কলকাতা, 10 অক্টোবর: ফের কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় বাঁচল প্রাণ ৷ এবারে কলকাতা পৌরনিগমের কর্মীর ৷ কেন্দ্রীয় ভবনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি ৷ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে এই পদক্ষেপ নেওয়া থেকে আটকান পুলিশ আধিকারিকরা ৷
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে ৷ আচমকাই 1টা নাগাদ লালবাজারে 100 নম্বরে একটি ফোন যায় । তাতে বলা হয়, 'আমি আত্মহত্যা করতে চলেছি' । কলকাতা পৌরনিগমের কেন্দ্রীয় ভবনে জন্ম মৃত্যুর রেকর্ড সংরক্ষণ বিভাগ থেকে যায় এই ফোনটি । ফোন পেয়ে মুহূর্তের মধ্যে লালবাজার থেকে কেন্দ্রীয় ভবনের আউট পোস্ট জানানো হয় । হইচই পড়ে যায় পৌরনিগমে ।
লালবাজার থেকে বিরাট বাহিনী হাজির হয় রেকর্ড রুমের কাছে । তখন দরজা দিয়ে ফেলেছেন আত্মহত্যা করতে যাওয়া কর্মী সঞ্জীব সায়গল । তাঁকে পুলিশ কর্মীরা দীর্ঘ সময় বুঝিয়ে শেষমেষ চরম পরিণতির হাত থেকে ফেরত আনেন । পুলিশের কথায় দরজা খোলেন ওই কর্মী । এরপরেই তাঁকে পুলিশ উদ্ধার করে এবং বসিয়ে জল দেন আধিকারিকরা । চিকিৎসককে ডেকে এনে তাঁকে দেখানো হয় । পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাঁকে আউট পোস্ট নিয়ে গিয়ে নিউমার্কেট থানার পুলিশ আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন যে কেন তিনি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিলেন ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ওই কর্মী জানিয়েছেন তাঁর উপর কাজের ভীষণ চাপ রয়েছে ৷ সেটা তিনি সহ্য করতে না পেরেই এই পথ বেছে নিচ্ছিলেন । এই ঘটনায় নাকি কর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়ায় । তাঁকে পরে নিউমার্কেট থানায় নিয়ে যাওয়া হয় । সঞ্জীব সায়গল কলকাতা পৌরনিগমে সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত । কাশিপুর এলাকায় থাকেন তিনি । এখন জন্ম মৃত্যু নথি সংরক্ষণ বিভাগে দায়িত্বে কাজ করেন । কাজের চাপে তাঁর মন মানসিকতা ক্রমশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন: চাকরির নামে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আত্মহত্যা যুবকের
এই বিষয় পৌরনিগমের ডেপুটি মেয়র ও স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ সদস্য অতীন ঘোষ বলেন, "এখন সামাজিক পারিপার্শিক নানা কারণে বিভিন্ন চাপের মুখে অবসাদ হয় । ওই কর্মী হয়ত নানা চাপে চরম পথ বেছে নিচ্ছিল, সেটা সঠিক নয় । পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করেছে । কর্পোরেশন দেখবে যাতে তিনি মানসিক অবসাদ কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে কাজে ফেরেন ।"