কলকাতা, 20 জুলাই: একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি দেখতে এসে মণিপুর নিয়ে সরব মমতা। 'বিজেপি মহিলাদের সম্মান লুঠের সওদাগর ৷' উত্তর-পূর্বের রাজ্যে হিংসার ঘটনা নিয়ে মুখ খুলে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ একই সঙ্গে, প্রয়োজনে অন্যান্য রাজ্যের কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মণিপুরে যাওয়ারও ইচ্ছেপ্রকাশ এ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ৷ তবে সেক্ষেত্রে অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি ৷
বৃহস্পতিবার 21-জুলাই প্রস্তুতি দেখতে ধর্মতলায় যান মমতা ৷ আর সেখানেই মণিপুরের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি ৷ স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস একা নয় 'ইন্ডিয়া ফাইট দ্য ব্যাটেল'। এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। যেভাবে মনিপুর নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি বাংলা-সহ অন্যান্য রাজ্যের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন, তাতে বিভাজন দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার অভিযোগ দেশের বাইরে গিয়ে বৃহত্তম গণতন্ত্রের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই গণতন্ত্রকে টুকরো টুকরো করছেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "মণিপুরের যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে তা পরে সরানো হয়েছে ৷ কিন্তু যা দেখার মানুষ দেখে নিয়েছে ৷" এক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি ৷ এরপরই রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "মণিপুরের ঘটনা দেখে হৃদয় ভেঙেছে, হৃদয় কাঁদছে ৷ ভিতরে আগুন জ্বলছে ৷ আমরা যে ভিডিয়ো দেখেছি, তাতে ভাবছিলাম এটা কোন দেশ ! লজ্জা লাগছে ৷" এখানেই শেষ নয়, এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি এবং আরও কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী মণিপুরে যেতে চাইছেন ৷ তবে সেক্ষেত্রে অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা করেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷ তিনি বলেন, "আমি আগেও যেতে চেয়েছিলাম ৷ কিন্তু অনুমতি মেলেনি ৷ আমরা কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী মণিপুরে যাব, যদি অন্যান্য দল সম্মতি দেয় ৷" একই সঙ্গে, তিনি জানান, মণিপুরের কথা এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেনি ৷ তিনি দেশ ভাঙছেন বলেও অভিযওগ করেন তিনি ৷ তাঁক কথায়, "উনি মণিপুরের সঙ্গে বাংলা, রাজস্থান, ছত্তিশগড়কেও জুড়েছেন ৷ কিন্তু খারাপটা খারাপই থাকে ৷"