মুম্বই, 30 সেপ্টেম্বর: সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিনে, 30 সেপ্টেম্বরের ট্রেডিং সেশনটি দেশীয় শেয়ারবাডারের জন্য একটি বিপর্যয়ের সোমবার হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে । ধীর গতিতে শেয়ারবাজারের লেনদেন শুরুর পরে দুই প্রধান বাজার সূচকের (সেনসেক্স-নিফটি) ক্রমাগত পতন ঘটেছে। এমনকি প্রথম দুই-তিন ঘণ্টায় সেনসেক্স-নিফটি 1 শতাংশ কমেছে । এর ফলে বিনিয়োগকারীদের প্রায় 3 লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ৷
শেয়ারবাজারে সেনসেক্স-নিফটিতে কতটা পতন হয়েছে?
সোমবার বেলা 12টা 45 মিনিট নাগাদ সেনসেক্স 977 পয়েন্ট কমে 84,594-এর স্তরে নেমে আসে সেনসেক্স । পাশাপাশি, নিফটি 280 পয়েন্ট কমে 25,897-এর স্তরে নেমে আসে। সেই সময়, ব্যাঙ্ক নিফটিতে 783 পয়েন্টের পতন হয়েছিল। মিডক্যাপ ও স্মলক্যাপ শেয়ারগুলিও আজ লেনদেনে লোকসানের মুখে পড়েছে। ইন্ডিয়া ভিআইএক্সও (India VIX) 8 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজার সূচকগুলি গত দুই সপ্তাহ ধরে তাদের রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি ছিল। গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো নিফটি 26,000-এর গণ্ডি পেরিয়ে যায়। উত্থানের পর শেয়ারবাজারে এখন 'প্রফিট বুকিং' লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে, প্রফিট বুকিং ছাড়াও বাজার পতনের পেছনে আরও কিছু কারণ রয়েছে।
শেয়ারবাজারের এই বিপর্যয়ের কারণ কী?
প্রকৃতপক্ষে, এফআইআই (বিদেশী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের) বিক্রি বাজারের পতনের পিছনে মূল কারণ ছিল ৷ কারণ, স্টক মার্কেটের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শুক্রবার তারা 1,209.10 কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছিল। এর বাইরে বিশ্ব বাজারে শেয়ার লেনদেনে ব্যাপক পতন হয়। প্রথমত, আজ এশিয়ার শেয়ারকারবারে বেশ অস্থিরতা ছিল। জাপানে, নিক্কেই 1800 পয়েন্ট কমে গিয়েছিল।
তবে বাজার পতনের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার জেরে প্রফিট বুকিং। ইরান-সমর্থিত শক্তির ওপর ইসরায়েলের ক্রমাগত হামলার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ও উত্তেজনা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ এতে আমেরিকার ভূমিকা বাড়বে বলেও জল্পনা চলছে ৷ এটা শেয়ারবাজারের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়।