কলকাতা, 28 এপ্রিল: রাজ্য তো বটেই গোটা দেশের হিন্দুদের কাছে অন্যতম তীর্থস্থান কালীঘাট মন্দির। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত বহু মানুষের সমাগম এই তীর্থক্ষেত্রে। তবে এতদিন এলাকায় দর্শনার্থী আগমন সকাল-বিকেল হলেও 24 ঘণ্টা জলের পরিষেবা ছিল না। সেই পরিষেবা শুরু করতেই মাসিক অধিবেশনে আবেদন করেছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর প্রবীর চক্রবর্তী। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কালীঘাট সংস্কারের কাজ শেষ হলেই দ্রুত এই পরিষেবাও চালু হবে।
প্রসিদ্ধ কালীমন্দির এবং একান্ন শক্তিপীঠের অন্যতম হিন্দু তীর্থক্ষেত্র কালীঘাট। এই তীর্থের পীঠদেবী দক্ষিণাকালী এবং ভৈরব বা পীঠরক্ষক দেবতা নকুলেশ্বর রূপে পূজিত হন। পুরাণ অনুসারে, সতীর দেহত্যাগের পর তাঁর ডান পায়ের চারটি (মতান্তরে একটি) আঙুল এই তীর্থে পতিত হয়েছিল। প্রতিদিনই মায়ের দরবারে নানা মনোস্কামনা নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে বহু ভক্ত ও দর্শনার্থী হাজির হন কালীঘাটে ৷ ভোর রাত থেকে ভিড় হতে শুরু করে মায়ের মন্দিরে ৷ তবে এতদিন এখানে 24 ঘণ্টা পানীয় জলের ব্যবস্থা না-থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় সকলকেই ৷ সেই পরিষেবা শুরু করতেই মাসিক অধিবেশনে আবেদন করেছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর প্রবীর চক্রবর্তী।
অবশেষে শুক্রবার মাসিক অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে 24 ঘন্টার জলের পরিষেবা চালুর কথা জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, এর ফলে মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের যথেষ্ট সুবিধা হবে। প্রসঙ্গত, স্থানীয় 83 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রবীর কুমার মুখোপাধ্যায় নিজের অঞ্চলে পানীয় জলের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "এই অঞ্চলের বেশিরভাগ রাস্তা খুবই কম চওড়া। প্রয়োজনের তুলনায় পানীয় জলের সরবরাহ কম। তাছাড়া, কালীঘাট মন্দির অঞ্চলেও জলের সরবরাহ কম রয়েছে ৷ কালীঘাট মন্দিরে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী এবং দর্শনার্থীরা আসেন। তাঁদের জন্য সর্বক্ষণের পানীয় জলের ব্যবস্থা করা যায় কি না, সেই আবেদন করেছি মেয়রের কাছে ৷"
আরও পড়ুন: মাছে হাত দেওয়ায় মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়েই প্রার্থনা সারলেন রাহুল গান্ধি
এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষীতে কলকাতার মেয়র বলেন, "বর্তমানে কালীঘাট মন্দির চত্বরে আদালতের নির্দেশে সংস্কার কাজ চলছে। নতুন ডালা-আর্কেড নির্মাণ হয়েছে। সেগুলি হয়ে গেলে সেখানে সর্বক্ষণের জন্য পানীয় জল সরবরাহ পরিষেবা শুরু করবে কর্পোরেশন।"