ETV Bharat / state

কোরোনা ভাইরাস: প্রয়োজনে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে থাকবে আইসোলেশন ওয়ার্ড

author img

By

Published : Feb 2, 2020, 11:23 PM IST

কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার কথা বলছে সরকারি ডাক্তারদের একাংশ । কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার জন্য কতটা পরিকাঠামো রয়েছে? প্রয়োজনে এই ওয়ার্ড চালু করা কি সম্ভব?

corona
করোনা ভাইরাস

কলকাতা, ২ ফেব্রুয়ারি: বিপদের আরেক নাম নোভেল কোরোনা ভাইরাস । পরিস্থিতি যাতে ভয়ঙ্কর দিকে না যায় সেজন্য রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার কথা বলছে সরকারি ডাক্তারদের একাংশ । ইতিমধ্যেই তা নিয়ে পদক্ষেপ করেছে স্বাস্থ্য দপ্তরও ।

নোভেল কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কলকাতায় বেলেঘাটা আইডি অ্যান্ড বিজি হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে । SSKM, NRS মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কামারহাটির কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতাল এবং স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে নোভেল কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থার কথা বলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর । এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "সোমবারের মধ্যে সাতটি হাসপাতালে নোভেল করোনা ভাইরাসের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে । প্রতিটি আইসোলেশন ওয়ার্ডের জন্য অন্ততপক্ষে পাঁচটি করে বেড রাখার কথা বলা হয়েছে।" আইসোলেশন ওয়ার্ডের জন্য কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে জায়গাকে চিহ্নিত করেছে সেখানে ৪০টির মতো বেড রাখার ব্যবস্থা হতে পারে ৷

রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার কথা বলছে সরকারি ডাক্তারদের একাংশ

কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার কথা বলছে সরকারি ডাক্তারদের একাংশ । অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরসের পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক ডা. মানস গুমটা বলেন, "নোভেল কোরোনা ভাইরাস এখন অবধারিতভাবে বিপদ । যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সরকারের কাজ করা উচিত । যাতে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর জায়গায় না চলে যায় ৷ একটা, দু'টো জায়গায় আইসোলেশন ওয়ার্ড করে খুব একটা উপকার হবে বলে আমাদের মনে হয় না । পশ্চিমবঙ্গে যে পরিকাঠামো রয়েছে তাতে সব জায়গাতেই আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা যেতে পারে ।" তিনি আরও বলেন,"নোভেল কোরোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে যা যা করণীয় তা শীঘ্রই সরকারের করা উচিত । নোভেল কোরোনা ভাইরাস নতুন আতঙ্ক তৈরি করেছে । এর আগে ডেঙ্গি পশ্চিমবঙ্গে এপিডেমিকের চেহারা নিয়েছিল ।"

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার জন্য কতটা পরিকাঠামো রয়েছে? প্রয়োজনে এই ওয়ার্ড চালু করা কি সম্ভব? ডা. মানস গুমটা বলেন, "নিশ্চয় সম্ভব । একটা সময় TB রোগীদের আইসোলেশনে রাখা হতো । এখন আর প্রয়োজন পড়ে না । কিন্তু, সেই পরিকাঠামো বহু জায়গায় রয়ে গিয়েছে। সেটাকে ব্যবহার করা যেতেই পারে । প্রতিটি জেলা হাসপাতালে একসময় আইসোলেশন ওয়ার্ড ছিল ।" মানসবাবু বলেছেন, "আগুন লাগলে তবেই জল ঢালতে দৌড়ব, এটা ঠিক নয় । আগুন যাতে না লাগে তার ব্যবস্থা করা উচিত । সরকারের উচিত প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি মেডিকেল কলেজে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা রাখা৷"

