটাই শেষ নয় তো ?

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.