কলকাতা, 18 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া নয় জন ছাত্রের মধ্যে একজনকে নিয়ে ঘটনার প্রাথমিক পর্যায়ের পুনর্নির্মাণ করছে কলকাতা পুলিশ । ধৃত সপ্তক কামিল্যাকে শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের সামনে নিয়ে যান কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা ।
আজ যাদবপুর থানা থেকে ধৃত সপ্তকের মুখে কাপড় বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের সামনে । লালবাজার সূত্রের খবর, এই ঘটনায় প্রাথমিক পর্যায়ের পুনর্নির্মাণের যে প্রক্রিয়া, তা ধীরে ধীরে সম্পন্ন করা হচ্ছে ।
সাধারণত কোনও ঘটনায় প্রত্যেক অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়ে যাওয়ার পরেই পুলিশ একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে । কিন্তু এ ক্ষেত্রে লালবাজারের বক্তব্য, ঘটনার পর প্রথম সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়, তারপর তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ধীরে ধীরে মোট নয় জনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ এই নয় জনকে প্রথমে আটক করার পর জেরার সময়, তাঁরা একই রকমের তথ্য দিয়ে তদন্ত ঘুরপথে পরিচালনা করার চেষ্টা করছিলেন বলে মনে করছে পুলিশ ৷ ঠিক সেই জন্যই এ বার নয় জন ধৃতের প্রত্যেককে ঘটনাস্থলে আলাদা আলাদা ভাবে নিয়ে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে চাইবেন যে সঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল ?
আরও পড়ুন: যাদবপুরের ঘটনায় এখনও অধরা কমপক্ষে 15 জন, দাবি লালবাজারের
মোটামুটি তদন্তকারী আধিকারিকরা যে তথ্যগুলি জানতে চাইছেন তার মধ্যে অন্যতম হল,
- ঘটনার দিন হস্টেলে কতজন পড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন ?
- ওই ছাত্রের পোশাক জোর জবরদস্তি খোলার উদ্যোগ প্রথম কে নিয়েছিলেন ?
- কীভাবে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হল ?
- কীভাবে ব়্যাগিং করা হত ?
- ঘটনায় সৌরভ চৌধুরী এবং বাকি অভিযুক্তদের কী ভূমিকা ছিল ?
- গোটা ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার কতক্ষণ পর ওই পড়ুয়াকে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ?
- যখন ঘটনাটি ঘটল, সেই সময় কোন কোন ছাত্ররা ট্যাক্সি আনতে বাইরে গিয়েছিলেন ?
তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, ঘটনাটি ঘটার কিছুক্ষণ আগে থেকেই ওই পড়ুয়ার অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করেছিলেন অন্যান্য ছাত্ররা । এই বিষয়ে ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে মোট তিনবার ফোন করেছিলেন ছাত্ররা । এর মধ্যে দু'বার ডিন ফোন ধরলেও তৃতীয়বার তিনি ছাত্রদের ফোন ধরেননি ।