কলকাতা, 13 অক্টোবর: চাল রফতানির ক্ষেত্রে সর্বভারতীয় সংগঠনের সঙ্গে মিলে এই রাজ্যেও তৈরি হল একটি পৃথক শাখা। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান রাইস এক্সপোর্টারস ফেডারেশন একটি সর্বজন পরিচিত নাম। এবার সেই সংগঠনের সঙ্গেই যুক্ত হল রাজ্যের চাল বিপণনকারীরাও। শুক্রবার এই নিয়ে বাইপাসের ধারে একটি হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী জানান, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এই ধরনের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এই ধরনের সংগঠনের গুরুত্ব বৃদ্ধি করাও অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, "আমরা মনে করছি আগামী দিনে এই সংগঠনের কারণে উপকৃত হবে রাজ্যের চাল ব্যবসায়ীরা।" তিনি আরও বলেন, "আমি প্রথম দিন থেকে সংগঠন করা মানুষ। ফলে এ ধরনের সংগঠন কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা বুঝি। আর সে কারণেই এই সংগঠকদের সাফল্য কামনা করছি।"
এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান রাইস এক্সপোর্টারস ফেডারেশনের রাজ্য সভাপতি রাহুল খৈতান বলেন, "রাজ্যের গোবিন্দভোগ চালের চাহিদা বিশ্বজোড়া। আমরা চাই বাংলা থেকে আরও বেশি সংখ্যক বিপণনকারী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চাল রফতানিতে এগিয়ে আসুক। এক্ষেত্রে আমাদের কাজ হবে সেতুবন্ধনের। প্রয়োজনে সরকার ও রফতানিকারীদের সঙ্গে কথা বলে যে কোনও সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব আমরা। ভুলে গেলে চলবে না দেশের চাল উৎপাদনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। তাই আমাদের কৃষক থেকে শুরু করে রফতানিকারী সকলের মধ্যে সংযোগ রক্ষার কাজ করব আমরা।"
এদিন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, "চাল বিপণনকারীদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এ ধরনের সংগঠন খুব জরুরী ছিল। বহু ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নীতি কারণে ব্যবসায়ীদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এ ধরনের সংগঠন তাদের সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে। প্রয়োজনে তারা আমাদের সাহায্যও চাইতে পারে। আমরা তাদের সব ধরনের সাহায্য করব।"
আরও পড়ুন: বিধায়ক-মন্ত্রীদের বর্ধিত ভাতা কার্যকরে পুজোর আগেই বসতে পারে বিধানসভার অধিবেশন
এদিন চাল রফতানি নিয়ে কেন্দ্রীয় নীতির সমালোচনাও শোনা গিয়েছে ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট প্রেম গর্গের গলায়। তিনি বলেন, "বেশ কিছু চালের উপর 20 শতাংশ কর চাপিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেটা বেশিরভাগ সময়ই ইন্ডিয়ান রাইস এক্সপোর্টারস ফেডারেশনকে না জানিয়ে করা হয়েছে। যার ফলে সাধারণ মানুষকে বেশি দাম যেমন দিতে হচ্ছে তেমনি চাল রফতানি করার ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এমন এক নীতি গ্রহণ করা, যাতে যখন তখন চাল রফতানির ক্ষেত্রে কর চাপানো না হয়।"