ঢাকা, 10 জুন: বাংলাদেশে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের মারধরের অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই অভিযোগ পুরোপুরি 'ভিত্তিহীন' ও 'বানানো' বলে দাবি করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশমন্ত্রক ৷ দুই দেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে, সকল রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, এমন অভিযোগকে যাতে গুরুত্ব দেওয়া না-হয় ৷
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, "বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বন্দি থাকা ভারতীয় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে ৷ এই অভিযোগ পুরোপুরি 'ভিত্তিহীন' ও 'বানানো' ৷ এর কোনও সত্যতা নেই ৷ বাংলাদেশ প্রশাসন এই অভিযোগে খুবই মর্মাহত ও আশাহত হয়েছে ৷ এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ দুই দেশের সম্পর্কে থাকা বিশ্বাস ও ভরসাকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে ৷"
উল্লেখ্য, গত রবিবার বেলা 12টার সময় আন্তর্জাতিক জলসীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশের মৎস্যজীবীদের হস্তান্তর করা হয় ৷ তার পরেরদিন গঙ্গাসাগরে ওই মৎস্যজীবীদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখান থেকেই তিনি অভিযোগ করেন, "বাংলাদেশের জেলে বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে । প্রথমে মৎস্যজীবীরা বিষয়টি বলতে চাননি । পরে খুঁড়িয়ে হাঁটছেন দেখে তাঁদের প্রশ্ন করি আমি । ওঁদের কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছিল ।"
ভারতের জেলে বন্দি থাকা 90 জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদেরও গত রবিবার মুক্তি দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক ৷ সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেছিলেন, "বাংলাদেশের বন্দি মৎস্যজীবীদের এ রাজ্যে কিন্তু কোনওভাবে কোনও অত্যাচার করা হয়নি । কিন্তু, দুই দেশের সম্পর্ক ভালো থাকা সত্ত্বেও আমাদের মৎস্যজীবীদের মারধর করা হল। এটা ঠিক নয় ।"
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দাবি করেছে, মৎস্যজীবীরা আটক থাকাকালীন ভারতীয় দূতাবাসের সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ৷ এমনকি বাংলাদেশের হাসপাতালে প্রতিনিয়ত তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে ৷ আর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব পড়ে, এমন মন্তব্যকে গুরুত্ব না-দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের জারি করা বিবৃতিতে ৷