ETV Bharat / state

অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু কলকাতার পুলিশ অফিসারের স্ত্রীর, খুনের অভিযোগ

অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কলকাতা পুলিশের এক অফিসারের স্ত্রীর ৷ তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে মৃতের পরিবার ৷

গৃহ বধু
author img

By

Published : Aug 4, 2019, 5:47 PM IST

কলকাতা , 4 অগাস্ট : শুক্রবার রাতে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন । তাঁকে ভরতি করা হয়েছিল বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে । আজ ভোর রাতে মৃত্যু হয় সোনালি রায় ভট্টাচার্য নামে মহিলার । তিনি কলকাতা পুলিশে কর্মরত এক অফিসারের স্ত্রী । সোনালির বোনের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁর দিদিকে । সোনালির মৃত্যুর পর তিনি নানাভাবে প্রভাব খাটাচ্ছেন । বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের বাবার বাড়ির লোকজন ।

আরও পড়ুন : নরেন্দ্রপুরে দম্পতি খুনের তদন্তে SIT

আদতে হুগলিতে বাড়ি হলেও ওই পুলিশ অফিসার থাকেন আড়িয়াদহর শ্রীগোপাল মল্লিক রোডে । তাঁর বাবাও পুলিশে চাকরি করতেন । কিছুদিন আগে তিনি অবসর নিয়েছেন । বছর কয়েক আগে ওই পুলিশ অফিসারের সঙ্গে বিয়ে হয় সোনালির । তাঁদের এক সন্তান রয়েছে । অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন এবং স্বামী তাঁর উপর নানাভাবে অত্যাচার করতেন ।

মৃতের বোন তৃণা ভট্টাচার্য চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, “ বিয়ের পর থেকেই দিদি নানা সময় শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কথা জানাত । দিদির শাশুড়ি রীতিমত মারধর করত । বাপের বাড়িতে এলে অভিযোগ করত । ওর স্বামীও শারীরিক এবং মানসিকভাবে অত্যাচার করত ৷ "

তিনি আরও বলেন, “ গতরাতে আড়াইটার সময় মৃত্যু হয় দিদির । কোন ম্যাজিকে জানি না জামাইবাবু কাউন্সিলর থেকে চিঠি নিয়ে আজ সাত সকালেই থানায় জমা দিয়ে দিয়েছে । যাতে কোনওভাবেই আমাদের হাতে দেহ না দেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থা করেছে । আমাদের বলা হয়েছে, যদি আমরা থানায় কোনও অভিযোগ না জানাই তবেই তিনি ওই কাগজ প্রত্যাহার করে নেবেন । কিন্তু আমরা অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি । খুন করা হয়েছে আমার দিদিকে । কারণ, আমার কখনও মনে হয়নি দিদি আত্মহত্যা করতে পারে । কেনই বা করতে যাবে ৷ ওর একটা ছেলে রয়েছে । আমরা ময়নাতদন্ত চেয়েছি । ময়নাতদন্তে বোঝা যাবে এটি কীসের ঘটনা । আমরা পুরো পরিবার সহ ওদের শাস্তি চাই ।"

এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, কোনও কথা বলা যায়নি ।

কলকাতা , 4 অগাস্ট : শুক্রবার রাতে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন । তাঁকে ভরতি করা হয়েছিল বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে । আজ ভোর রাতে মৃত্যু হয় সোনালি রায় ভট্টাচার্য নামে মহিলার । তিনি কলকাতা পুলিশে কর্মরত এক অফিসারের স্ত্রী । সোনালির বোনের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁর দিদিকে । সোনালির মৃত্যুর পর তিনি নানাভাবে প্রভাব খাটাচ্ছেন । বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের বাবার বাড়ির লোকজন ।

আরও পড়ুন : নরেন্দ্রপুরে দম্পতি খুনের তদন্তে SIT

আদতে হুগলিতে বাড়ি হলেও ওই পুলিশ অফিসার থাকেন আড়িয়াদহর শ্রীগোপাল মল্লিক রোডে । তাঁর বাবাও পুলিশে চাকরি করতেন । কিছুদিন আগে তিনি অবসর নিয়েছেন । বছর কয়েক আগে ওই পুলিশ অফিসারের সঙ্গে বিয়ে হয় সোনালির । তাঁদের এক সন্তান রয়েছে । অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন এবং স্বামী তাঁর উপর নানাভাবে অত্যাচার করতেন ।