সরকারি ডাক্তারদের অন্য একটি সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা. সজল বিশ্বাস বলেন, "এ রাজ্যে যে সব ইনফেকশাস রোগ রয়েছে তার জন্য একমাত্র হাসপাতাল বলতে গেলে সেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল । অথচ কোনও একটি রোগের এপিডেমিক হয় তখন প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজে এই ধরনের একটি করে স্পেশাল ওয়ার্ড তৈরি করা উচিত ৷" তিনি আরও বলেন, "এটা খুবই জরুরি । কারণ, খুব দ্রুত রোগীদের আইসোলেট করে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা গেলে রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে ।"

কলকাতা, ২ ফেব্রুয়ারি: বিপদের আরেক নাম নোভেল কোরোনা ভাইরাস । পরিস্থিতি যাতে ভয়ঙ্কর দিকে না যায় সেজন্য রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার কথা বলছে সরকারি ডাক্তারদের একাংশ । ইতিমধ্যেই তা নিয়ে পদক্ষেপ করেছে স্বাস্থ্য দপ্তরও ।

নোভেল কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কলকাতায় বেলেঘাটা আইডি অ্যান্ড বিজি হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে । SSKM, NRS মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কামারহাটির কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতাল এবং স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে নোভেল কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থার কথা বলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর । এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "সোমবারের মধ্যে সাতটি হাসপাতালে নোভেল করোনা ভাইরাসের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে । প্রতিটি আইসোলেশন ওয়ার্ডের জন্য অন্ততপক্ষে পাঁচটি করে বেড রাখার কথা বলা হয়েছে।" আইসোলেশন ওয়ার্ডের জন্য কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে জায়গাকে চিহ্নিত করেছে সেখানে ৪০টির মতো বেড রাখার ব্যবস্থা হতে পারে ৷

রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার কথা বলছে সরকারি ডাক্তারদের একাংশ

কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার কথা বলছে সরকারি ডাক্তারদের একাংশ । অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরসের পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক ডা. মানস গুমটা বলেন, "নোভেল কোরোনা ভাইরাস এখন অবধারিতভাবে বিপদ । যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সরকারের কাজ করা উচিত । যাতে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর জায়গায় না চলে যায় ৷ একটা, দু'টো জায়গায় আইসোলেশন ওয়ার্ড করে খুব একটা উপকার হবে বলে আমাদের মনে হয় না । পশ্চিমবঙ্গে যে পরিকাঠামো রয়েছে তাতে সব জায়গাতেই আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা যেতে পারে ।" তিনি আরও বলেন,"নোভেল কোরোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে যা যা করণীয় তা শীঘ্রই সরকারের করা উচিত । নোভেল কোরোনা ভাইরাস নতুন আতঙ্ক তৈরি করেছে । এর আগে ডেঙ্গি পশ্চিমবঙ্গে এপিডেমিকের চেহারা নিয়েছিল ।"

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার জন্য কতটা পরিকাঠামো রয়েছে? প্রয়োজনে এই ওয়ার্ড চালু করা কি সম্ভব? ডা. মানস গুমটা বলেন, "নিশ্চয় সম্ভব । একটা সময় TB রোগীদের আইসোলেশনে রাখা হতো । এখন আর প্রয়োজন পড়ে না । কিন্তু, সেই পরিকাঠামো বহু জায়গায় রয়ে গিয়েছে। সেটাকে ব্যবহার করা যেতেই পারে । প্রতিটি জেলা হাসপাতালে একসময় আইসোলেশন ওয়ার্ড ছিল ।" মানসবাবু বলেছেন, "আগুন লাগলে তবেই জল ঢালতে দৌড়ব, এটা ঠিক নয় । আগুন যাতে না লাগে তার ব্যবস্থা করা উচিত । সরকারের উচিত প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি মেডিকেল কলেজে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা রাখা৷"

সরকারি ডাক্তারদের অন্য একটি সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা. সজল বিশ্বাস বলেন, "এ রাজ্যে যে সব ইনফেকশাস রোগ রয়েছে তার জন্য একমাত্র হাসপাতাল বলতে গেলে সেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল । অথচ কোনও একটি রোগের এপিডেমিক হয় তখন প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজে এই ধরনের একটি করে স্পেশাল ওয়ার্ড তৈরি করা উচিত ৷" তিনি আরও বলেন, "এটা খুবই জরুরি । কারণ, খুব দ্রুত রোগীদের আইসোলেট করে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা গেলে রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে ।"

