কলকাতা, 30 মার্চ: রাজ্য রাজনীতিতে 'নন্দলাল' বেশ চর্চায় ৷ শাসক থেকে বিরোধী শিবির সকলেরই মুখে এখন 'নন্দলাল'-এর নাম ৷ সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সিঙ্গুরে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে 'নন্দলাল' বলে সম্মোধন করেছিলেন। সেটাই এবার মুখ্যমন্ত্রীকে ফিরিয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। বৃহস্পতিবার সরকারি কর্মীদের শহিদ মিনারের সমাবেশকে সমর্থন জানাতে এসেছিলেন যুব কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী ৷ সেখানেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন বলেন, "আমার বলছি, বলো কী নন্দলাল, চোরের পিসির বড় গলা, এই তো রাজ্যে হাল ৷"
বৃহস্পতিবার শহিদ মিনারে মহাসমাবেশের মঞ্চ থেকে শাসক শিবিরকে লক্ষ্য় করে একাধিক মন্তব্য করেন কৌস্তভ ৷ টেনে আনেন বুধবারের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাকেও। তিনি বলেন, "আমায় অনেকেই জিজ্ঞেস করেছেন, বুধবার এখানে যে দুটো মঞ্চ হয়েছিল তার তফাৎটা কোথায়? আসলে একটা মঞ্চ ছিল দুনিয়ার চোরেদের এক হওয়ার মঞ্চ। তারা চুরি করে সব শেষ করে দেবে কিন্তু চোর বলতে পারবে না। কিন্তু যারা ন্যায্য দাবির জন্য আন্দোলন করবেন, তাঁদেরকে আমার পিসি চোর বলবেন। মুখমন্ত্রীর যদি সাহস থাকে তাহলে তিনি এই মঞ্চে এসে বসে বলুন আমিও আপনাদের মত বঞ্চিত, কেন্দ্র আমার সঙ্গে বঞ্চনা করেছে। তা না করে, উনি রাজ্য সরকারি কর্মীদের টাকায় মঞ্চ বাঁধিয়ে ধরনা দিচ্ছেন।"
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদি ডাকাতদের রাজা, কটাক্ষ অখিল গিরির
বর্তমানে 'চিরকুটে চাকরি' ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। বামেদের লক্ষ্য করে বার বার চিরকুট প্রসঙ্গ তুলে ধরেছে তৃণমূল। সেখানে মুখমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ। তিনি বলেন, "ক্ষমতায় আসার আগে মুখমন্ত্রী বলেছিলেন এই ফাইল আছে সবাইকে জেলে ঢোকাব। আমি মুখমন্ত্রীকে আগামী সাতদিনের সময় দিলাম ৷ এই সময়ের মধ্যে ওই ফাইল খুলে বলুন কারা চুরি করেছে ? তা প্রমাণ করুন। না-পারলে নিজে পদত্যাগ করুন।" পাশাপাশি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীদের অসহযোগী হওয়ার বার্তা দিয়েছেন ৷ তাঁর মতে, ন্যায়ের দাবিতে অনড় থাকতে হলে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও অসহযোগী মনোভাব বজায় রাখতে হবে ৷ তাঁর গাড়ির চালক থেকে বেয়ারা, কেউ যদি মুখ্যমন্ত্রীর কাজ না-করেন তবেই তিনি বুঝবেন ৷