কলকাতা, 11 এপ্রিল : লকডাউনের জেরে জরুরি পরিষেবা ব্যতীত সবকিছু বন্ধ । নেই ট্রেন চলাচল । সবাই কার্যত গৃহবন্দী । তাই যাত্রীদেরও আনাগোনা । স্বভাবতই আশাপাশের দোকানপাটও বন্ধ । নেই হকারদের চিৎকার । লটারি দোকাগুলোর বিজ্ঞাপন । আপাতত থমকে স্টেশন চত্বর । উধাও সমস্ত ব্যস্ততা ।
ইতিমধ্যেই লকডাউন আবার দু সপ্তাহ বাড়ানোর খবর প্রকাশ্যে এসেছে । শহরজুড়ে ঘরবন্দী মানুষ সংক্রমণের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে । তাই রোজকারের ব্যস্ত শিয়ালদা স্টেশন চত্বরে এখন হাতেগোনা লোকের আনাগোনা। স্টেশনের মূল প্রবেশদ্বারের শাটার নামানো। বৈঠকখানা বাজারে যারা উপায়ন্তর না দেখে সবজি বিক্রি করতে আসেন তাঁরাও সমস্যায়।
সার্ভিস সেন্টারে কাজ করেন রফিক। মাসের শেষে সামান্য টাকা রোজগার । ওভারটাইমে বাড়তি উপার্জন । কিন্তু সবকিছু এখন বন্ধ । এখন খাওয়া দাওয়া জোগাড় করতেই সমস্যায় পড়ছেন। ট্যাক্সি চালিয়ে দিন চলে আলম,জগদীশের। এখন ট্যাক্সি চালানোর অনুমতি মিললেও প্যাসেঞ্জার নেই। তাই অপেক্ষা সার। তবে ইমার্জেন্সি কোনও প্যাসেঞ্জার পেলে বেরিয়ে পড়ছেন ।
বিপরীত পরিস্থিতি । স্তব্ধ শহর । তবে কোথাও যেন এক সুদিনের অপেক্ষায় কঠিন পরিস্থিতিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে শহর ।