Intro:কলকাতা, ২ ফেব্রুয়ারি: নোভেল করোনা ভাইরাস এখন বিপদ হিসাবে অবধারিতভাবে আসছে। তাই, পরিস্থিতি যাতে ভয়ঙ্কর অবস্থায় চলে না যায়, তার জন্য গোটা রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার কথা বলছে সরকারি ডাক্তারদের একাংশ। এদিকে, আগামীকাল, সোমবারের মধ্যে আরও সাতটি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার কথা বলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এবং, প্রয়োজনে, অন্য আরও হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হবে বলেও স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে।


Body:নোভেল করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় কলকাতায় বেলেঘাটা আইডি অ্যান্ড বিজি হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ইতিমধ্যেই আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, SSKM হাসপাতাল অর্থাৎ, ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (IPGMER), কলকাতা, NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কামারহাটির কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতাল এবং, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে নোভেল করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থার কথা বলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "সোমবারের মধ্যে এই সাতটি হাসপাতালে নোভেল করোনা ভাইরাসের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। প্রতিটি আইসোলেশন ওয়ার্ডের জন্য অন্ততপক্ষে ৫টি করে বেড রাখার কথা বলা হয়েছে।" এই আইসোলেশন ওয়ার্ডের জন্য কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে যে স্পেসকে চিহ্নিত করেছে, সেখানে ৪০টির মতো বেড রাখার ব্যবস্থা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

তবে, আরও এই সাতটি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব‍্যবস্থার কথা রাজ‍্য স্বাস্থ্য দপ্তর জানালেও, শুধুমাত্র কলকাতা এবং আশপাশ অঞ্চলে নয়, রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে এই আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার কথা বলছে সরকারি ডাক্তারদের একাংশ। এ রাজ্যের সরকারি ডাক্তারদের একটি সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক, ডাক্তার মানস গুমটা বলেন, "নোভেল করোনা ভাইরাস এখন একটা বিপদ হিসাবে অবধারিতভাবে আসছে। এক্ষেত্রে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সরকারের কাজ করা উচিত। যাতে এটাও ভয়ঙ্কর জায়গায় কোনও কারণে চলে না যায়। একটা, দু'টো জায়গায় আইসোলেশন ওয়ার্ড করে খুব একটা উপকার হবে বলে আমাদের মনে হয় না। দরকারে যদি সেরকম জায়গা লাগে, গোটা পশ্চিমবঙ্গে যে পরিকাঠামো রয়েছে তাতে সব জায়গাতে চালু করা যেতে পারে।" তিনি বলেন, "নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রকোপ যাতে বেড়ে না যায়, ভয়ংকর জায়গায় এটা যাতে পৌঁছে না যায়, এর জন্য যা যা ব্যবস্থা করা দরকার, সেটা যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে সরকারের করা উচিত। নোভেল করোনা ভাইরাস নতুন আতঙ্ক তৈরি করেছে। এর আগে ডেঙ্গি পশ্চিমবঙ্গে এপিডেমিকের চেহারা নিয়েছিল।"

