ETV Bharat / state

যেতে পারছেন না নির্বাচনী এলাকায়, ঘরে বসেই নজরদারি মন্ত্রী-বিধায়কদের - লকডাউনে মন্ত্রী-বিধায়করা এলাকায় যাচ্ছেন না

কোরোনার সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে নিজের নিজের এলাকায় যেতে পারছেন না রাজ্যের একাধিক বিধায়ক ও মন্ত্রী । ঘরে বসেই খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি মানুষের সমস্যার সমাধান করতে হচ্ছে তাঁদের ।

Kolkata
কলকাতা
author img

By

Published : Apr 16, 2020, 9:40 PM IST

কলকাতা , 16 এপ্রিল : কোরোনাJ সংক্রমণ এবং লকডাউন বদলে দিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদের রোজনামচাও । লকডাউনের জেরে নিজেদের নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না তাঁরা । যেমন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি শনি এবং রবিবার তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র বারুইপুরে যেতেন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করতে । শুনতেন তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা । লকডাউনের পর থেকে সবকিছুই বদলে গেছে ।


কোরোনার আতঙ্কে জনসংযোগ করতে পারছেন না রাজ্যের বিধায়ক ও মন্ত্রীরা । রাজ্যের সিংহভাগ মন্ত্রী এবং বিধায়ক সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘরে বসে কেবলমাত্র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে চলেছেন । সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কেন্দ্রের বিধায়ক তাঁর এলাকার কয়েকজন দলীয় নেতাকর্মীদের ফোনের তালিকা নিয়ে ঘরে বসেই নজরদারি চালাচ্ছেন । ছুটির দিনেও সরকারি নানা কাজের সুযোগ-সুবিধা নিতে বহু মানুষ আসতেন বারুইপুরের পদ্মপুকুরে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলীয় কার্যালয়ে । বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেমন কাছে পাচ্ছেন না এলাকার বাসিন্দারা, তেমনই বিমান বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ও সেই মানুষগুলির কথা ভাবছেন অনবরত । অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন থেকে তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র বারুইপুর পশ্চিম প্রায় 50 কিলোমিটার দূরে ।

বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী যাদবপুরের বিধায়ক । তিনি গৃহবন্দী অবস্থায় চম্পাহাটিতেই রয়েছেন । আপাতত বাড়িতে বসেই ফোনে এলাকার কাজ সারছেন তিনি । গৃহবন্দী হওয়ার মধ্যেই সুজন চক্রবর্তী বামপন্থী ছাত্র যুবদের নিয়ে রক্তদান এবং কোরোনাভাইরাসের সুরক্ষা সরঞ্জাম বিলি ছাড়াও রাজ্য সরকারের সঙ্গে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন ।

সাতগাছিয়ার বিধায়ক সোনালি গুহ কলেজ স্কোয়ারের বাড়ি থেকেই ডিজিটাল মাধ্যমে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন । অত‍্যাধিক সুগার থাকায় সতর্ক হয়ে সোনালি গুহ বাড়িতে সকলের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ।

চেতলার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বন্দর কেন্দ্র । এই কেন্দ্রের বিধায়ক রাজ্যের পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । তিনিও গৃহবন্দী । যদিও প্রত্যেক মুহূর্তে তিনি ফোন করে এলাকায় ত্রাণ বন্টনের খবর নিচ্ছেন ঘরে বসেই । যদিও লকডাউনের মাঝেই নিয়ম করে পৌরনিগমে যাচ্ছেন । জরুরি বৈঠক ছাড়া পৌরনিগমের যাবতীয় কাজ তিনি বাড়িতে থেকেও সামলাচ্ছেন ।

145 কিলোমিটার দূরে কাঁথি দক্ষিণের বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বাড়ি দক্ষিণ কলকাতায় । খড়দার বিধায়ক অমিত মিত্র থাকেন এই শহরে । দু'জনকেই ঘরে বসেই এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যার সমাধান করতে হচ্ছে । অত্যাধিক শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকায় বাড়ির মধ্যে থেকেও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র পরিবারের সদস্যদের থেকে কিছুটা দূরে থাকেন । পৃথক একটি ঘরে চিকিৎসার সরঞ্জাম নিয়ে ল্যাপটপের মাধ্যমে কাজ করছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ।

