কলকাতা, 23 মে : আমফানের জেরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত কলকাতা সহ উপকূলবর্তী জেলাগুলি । পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ইতিমধ্যেই জোরকদমে কাজ করছে সেনা, NDRF ও SDRF কর্মীর । তৎপর পুলিশও । এর মাঝেই আমফান ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলায় কলকাতা পৌরনিগমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁর জিজ্ঞাসা, আগাম সতর্কবার্তা সত্ত্বেও কলকাতা পৌরনিগম কেন কোনও আপৎকালীন পরিকল্পনা তৈরি করেনি ।
রাজ্যপাল বলেন, "দিন কয়েক আগে থেকেই ঘূর্ণিঝড় আমফানের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছিল । আমি কলকাতা পৌরনিগমকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, তারা কেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি? গাছ উপড়েই বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে । কিন্তু পৌরনিগমের তরফে কেন কোনও আপৎকালীন পরিকল্পনা করা হয়নি? আমার জিজ্ঞাসা, পৌরনিগমের তরফে কোনও আগাম ব্যবস্থা ছিল না কেন?
তিনি আরও বলেন, "আমফান নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আমার কোনও আলোচনা হয়নি। দুর্ভাগ্যজনক। ভারতীয় উপকূল এলাকার রক্ষী ও BSF-র সঙ্গে আমার বিস্তর আলোচনা হয়েছিল। তারা দুর্দান্ত কাজ করেছে। আমি সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরাও ত্রাণকার্যের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু কলকাতা পৌরনিগম কী করেছে?সেটাই জিজ্ঞাসা।"
গতকালই আমফান বিধ্বস্ত এলাকা খতিয়ে দেখতে রাজ্য়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী । রাজ্যের জন্য 1000 কোটি সাহায্যের ঘোষণাও করেন তিনি । এবিষয়ে রাজ্যপাল বলেন, "রাজ্য়ের কোরোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রী একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন। রাজ্যের নানা এলাকায় পরিদর্শনের সময় তাঁদের বারবার সমস্য়ায় পড়তে হয়েছে । কিন্তু এখন আমি খুশি । প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিপর্যয় মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করছেন।" সাংসদ দিলীপ ঘোষের আমফানে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকগুলির পরিদর্শন প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, "যদি কোনও মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি পরিদর্শন করতে যান, তাহলে তার ভালো প্রভাব পড়বে । আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, এই পরিস্থিতিতে কোনও মন্ত্রী ওই এলাকাগুলিতে অন্তত রাজনীতি করতে যাবেন না । বাম, কংগ্রেস এবং BJP-র মতো দলগুলির জনগণের উপর একটা ভালো প্রভাব রয়েছে । যদি কেউ জনগণের সহায়তার জন্য কোনও এলাকায় যেতে চান, তবে তাতে সমস্যা কোথায়?"
রাজ্যপাল বলেন, "মানুষজনের কাছে আমার আবেদন, এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসুন । সাইক্লোনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাহায্য় করুন । আমি নিজেই 50 লাখ টাকা অনুদান দিয়েছি। "