কলকাতা, 13 জুলাই : কোনও স্থগিতাদেশ নয় । আগামীকাল থেকেই দিতে হবে পরীক্ষা । এই মর্মে MBBS পরীক্ষার্থীদের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষায় স্থগিতাদেশের দাবিতে একাধিক পরীক্ষার্থী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল । তাদের সেই দাবি খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট ।
আগামী 14 জুলাই থেকে MBBS পার্ট ওয়ানের সেকেন্ড প্রফেশনাল ও থার্ড প্রফেশনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা । চলবে 21 জুলাই পর্যন্ত । যথাক্রমে 14 ,15, 16, 17,18, 20 ও 21 জুলাই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা হওয়ার কথা । পরীক্ষার্থীদের দাবি ছিল, বহু পরীক্ষার্থী বিভিন্ন কনটেনমেন্ট জ়োনে থাকে । আবার অনেককে রাজ্যের বাইরে থেকেও আসতে হবে । এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা একেবারেই নিরাপদ নয় । অবিলম্বে পরীক্ষার উপর স্থগিতাদেশ দিক কলকাতা হাইকোর্ট ।
আজ মামলার শুনানিতে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "আদালত কয়েকদিন আগেই কোরোনার জেরে পরিস্থিতির কারণে আয়ুর্বেদের সমস্ত পরীক্ষা 31 জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে ।"
কিন্তু ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সের তরফে আইনজীবী সুপ্রতীক রায় ও রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনেরাল কিশোর দত্ত বলেন, "আয়ুর্বেদ পরীক্ষার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র 10 জন । কিন্তু MBBS সেকেন্ড ও থার্ড প্রফেশনাল পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি ।"
তিনি আরও বলেন, “সেকেন্ড প্রফেশনাল পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মোট 650 জন । এদের মধ্যে 45 জন বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছে । 605 জনের কোনও আপত্তি নেই পরীক্ষায় বসতে । পাশাপাশি থার্ড প্রফেশনাল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা 444 জন । তার মধ্যে মাত্র 13 জন পরীক্ষায় বসতে অনিচ্ছুক । 431 জন চাইছে পরীক্ষা হোক ।”
পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে, সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে, পরীক্ষার্থীদের সুবিধামতো কাছাকাছি জায়গায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট ।
বিচারপতি সুব্রত তালুকদার সব পরীক্ষার্থীকে আগামীকাল থেকে পরীক্ষায় বসার নির্দেশ দেন । তবে কোনও পরীক্ষার্থী যদি বর্তমান পরিস্থিতি জনিত কোনও সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পরীক্ষায় বসতে না পারে সে ক্ষেত্রে তাকে পরীক্ষা নিয়ামকের কাছে তার উপযুক্ত প্রমাণপত্র ও জবাবদিহি করতে হবে । বিশ্ববিদ্যালয় বিচার করে দেখবে তার বা তাদের জন্য কোন বিকল্প পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যায় কিনা । আগামী 3 সপ্তাহ পরে মামলাটি আবার রেগুলার বেঞ্চে শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ।