কলকাতা, 5 এপ্রিল : চারিদিকে ঝুলছে বিভিন্ন তার ৷ আবার কোথাওবা স্তুপ করে রাখা হয়েছে তারের বান্ডিল ৷ মহানগরে এই দৃশ্য দেখেই অভ্যস্ত শহরবাসী ৷ তবে খুব শীঘ্র এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবে কলকাতাবাসী ৷ বদলাতে চলেছে সেই দৃশ্য ৷ তার জন্য জোরকদমে কাজে লেগেছে কলকাতা পৌরনিগম ৷
ইতিমধ্যে তার সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে শহরে (Kolkata Municipal Corporation clearing Dangling Wires) ৷ এবার মহানগরে প্রতি 15 দিনে 300 কিলোমিটার তারের জঙ্গল সাফ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করল কলকাতা পৌরনিগম ৷ প্রতি 15 দিনে কলকাতায় পরিষ্কার করতে হবে 300 কিলোমিটার তারের জট । এমনই লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র পারিষদ(আলো) সন্দীপ রঞ্জন বক্সী ।
মঙ্গলবার কলকাতা পৌরনিগমের কেন্দ্রীয় ভবনে সমস্ত কেবল অপারেটরদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন তিনি । সেখানেই এই লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করে দেন বক্সী । কলকাতার যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই খালি তারের জট । সেটা যেমন দৃশ্য দূষণ করে তেমনই পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায় । তাই সম্প্রতি মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই বিষয়ে জানান, তার না পরিষ্কার করলে পৌরসভার কর্মীরা কেটে দেবে । এর পরই তৎপর হয় বিভিন্ন কেবল অপারেটর থেকে ব্রডব্যান্ড অপারেটর । শুরু হয় তার পরিষ্কারের কাজ । আমহার্স্ট স্ট্রিট, সিয়ার এভিনিউ, ল্যান্সডাউন, ক্যামাক স্ট্রিট, বিবেকানন্দ রোড-সহ একাধিক এলাকায় চলছে এই কাজ ।
এদিন সন্দীপ রঞ্জন বক্সী এবিষয়ে বলেন, "27টি কেবল অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে । পৌরসভার আলোক স্তম্ভে লাগানো সমস্ত মোটা তার, লোহার কাঠামো দ্রুত খুলে ফেলতে হবে । যত দিন এই কাজ চলবে তত দিন নতুন কোনও তার লাগানো হবে না । চার ব্রডব্যান্ড কোম্পানিকে ভূগর্ভস্থ তার নিয়ে যেতে বলা হয়েছে । তাদের আগামিকাল জিজ্ঞাসা করা হবে এতদিনে তারা কেন সেই নির্দেশ মানেননি ৷"
সন্দীপ রঞ্জন বক্সী আরও বলেন, "একটি কোম্পানি ইতিমধ্যে এই কাজ করেছে বলে দাবি করছে ৷ সেটা দেখা হবে যতটা তারা ভূগর্ভস্থ করেছে ততটা তার রাস্তার উপর থেকে কেটে ফেলা হবে ।"
এদিন কেবল অপারেটর সংগঠনের পক্ষে চন্দ্রনাথ পাইন বলেন, "আমরা তার পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখছি বহু তারে ট্যাগ নেই । আবার উপরে দেখা যাচ্ছে এমন কোম্পানি আছে যাদের নিচ দিয়ে তার যাওয়ার কথা । আমরা সকলে মিলে দ্রুত জট পরিষ্কার করব । এতে কলকাতা পৌরনিগম সাহায্য করছে আমাদের ।"
আরও পড়ুন : KMC Property Tax : সম্পত্তি কর আদায়ে আয় বাড়ল কলকাতা পৌরনিগমের