কলকাতা, 8 ডিসেম্বর: এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) এসে আরও একবার হাসপাতালগুলির 'রেফার রোগ' নিয়ে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সরকারি হোক বা বেসরকারি ৷ হাসপাতালগুলিতে দিনে দিনে বাড়ছে রেফারের প্রবণতা। এই নিয়ে গত 21 নভেম্বর নবান্ন সভাঘরের বৈঠক থেকেই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন ও চারতলা স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগের উদ্বোধনে এসে সেই পুরনো সেই রোগ নিয়ে সরব হলেন তিনি । মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, রেফার করে দায় ঝাড়লে হবে না।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লি থেকে ফিরে বিকেলে এসএসকেএম হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee visits SSKM hospital on Thursday)। ঘুরে দেখেন ট্রমা কেয়ার সেন্টারের পরিকাঠামো। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার চিংড়িঘাটায় দুর্ঘটনায় আহতদের পুলিশের তরফে এসএসকেএম-এর ট্রমা কেয়ার সেন্টারেই ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীত্বের পাশাপাশি মমতার হাতে স্বরাষ্ট্র তথা স্বাস্থ্য দপ্তরেরও দায়িত্ব রয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে চিকিৎসকদের কিছু কিছু কাজকর্ম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গলা থেকে উষ্মার সুর শোনা গেল।
'রেফার রোগ' নিয়ে তিনি বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাতেও হাসপাতালে থাকুক সিনিয়র ডাক্তার। জরুরি ক্ষেত্রে আগে চিকিৎসা প্রয়োজন। এসএসকেএম নিয়ে আমরা গর্ব করি। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয়বহুল। বহু মানুষ তাই এসএসকেএম হাসপাতালে আসেন। এখানে অনেক নার্স, আশাকর্মী নেওয়া হয়েছে। রেফার করে দিয়ে দায় ঝাড়লে চলবে না। মানুষকে সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবা দিন ৷
আরও পড়ুন: 24 ঘণ্টার মধ্যে মেডিক্যাল কলেজের অচলাবস্থা কাটানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
এখানেই শেষ নয় ৷ তিনি আরও বলেন, "আমাদের কোথাও যদি সিস্টেমে ভুল থাকে তাহলে তা ঠিক করতে হবে। আগে রোগীর চিকিৎসা, পরে প্রসেস। শুনলাম অ্যাডমিশনের প্রসেসেই নাকি সময় লাগে। কিন্তু এটা তো ট্রমাকেয়ারে হওয়া উচিত নয়। এখন যদি একজন প্রেগন্যান্ট মহিলা আসেন, তাঁকে যদি প্রসেসের জন্য 6 ঘণ্টা ফেলে রাখা হয় তাহলে তাঁর তো জীবনটাই সংকটে পড়ে যাবে।"
অনুষ্ঠান শেষে ফিরে গিয়ে চিংড়িঘাটার ঘটনা নিয়ে টুইট করে শোকপ্রকাশ করেন তিনি। টুইটে মুখ্যমন্ত্রী গুরুতর জখম দুই ব্যক্তির জন্য এক লক্ষ টাকা ও বাকি পাঁচজন আহত ব্যক্তিদের 50 হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