কলকাতা, 28 এপ্রিল : কোরোনা আক্রান্তরা বাড়িতে থেকেই টেলিমেডিসিনের সাহায্য়ে চিকিৎসা করাতে পারবেন । গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তারপর থেকেই সমালোচনায় সরব হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। এপ্রসঙ্গে আজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় রাজ্যের মানুষের মনোবল ভেঙে যাবে। আসলে মুখ্যমন্ত্রীর মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে ।"
গতকাল রাজ্যে কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে চলা সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় "সকলেই চান বাড়িতে থাকতে । ফলে যদি কেউ মনে করেন, তাহলে তাঁরা বাড়ি থেকেই চিকিৎসা করাতে পারবেন । নিজের বাড়িতেই কোয়ারানটিনে থাকুক তাঁরা । যাঁদের আশ্রয় রয়েছে, বাড়ি রয়েছে, তাঁদের কোরোনা হলে বাড়িতেই কোয়ারানটিনে রাখা যাবে । তাঁরা টেলিমেডিসিনের সাহায্য নিয়ে চিকিৎসা করাতে পারেন । স্বাস্থ্য দপ্তর বিষয়টা মনিটরিং করবে ।" মুখ্যমন্ত্রীর এহেন ঘোষণার পরই তাঁর তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধীরা । এই ঘোষণা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে । এবিষয়ে আজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় রাজ্যের মানুষের মনোবল ভেঙে যাবে। রাজ্যের মানুষ তীব্র মানসিক দ্বিধার মধ্যে থাকবেন। এধরনের ঘোষণার মধ্যে দিয়েই বোঝা যায় তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন ।"কোরোনা আক্রান্তদের হোম কোয়ারানটিনে থাকার কথা কি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকায় আছে? প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান।
আবদুল মান্নান আরও বলেন, " এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সরকারের ভূমিকা কি কেবলমাত্র টিভিতে মুখ দেখিয়ে মিথ্যে প্রচার করা? রাজ্য সরকার যদি অবিলম্বে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্যোগী না হয়, তাহলে লকডাউনের মধ্যেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের সামনে আন্দোলনে নামবে বিরোধীরা।
যেখানে সরকারি কোয়ারানটিনে চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সরা হিমশিম খাচ্ছেন, সেখানে হোম কোয়ারানটিন কতটা যুক্তিযুক্ত? প্রশ্ন তুলেছেন CPI(M)-র রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেন, "যদি বাড়িতে থেকে সংক্রমণ ছড়ায়, তাহলে তার দায় কে নেবে? রাজ্য সরকারের এই ঘোষণায় ভয়ঙ্কর বিপদে পড়বেন রাজ্যের মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন ।"