কবে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যের বিধায়ক এবং মন্ত্রীরা । লকডাউন উঠলে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ফের এলাকায় গিয়ে জনসংযোগে নজর দেবেন তাঁরা ।

কলকাতা , 16 এপ্রিল : কোরোনাJ সংক্রমণ এবং লকডাউন বদলে দিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদের রোজনামচাও । লকডাউনের জেরে নিজেদের নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না তাঁরা । যেমন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি শনি এবং রবিবার তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র বারুইপুরে যেতেন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করতে । শুনতেন তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা । লকডাউনের পর থেকে সবকিছুই বদলে গেছে ।


কোরোনার আতঙ্কে জনসংযোগ করতে পারছেন না রাজ্যের বিধায়ক ও মন্ত্রীরা । রাজ্যের সিংহভাগ মন্ত্রী এবং বিধায়ক সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘরে বসে কেবলমাত্র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে চলেছেন । সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কেন্দ্রের বিধায়ক তাঁর এলাকার কয়েকজন দলীয় নেতাকর্মীদের ফোনের তালিকা নিয়ে ঘরে বসেই নজরদারি চালাচ্ছেন । ছুটির দিনেও সরকারি নানা কাজের সুযোগ-সুবিধা নিতে বহু মানুষ আসতেন বারুইপুরের পদ্মপুকুরে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলীয় কার্যালয়ে । বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেমন কাছে পাচ্ছেন না এলাকার বাসিন্দারা, তেমনই বিমান বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ও সেই মানুষগুলির কথা ভাবছেন অনবরত । অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন থেকে তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র বারুইপুর পশ্চিম প্রায় 50 কিলোমিটার দূরে ।

বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী যাদবপুরের বিধায়ক । তিনি গৃহবন্দী অবস্থায় চম্পাহাটিতেই রয়েছেন । আপাতত বাড়িতে বসেই ফোনে এলাকার কাজ সারছেন তিনি । গৃহবন্দী হওয়ার মধ্যেই সুজন চক্রবর্তী বামপন্থী ছাত্র যুবদের নিয়ে রক্তদান এবং কোরোনাভাইরাসের সুরক্ষা সরঞ্জাম বিলি ছাড়াও রাজ্য সরকারের সঙ্গে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন ।

সাতগাছিয়ার বিধায়ক সোনালি গুহ কলেজ স্কোয়ারের বাড়ি থেকেই ডিজিটাল মাধ্যমে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন । অত‍্যাধিক সুগার থাকায় সতর্ক হয়ে সোনালি গুহ বাড়িতে সকলের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ।

চেতলার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বন্দর কেন্দ্র । এই কেন্দ্রের বিধায়ক রাজ্যের পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । তিনিও গৃহবন্দী । যদিও প্রত্যেক মুহূর্তে তিনি ফোন করে এলাকায় ত্রাণ বন্টনের খবর নিচ্ছেন ঘরে বসেই । যদিও লকডাউনের মাঝেই নিয়ম করে পৌরনিগমে যাচ্ছেন । জরুরি বৈঠক ছাড়া পৌরনিগমের যাবতীয় কাজ তিনি বাড়িতে থেকেও সামলাচ্ছেন ।

145 কিলোমিটার দূরে কাঁথি দক্ষিণের বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বাড়ি দক্ষিণ কলকাতায় । খড়দার বিধায়ক অমিত মিত্র থাকেন এই শহরে । দু'জনকেই ঘরে বসেই এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যার সমাধান করতে হচ্ছে । অত্যাধিক শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকায় বাড়ির মধ্যে থেকেও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র পরিবারের সদস্যদের থেকে কিছুটা দূরে থাকেন । পৃথক একটি ঘরে চিকিৎসার সরঞ্জাম নিয়ে ল্যাপটপের মাধ্যমে কাজ করছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ।

কবে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যের বিধায়ক এবং মন্ত্রীরা । লকডাউন উঠলে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ফের এলাকায় গিয়ে জনসংযোগে নজর দেবেন তাঁরা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.