কলকাতা, 3 জানুয়ারি: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পড়ুয়া-চিকিৎসক তরুণীর খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল । রাজনৈতিক রং ভুলে লাখ লাখ মানুষ পথে নেমে বিচার চেয়েছেন । মিটিং-মিছিল-আন্দোলনের ভরকেন্দ্র ছিল শহর কলকাতা । এই ইস্যুতে মিছিল কিংবা দীর্ঘ অবস্থান-বিক্ষোভে সিপিএমের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলেও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বারে বারে ‘অভিযোগ’ করা হয়েছে ।
যদিও আরজি কর পরবর্তী ছ’টি বিধানসভা উপনির্বাচনে কার্যত তার কোনও প্রভাবই পড়েনি। এমনকী সাংগঠনিকভাবে সিপিএম বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি বলেই স্বীকার করে নিচ্ছে । তাহলে আন্দোলনের রূপরেখা, স্লোগান ঠিক হচ্ছে না ? স্লোগান-আন্দোলন কী রকম হলে সাধারণ মানুষকে টানা যাবে, সেই উত্তর খুঁজছে সিপিএম ।
4 জানুয়ারি, শনিবার থেকে সিপিএম কলকাতা জেলা কমিটির 26তম সম্মেলন শুরু হচ্ছে । চলবে 6 জানুয়ারি, সোমবার পর্যন্ত । দলীয় নিয়ম-নীতি মেনে ইতিমধ্যে সিপিএম কলকাতা জেলা কমিটি রাজনৈতিক খসড়া প্রকাশ করেছে । সিপিএম সূত্রের খবর, সেই রাজনৈতিক খসড়াতেই কলকাতা জেলা কমিটি স্লোগান-আন্দোলনের রূপরেখা ও সাধারণ মানুষকে দলে টানার উত্তর পাওয়ার চেষ্টা করছে ।
|
গত মাসে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা সম্মেলনকে ঘিরে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছিল । প্রস্তাবিত কমিটি থেকে 18 জন নাম প্রত্যাহার করেছিলেন । যা নিয়ে সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে । তবে অন্যান্য জেলাগুলির তুলনায় কলকাতার প্রতি অন্যরকম নজর থাকে । ইতিমধ্যে সেই জেলার সম্মেলনের প্রস্তুতি পরব শুরু হয়ে গিয়েছে । কলকাতা জেলা কমিটির দফতর প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে ‘অনুষ্ঠানে’র প্রস্তুতি তুঙ্গে । নতুন করে রঙ করা হচ্ছে মূর্তি । বড় বড় কাট-আউট লাগানো হচ্ছে । আরজি কর নিয়ে ছবিও আঁকা হবে । এ বছরের সম্মেলনে প্রায় 400 জন অতিথি থাকবেন । সাদামাটা খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন রাখা হয়েছে । ভাত-মাছ-মাংস-আলুপোস্ত, এই থাকবে পাতে । নবদ্বীপের দই ও জয়নগরের মোয়াও শেষ পাতে থাকার সম্ভাবনা আছে ।