নোভেল করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার জন্য পরিকাঠামো কতটা রয়েছে? প্রয়োজনে এই ওয়ার্ড চালু করা কি সম্ভব? ডাক্তার মানস গুমটা বলেন, "নিশ্চয়ই আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা সম্ভব। একটা সময় টিবি রোগীদের আইসোলেশনে রাখা হতো চিকিৎসা করানোর জন্য। এখন আর প্রয়োজন নেই। কিন্তু, সেই পরিকাঠামো বহু স্থানে রয়ে গিয়েছে। সেটাকে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিটি জেলা হাসপাতালে একসময় আইসোলেশন ওয়ার্ড ছিল। সেগুলিও পুনরুদ্ধার করে রাখা উচিত।" তিনি বলেন, 'আগুন লাগলে জল ঢালতে দৌড়ব, এটা করা ঠিক নয়। আগুন যাতে না লাগে, তার ব্যবস্থা করা উচিত। প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি মেডিকেল কলেজে সরকারের ব্যবস্থা করে রাখা উচিত।" অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, "নোভাল করোনা ভাইরাসের ভয়ংকর প্রকোপের কথা এখনও আমাদের রাজ‍্যে শোনা যায়নি। তবে, এটা যে ভয়ঙ্কর আকার নেবে না, এমনও নয়। ফলে, যেটুকু আছে, তাতেই যথেষ্ট অভাব।" তাই, এই অভাব দূর করার জন্য যেমন ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, তেমনই, অন্য জায়গায় দ্রুত পরিকাঠামো তৈরি করে ফেলা উচিত বলেও তাঁরা মনে করেন।

এ রাজ‍্যের সরকারি ডাক্তারদের অন্য একটি সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, ডাক্তার সজল বিশ্বাস বলেন, "এ রাজ্যে যে সব ইনফেকশাস ডিজিজ রয়েছে, সেই সব অসুখের চিকিৎসার জন্য অ্যাপেক্স বা একমাত্র হাসপাতাল বলতে গেলে, সেটা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। অথচ, যখন কোনও একটি রোগের এপিডেমিক হয়, প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজ যেহেতু অ্যাপেক্স ইনস্টিটিউট, সেই জন্য প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজে এই ধরনের একটি করে স্পেশাল ওয়ার্ড তৈরি করা উচিত, যেখানে এই ধরনের রোগীদের চিকিৎসা করা যেতে পারে।" তিনি বলেন, "এটা খুব জরুরি। কারণ, খুব দ্রুত যদি রোগীদের আইসোলেট করে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা না হয়, তাহলে খুব দ্রুত রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।" তিনি বলেন, "প্রতিটি মেডিকেল কলেজে অনেক বিল্ডিং তৈরি হয়েছে। সরকার যদি চায়, তাহলে এই ধরনের ওয়ার্ড তৈরি করা যেতে পারে।" এই বিষয়ে রাজ‍্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তী বলেন, "প্রয়োজন হলে অন্য মেডিকেল কলেজগুলিতেও আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হবে।"


Conclusion:সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বলেন, "আমরা যেটা দেখি, একের পরে এক এপিডেমিক হয়। সরকারকে নাজেহাল হতে হয়, কারণ প্রস্তুতির অভাব।
এই মুহূর্তে আমাদের এখানে যে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে বা পরিকাঠামোর কথা ঘোষণা করা হচ্ছে, সেগুলির কোনওটাই প্র্যাকটিক্যালি আপ টু মার্ক নয়।" তিনি বলেন, "বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত যে সব রোগী আসবেন, তাঁদের যে কম্প্লিকেশনস দেখা দিতে পারে, সেগুলি ম্যানেজ করার জন্য যে ধরনের পরিকাঠামো দরকার, সেটা আইডি হাসপাতালেও প্র্যাকটিক্যালি নেই। আইসোলেশন ওয়ার্ডে কেবিনে আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা, সেটা সবার জন্য নেই। ২-১ জন রোগীর জন্য হয়তো করা যাবে, বাকিদের জন্য করা সম্ভব হবে না। এই ধরনের রোগীরা খুবই কমপ্লিকেটেড হন। মুহুর্তের মধ্যে রেস্পিরেটরি ফেলিওরের মধ্যে চলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তাঁদের জন্য ভেন্টিলেশনের দরকার হয়। প্রতিটি রোগীর জন্য একটি করে ভেন্টিলেটর থাকার কথা। তা না হলে, এটাকে আপ টু মার্ক পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে, এটা বলা যাবে না।"
_______



বাইট
wb_kol_02a_corona_isolation_hospitals_bite_7203421
অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক, ডাক্তার মানস গুমটা

wb_kol_02b_corona_isolation_hospitals_bite_7203421
সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, ডাক্তার সজল বিশ্বাস


For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.