কলকাতা, 13 জুলাই: দক্ষিণ কলকাতার বৃষ্টির জমা জলের নিকাশির পথ খুঁজতে গিয়ে হতবাক কলকাতা পৌরনিগম । খাল সংস্কারের কাজে নেমে খালই দেখতে পেল না কলকাতা পৌরনিগম । জবর দখলকারীরা মনিখালের একটা অংশ বুজিয়ে ফেলেছে । শুধু তাই নয়, পুরনিগমের কর্মীদের একাংশের মদতে জমা জল সরানোর জন্য বসান পাঁচটি পাম্প সম্পূর্ণ অকেজো করে রাখা হয়েছে । সরোজমিনে পরিদর্শন গিয়ে খাল উধাওয়ের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তারক সিং । খিদিরপুর, মেটিয়াবুরুজ, মুদিয়ালি, মহেশতলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জমা জলের সমস্যা রয়েছে । এই জমা জলের সমস্যা দূর করতে সন্তোষপুর পাম্পিং স্টেশন এলাকায় পরিদর্শন করতে যান কলকাতা পৌরনিগমের প্রসাশকমণ্ডলীর সদস্য তারক সিং ।
কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য ও নিকাশি বিভাগের প্রধান তারক সিং জানিয়েছেন, মনিখালির বেশকিছুটা অংশ ও নয়নজুলির বেশকিছু অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । এই এলাকায় বেশকিছু বড় নয়ানজুলি ছিল । এই নয়ানজুলির জল মনিখালেতে গিয়ে পড়ত । সন্তোষপুর রোডের উপর পাঁচটি পাম্প বসানো রয়েছে বৃষ্টির জমা জল সরানোর জন্য । পাম্পের সাহায্যে সেই জল ফেলা হত এই নয়নজুলিতে । কিন্তু নয়ানজুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে জমা জল ফেলার জায়গা নেই । তাই এই পাম্পগুলি কোনও কাজ করে না । সেইসঙ্গে পাঁচটি পাম্পই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । একইসঙ্গে বুজিয়ে ফেলা খাল ফের খনন করার কাজ শুরু করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: সামান্য কমল সংক্রমণ, রাজ্যে একদিনে মৃত বেড়ে 17
শুধু তাই নয়, মহেশতলার জমা জল যে পথে যায় সেই জলপথ উধাও হয়ে গিয়েছে গত কয়েক বছরে । মূলত গার্ডেনরিচ পাম্পিং স্টেশন এলাকায় পলি জমে এবং জবর দখলকারীরা জমা জল নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে । ফলে জমা জল ফেলার জায়গা না থাকায় দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জল জমার সমস্যা তৈরি হয়েছে । সেইসঙ্গে কাদামাটি পলি জমে স্তুপ তৈরি হয়েছে । ফলে নিকাশি পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে । সমগ্র পরিস্থিতির বিষয়ে মুখ্য প্রশাসককে কাছে জানানো হয়েছে । এই সমস্যা সমাধানের পথ বার করা হবে বলে জানিয়েছেন, তারক সিং ।