মৃতের বোন তৃণা ভট্টাচার্য চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, “ বিয়ের পর থেকেই দিদি নানা সময় শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কথা জানাত । দিদির শাশুড়ি রীতিমত মারধর করত । বাপের বাড়িতে এলে অভিযোগ করত । ওর স্বামীও শারীরিক এবং মানসিকভাবে অত্যাচার করত ৷ "

তিনি আরও বলেন, “ গতরাতে আড়াইটার সময় মৃত্যু হয় দিদির । কোন ম্যাজিকে জানি না জামাইবাবু কাউন্সিলর থেকে চিঠি নিয়ে আজ সাত সকালেই থানায় জমা দিয়ে দিয়েছে । যাতে কোনওভাবেই আমাদের হাতে দেহ না দেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থা করেছে । আমাদের বলা হয়েছে, যদি আমরা থানায় কোনও অভিযোগ না জানাই তবেই তিনি ওই কাগজ প্রত্যাহার করে নেবেন । কিন্তু আমরা অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি । খুন করা হয়েছে আমার দিদিকে । কারণ, আমার কখনও মনে হয়নি দিদি আত্মহত্যা করতে পারে । কেনই বা করতে যাবে ৷ ওর একটা ছেলে রয়েছে । আমরা ময়নাতদন্ত চেয়েছি । ময়নাতদন্তে বোঝা যাবে এটি কীসের ঘটনা । আমরা পুরো পরিবার সহ ওদের শাস্তি চাই ।"

এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, কোনও কথা বলা যায়নি ।

Intro:কলকাতা, ৪ অগাস্ট: শুক্রবার রাতে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন। তাকে ভর্তি করা হয়েছিল বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চলছিল মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা। আজ ভোর রাতে মৃত্যু হয় সোনালী রায় ভট্টাচার্য নামে মহিলার। তিনি কলকাতা পুলিশে কর্মরত এক অফিসারের স্ত্রী। সোনালীর বোনের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তার দিদিকে। সোনালীর মৃত্যুর পর তিনি নানাভাবে প্রভাব খাটাচ্ছেন। ঘটনায় অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে বেলঘড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার বাপের বাড়ির পরিবার। Body:আদতে হুগলির মধ্যে বাড়ি হলেও ওই পুলিশ অফিসার থাকেন আড়িয়াদহর শ্রীগোপাল মল্লিক রোডে। তার বাবাও পুলিশে চাকরি করতেন। কিছুদিন আগে তিনি অবসর নিয়েছেন। বছর কয়েক আগে ওই পুলিশ অফিসারের সঙ্গে বিয়ে হয় সোনালীর। তাদের এক সন্তান রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন এবং স্বামী তাঁর ওপর নানাভাবে অত্যাচার করত। দিদির মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া মৃতার বোন তৃণা ভট্টাচার্য্য চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, “ বিয়ের পর থেকেই দিদি নানা সময় শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কথা জানাত। ওর শাশুড়ি রীতিমত শারীরিকভাবে মারধোর করতো। দিদি বাপের বাড়িতে এলে এমনই অভিযোগ করত। ওর স্বামীও শারীরিক এবং মানসিকভাবে দিদিকে অত্যাচার করত।"Conclusion:তিনি আরও বলেন, “ গতরাতে আড়াইটার সময় মৃত্যু হয় দিদির। কোন ম্যাজিকে জানি না জামাইবাবু কাউন্সিলর থেকে চিঠি নিয়ে আজ সাত সকালেই থানায় জমা দিয়ে দিয়েছে। যাতে কোনোভাবেই আমাদের হাতে দেহ না দেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থা করেছে। আমাদের বলা হয়েছে, যদি আমরা থানায় কোনো অভিযোগ না জানায় তবেই তিনি ওই কাগজ প্রত্যাহার করে নেবেন। কিন্তু আমরা অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। খুন করা হয়েছে আমার দিদিকে। কারণ, আমার কখনো মনে হয়নি দিদি আত্মহত্যা করতে পারে। কেনই বা করতে যাবে বলুন! ওর ফুটফুটে একটা ছেলে রয়েছে। আমরা ময়নাতদন্ত চেয়েছি। ময়নাতদন্তে বোঝা যাবে এটি কিসের ঘটনা। আমরা পুরো পরিবার সহ ওদের শাস্তি চাই।" এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, কোনও কথা বলা যায়নি।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.