কলকাতা , 4 অগাস্ট : শুক্রবার রাতে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন । তাঁকে ভরতি করা হয়েছিল বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে । আজ ভোর রাতে মৃত্যু হয় সোনালি রায় ভট্টাচার্য নামে মহিলার । তিনি কলকাতা পুলিশে কর্মরত এক অফিসারের স্ত্রী । সোনালির বোনের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁর দিদিকে । সোনালির মৃত্যুর পর তিনি নানাভাবে প্রভাব খাটাচ্ছেন । বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের বাবার বাড়ির লোকজন ।
আরও পড়ুন : নরেন্দ্রপুরে দম্পতি খুনের তদন্তে SIT
আদতে হুগলিতে বাড়ি হলেও ওই পুলিশ অফিসার থাকেন আড়িয়াদহর শ্রীগোপাল মল্লিক রোডে । তাঁর বাবাও পুলিশে চাকরি করতেন । কিছুদিন আগে তিনি অবসর নিয়েছেন । বছর কয়েক আগে ওই পুলিশ অফিসারের সঙ্গে বিয়ে হয় সোনালির । তাঁদের এক সন্তান রয়েছে । অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন এবং স্বামী তাঁর উপর নানাভাবে অত্যাচার করতেন ।
মৃতের বোন তৃণা ভট্টাচার্য চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, “ বিয়ের পর থেকেই দিদি নানা সময় শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কথা জানাত । দিদির শাশুড়ি রীতিমত মারধর করত । বাপের বাড়িতে এলে অভিযোগ করত । ওর স্বামীও শারীরিক এবং মানসিকভাবে অত্যাচার করত ৷ "
তিনি আরও বলেন, “ গতরাতে আড়াইটার সময় মৃত্যু হয় দিদির । কোন ম্যাজিকে জানি না জামাইবাবু কাউন্সিলর থেকে চিঠি নিয়ে আজ সাত সকালেই থানায় জমা দিয়ে দিয়েছে । যাতে কোনওভাবেই আমাদের হাতে দেহ না দেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থা করেছে । আমাদের বলা হয়েছে, যদি আমরা থানায় কোনও অভিযোগ না জানাই তবেই তিনি ওই কাগজ প্রত্যাহার করে নেবেন । কিন্তু আমরা অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি । খুন করা হয়েছে আমার দিদিকে । কারণ, আমার কখনও মনে হয়নি দিদি আত্মহত্যা করতে পারে । কেনই বা করতে যাবে ৷ ওর একটা ছেলে রয়েছে । আমরা ময়নাতদন্ত চেয়েছি । ময়নাতদন্তে বোঝা যাবে এটি কীসের ঘটনা । আমরা পুরো পরিবার সহ ওদের শাস্তি চাই ।"
এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, কোনও কথা বলা যায়নি ।